—প্রতীকী ছবি।
২৭ অগস্ট ২০২৫, বুধবার গণেশ চতুর্থী। শাস্ত্রমতে, সিদ্ধিদাতা গণেশের পুজো করলে সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি লাভ করা যায়। কথিত রয়েছে, এই দিন শ্রীগণেশ তাঁর ভক্তদের উপর আশীর্বাদ বর্ষানোর জন্য মর্ত্যে আসেন। মহারাষ্ট্রে আড়ম্বরের সঙ্গে গণেশ চতুর্থী পালন করা হয়। বাংলাও গণেশ আরাধনায় পিছিয়ে নেই। প্রভু গণপতির আরাধনায় জীবন থেকে দূর হয় নানা প্রকার সঙ্কট। গণেশ চতুর্থীর পবিত্র তিথিতে বাড়িতে পুরোহিত না ডেকেই, নিজের মতো করে গণেশের পুজো করা সম্ভব। পালন করতে হবে বিশেষ কিছু নিয়ম। জেনে নিন সেগুলি কী।
বাড়িতে গণেশের পুজো করার নিয়মগুলি কী কী?
১. বাড়িতে যদি পুরনো গণেশের মূর্তি থেকে থাকে তা হলে সেটিকেও পুজো করা যায়। মন চাইলে বাজার থেকে নতুন মূর্তি এনেও পুজো দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে পুরনো মূর্তিটিকে বিসর্জন দিতে হবে। বাড়িতে একসঙ্গে দুটো গণেশের মূর্তি রাখা যাবে না।
২. পুজোর কাজ শুরু করার পূর্বে স্নান করে শুদ্ধ বসন পরিধান আবশ্যিক। উপবাস রেখে পুজো করতে পারলে খুব ভাল হয়। না হলে এই দিন নিরামিষ আহার্য গ্রহণ বাঞ্ছনীয়।
৩. প্রথমে করতে হবে প্রভু গণেশের প্রতিষ্ঠা। চতুর্থীর দিন সকালে উত্তর, পূর্ব বা উত্তর-পূর্ব দিকে প্রভু গণেশের মূর্তি স্থাপন করতে হবে। কাঠের ছোট চৌকি বা বেদিতে লাল কাপড় পেতে প্রভু গণেশের মূর্তিটি বসাতে হবে। গণেশের ডান ও বাঁ দিকে ঋদ্ধি-সিদ্ধির প্রতীক হিসাবে একটি করে সুপুরি রেখে দিন।
৪. বেদিতে যে লাল কাপড়টি পাতবেন সেটিতে যেন কোনও ছেঁড়া-ফাটা বা ছিদ্র না থাকে সে দিকে নজর রাখবেন।
৫. গণেশের মূর্তির দক্ষিণ-পূর্ব কোণে প্রদীপ জ্বালাতে হবে। এরই সঙ্গে সুগন্ধী ধূপ জ্বালাতে পারলে খুব ভাল হয়।
৬. গণপতির আরাধনায় সুগন্ধী ফুলের সঙ্গে দূর্বা অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে। আমের পল্লব ব্যবহার করতে পারলেও খুব ভাল হয়।
৭. পুজোর সময় গণেশকে লাল বা কমলা সিঁদুর, হলুদ ও চন্দনের ফোঁটা দেওয়া যেতে পারে। পুজো শেষে নিজেকে এবং বাড়ির সকলকে সেই ফোঁটা দিতে হবে।
৮. পুজোর সময় গণেশের ব্রতকথা পাঠ করুন। তার পর ফুল নিবেদন ও আরতির দ্বারা পুজো সম্পন্ন করুন। পুজো শেষে প্রভুকে নিজের মনস্কামনা জানান।
৯. লাড্ডু ও মোদক গজাননের পছন্দের জিনিস। পুজোর ভোগে এই দুটো জিনিস অবশ্যই রাখতে হবে। এ ছাড়া নিজের মনের মতো ভোগ দান করা যেতে পারে।
১০. গণেশের পুজোয় চাল, নারকেল, পান প্রভৃতি নিবেদনের প্রথা রয়েছে। আপনিও চাইলে সেই সমস্ত জিনিস নিবেদন করতে পারেন।