—প্রতীকী ছবি।
সকালবেলা স্নান করে অফিসের উদ্দেশে রওনা দিলেন। বাস থেকে নামার পরই গাছের ডালে বসে থাকা ‘বদমাইশ’ কাকটি গায়ে অপকর্ম করে উড়ে গেল। পাখিটির কারবারে আপনার মেজাজটাই গেল বিগড়ে। গজগজ করতে করতে অফিস গেলেন। গিয়েই বাথরুমে ঢুকে জল দিয়ে বিষ্ঠাটি পরিষ্কার করলেন। কিন্তু মনের মধ্যে খচখচ করতে থাকল খারাপ কিছু হবে না তো? এর প্রভাবে যদি কোনও ক্ষতি হয়?
রাস্তাঘাটে চলার পথে আমাদের অনেককেই এই নির্দিষ্ট পরিস্থিতিটির সম্মুখীন হতে হয়। মাথা থেকে পা, পাখির বিষ্ঠা যেখানে-সেখানে পড়তে পারে। তার জন্য আমাদের বিপাকেও পড়তে হয়। কিন্তু এর কোনও অশুভ দিক রয়েছে?
জ্যোতিষমতে, পাখির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। পাখিরা আমাদের জীবনে নানা ইঙ্গিত বয়ে নিয়ে আসে। আপনার জীবনে আগত দিনে শুভ না অশুভ ঘটনা ঘটবে তার আগাম জানান দেয় পাখিরা। পাখিদের চালচলন দেখলে এ বিষয়ে একটা ধারণা পাওয়া যায়। কিন্তু পাখিদের বিষ্ঠা গায়ে পড়লে খারাপ কিছু হয় এমন কোনও কথা শাস্ত্রে বলা নেই। উপরন্তু, এর ঠিক উল্টোটাই বলা রয়েছে।
শাস্ত্রমতে, গায়ে পাখির বিষ্ঠা পড়া মানে শুভ। পাখির বিষ্ঠা যদি মাথায় পড়ে তা হলে বুঝতে হবে যে ধনলাভ হবে। এর ফলে জীবনে পজ়িটিভ পরিবর্তন আসে। অনেকে বিশ্বাস করেন, গায়ে যে দিন পাখির বিষ্ঠা পড়ছে, সেই দিন যদি লটারি কাটা হয় তা হলে প্রাপ্তি হয়। তবে এ বিশ্বাসের কোনও উপযুক্ত ব্যাখ্যা জ্যোতিষশাস্ত্রে নেই। কিন্তু গায়ে পাখির বিষ্ঠা পড়লে চিন্তা না করে খুশিই হোন। খুব শীঘ্রই কোনও খুশির খবর পেলেও পেতে পারেন।