—প্রতীকী ছবি।
জীবনে চলার পথে প্রত্যেক মানুষকেই নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়। কোনও কিছুই সহজে অর্জন করা যায় না। সাফল্যের পথে বাধা, বিয়েতে বাধা, অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে বাধা প্রভৃতি নানা ক্ষেত্রে আমাদের সকলকেই নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। আমরা অনেকেই জানি যে, এক জন মানুষ কোন দিন জন্মাচ্ছেন তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে। কিন্তু এটা জানি না যে, জন্মতারিখের ভিত্তিতে এক জন মানুষ জীবনে কোন কোন ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে পারে সেটাও বলে দেওয়া সম্ভব। সংখ্যাতত্ত্ব অনুসারে জন্মতারিখের বিচার করলে এক জন মানুষের ভাল দিক সম্বন্ধে যেমন বলে দেওয়া যায়, তেমনই তাঁকে কী কী খারাপ জিনিসের মোকাবিলা করতে হবে সেটাও বলে দেওয়া যায়। জন্মতারিখ মিলিয়ে জেনে নিন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে জীবনে চলার পথে কী কী বাধার সম্মুখীন হতে হয়।
১, ১০, ১৯ ও ২৮: এই চার তারিখে জন্মানো জাতক-জাতিকাদের মধ্যে জন্মগত ভাবে নেতৃত্বদানের ক্ষমতা থাকে। ফলত এই জন্মতারিখে জন্মানো ব্যক্তিরা কর্তৃত্ব ফলাতে পছন্দ করেন। কিন্তু তাঁদের এই স্বভাবের প্রভাব তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের উপরেও পড়ে। যার ফলে এঁদের বিপরীতে থাকা ব্যক্তি কিছুটা বিরক্ত বোধ করেন। এই সকল তারিখে জন্মানো মানুষেরা তাঁদের সঙ্গীর জীবন চালনা করতে চান, তাই সম্পর্ক বেশি দিন টেকে না। সম্পর্কক্ষেত্রে এঁদের নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়।
২, ১১, ১০, ১৯: এই সকল তারিখে জন্মানো জাতক-জাতিকারা অত্যন্ত সংবেদনশীল প্রকৃতির হয়ে থাকেন। এঁরা নিজেদেরকে সমস্ত ভুলের দাবিদার মনে করেন। যার ফলে এঁদের জীবনে সুখ খুঁজে পেতে হয়রান হতে হয়। যে কোনও বিষয় নিয়ে এই সকল মানুষেরা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ভেবে ফেলেন। এঁদের অতিরিক্ত চিন্তাই এঁদের খুশি থাকার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।
৩, ১২, ২১, ২৩: উক্ত তারিখগুলিতে জন্মানো জাতক-জাতিকারা অত্যন্ত সৃজনশীল হন। যে কোনও কাজ এঁরা অত্যন্ত নিখুঁত ভাবে করতে পছন্দ করেন। কিন্তু এঁরা প্রশংসা কুড়োতে পছন্দ করেন। কেউ যদি এঁদের সম্বন্ধে কিছু ভাল না বলেন, তা হলে এঁরা অত্যন্ত মনক্ষুণ্ণ হন। সেই প্রভাব এঁদের কাজের উপরেও পড়তে দেখা যায়। কাছের লোকেদের মন জুগিয়ে না চলতে পারলে এঁরা ঠিক করে কাজ করতে পারেন না।
৪, ১৩, ২২, ৩১: এই চার তারিখে জন্মানো ব্যক্তিরা প্রচণ্ড পরিশ্রমী হন। কিন্তু এত পরিশ্রম করার পরও এঁরা কর্মে সাফল্য পান না। যে কোনও কাজে এঁদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়। ফলত এঁরা ধৈর্য হারিয়ে ফেলেন। অনেক চেষ্টা করেও এঁদের সাফল্য পেতে দেরি হয়।
৫, ১৪, ২৩: এই তিন জন্মতারিখে জন্মানো জাতক-জাতিকারা স্বাধীনচেতা হন। একই সঙ্গে ভীষণ খামখেয়ালি হন। একই জিনিসে এঁদের মন টেকে না। সর্বদা নতুন কিছু করার জন্য এঁরা মুখিয়ে থাকেন। কিন্তু উক্ত কাজটি কিছু দিন করার পরই সেটি থেকে এঁদের মন উঠে যায়। ফলে কোনও কিছুই এঁরা সঠিক ভাবে শিখতে পারেন না। সেই কারণে কাজের ক্ষেত্রে এঁদের নানা অন্তরায়ের সম্মুখীন হতে হয়।
৬, ১৫, ২৪: নির্দিষ্ট এই তারিখগুলিতে জন্মানো জাতক-জাতিকারা খুব দরদি প্রকৃতির হন। এঁরা নিঃস্বার্থ ভাবে ভালবাসেন, পরিবর্তে কী পাচ্ছেন সেটা দেখেন না। আবেগপ্রবণ হওয়ার কারণে এঁরা মানসিক দিক দিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। এই সকল জন্মতারিখে জন্মানো ব্যক্তিদের কাছের মানুষেরাই এঁদের আবেগকে গুরুত্ব দেন না। সেই কারণে এঁরা একটা সময় পরে গিয়ে মানুষকে আর ভালবাসতে পারেন না। সত্যিকারের ভালবাসা খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে এঁদের নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়।
৭, ১৬, ২৫: এই তিনটি তারিখে জন্মানো ব্যক্তিরা একা থাকতে পারেন না। এঁরা সর্বদা কোনও সঙ্গীর খোঁজে থাকেন। সেই কারণে এঁরা প্রায়শই ভুল সঙ্গের খপ্পরে পড়েন। এমনকি ভুল মানুষকে মন দেওয়ার আগেও এঁরা এক বারের বেশি দু’বার ভাবেন না। এই তিনটি তারিখে জন্মানো ব্যক্তিরাও সত্যিকারের ভালবাসা খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারে বাধার সম্মুখীন হন।
৮, ১৭, ২৬: অর্থ এবং সম্পর্ক ক্ষেত্রে এই তিনটি তারিখে জন্মানো ব্যক্তিদের নানা ভোগান্তি পোহাতে হয়। ভালবাসার পরিবর্তে এঁদেরকে কষ্ট পেতে হয়। পেশার ক্ষেত্রে এঁরা প্রচুর পরিশ্রম করেও যোগ্য সম্মান পান না। বদলে কপালে জোটে ঊর্ধ্বতনদের বকুনি।
৯, ১৮, ২৭: রাগ এঁদের জীবনের প্রধান অন্তরায়। যে কোনও ছোটখাটো ব্যাপারে এঁরা চট করে রেগে যান। এর ফলে কর্মক্ষেত্র থেকে সম্পর্ক, সব জায়গাতেই এঁদের নানা সমস্যার মুখে পড়তে হয়। কাছের মানুষেরা ভুল বোঝেন। কাজের জায়গাতেও সহকর্মীরা এঁদের বিরুদ্ধে চলে যান।