—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পণের দাবিতে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ আবার উত্তরপ্রদেশে। এক গর্ভবতী যুবতীকে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের রংপুর গ্রামের রজনী কুমারীর সঙ্গে চলতি বছরের এপ্রিলে বিয়ে হয় মৈনপুরীর গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা শচীনের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য নানা ভাবে রজনীকে হেনস্থা করা হত। বাপের বাড়ি থেকে আরও টাকা আনার জন্য জোরাজুরি করতেন শচীন এবং তাঁর বাড়ির লোকেরা।
মৈনপুরীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রাহুল মিঠাস জানান, সম্প্রতি রজনীকে আরও পাঁচ লক্ষ টাকা বাপের বাড়ি থেকে আনার জন্য চাপ দিতে থাকেন শচীন। তবে সেই দাবি পূরণ না-হওয়ায় বৌয়ের উপর অত্যাচার শুরু করেন তিন। তাঁর সঙ্গে যোগ দেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরাও। অভিযোগ, মারধরের কারণে প্রাণ হারান রজনী। তার পরে প্রমাণ লোপাট করতে নিজের বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
কন্যার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না-পেরে সন্দেহ হয় রজনীর মা সুনীতা দেবীর। শনিবার রজনীর শ্বশুরবাড়ি গিয়ে কন্যার মৃত্যুর খবর জানতে পারেন। তার পরেই থানায় ছ’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
সম্প্রতি পণের দাবিতে বধূ নির্যাতনের বেশ কিছু অভিযোগ উঠে এসেছে উত্তরপ্রদেশে। নয়ডায় পণের দাবিতে এক বধূকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে পুলিশের বিরুদ্ধেও। দাবি মতো পণ না-পেয়ে স্ত্রীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে উত্তরপ্রদেশের রামপুরের এক পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে। ফের উত্তরপ্রদেশে বধূ-হত্যার অভিযোগ প্রকাশ্যে এল।