Karnataka Murder Case

‘বাঘে খেয়ে নিয়েছে’, স্বামীকে খুন করে সরকারের কাছে ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ চাইলেন স্ত্রী! শেষমেশ ধৃত

শুক্রবার কর্নাটক পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবতীর সঙ্গে স্বামীর কলহ চলছিল। সে জন্য খাবারে বিষ মিশিয়ে স্বামীকে খাইয়ে দেন তিনি। বেঙ্কটস্বামী মারা গেলে তাঁর দুই পা ধরে টানতে টানতে বাড়ির পিছনের দিকে ঝোপে নিয়ে যান স্ত্রী।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:৩৩
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

স্বামীকে খুন করার পরে সরকারের কাছে ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়েছিলেন স্ত্রী। দাবি করেন, বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে স্বামীর। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের মাইসুরু জেলায়। অভিযুক্ত যুবতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রে খবর, বেশ কয়েক দিন আগে মাইসুরু জেলার চিক্কাহিজ্জুর গ্রামের বাসিন্দা বেঙ্কটস্বামীর মৃত্যু হয়। স্ত্রী সল্লাপুরী প্রশাসনের দ্বারস্থ হন ক্ষতিপূরণ চেয়ে। তিনি জানান, বাঘের হানায় মারা গিয়েছেন স্বামী। বস্তুত, গ্রামের একটি বাদামখেতে শ্রমিকের কাজ করতেন ওই দম্পতি। সল্লাপুরী জানান, গত সোমবার কাজে গিয়েছিলেন তাঁরা। কাজ করতে করতে হঠাৎ খেয়াল করেন স্বামী কাছেপিঠে কোথাও নেই। তাঁর জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেন। কিন্তু বেঙ্কটস্বামী আর ফেরেননি। বন দফতর এবং পুলিশের কাছে যান তিনি। জানান, তাঁর স্বামীকে বাঘে মেরে ফেলেছে। দেহ টেনে নিয়ে গিয়েছে অন্য কোথাও।

ওই অভিযোগ পেয়ে যৌথ ভাবে অভিযান চালায় পুলিশ এবং বন দফতর। প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে অভিযান থেমে যায়। পরে সল্লাপুরীর দাবি মতো স্বামীকে শেষ বার যেখানে দেখা গিয়েছিল, সেখানে যায় পুলিশ। ওই স্থান থেকে বেঙ্কটস্বামী ও সল্লাপুরীর বাড়ি বেশি দূর নয়। সেখানেও পুলিশ অভিযান চালায়। শেষমেশ বাড়ির পিছন থেকে বেঙ্কটস্বামীর দেহ পাওয়া যায়। তাঁর সারা গায়ে গোবর মাখানো ছিল।

Advertisement

এর মধ্যে সল্লাপুরী বাঘের হানায় স্বামীর মৃত্যু হয়েছে বলে কর্নাটক বন দফতরের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে বসে আছেন। কিন্তু পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ধরা পড়ে যান। স্বীকার করেন খুনের কথা।

শুক্রবার কর্নাটক পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত যুবতীর সঙ্গে স্বামীর কলহ চলছিল। সে জন্য খাবারে বিষ মিশিয়ে স্বামীকে খাইয়ে দেন তিনি। বেঙ্কটস্বামী মারা গেলে তাঁর দুই পা ধরে টানতে টানতে বাড়ির পিছনের দিকে ঝোপে নিয়ে যান স্ত্রী। কেউ যাতে ধরতে না পারেন, সে জন্য সারা দেহে গোবর মাখিয়ে দিয়েছিলেন।

এর মধ্যে অজুহাত খুঁজে পান সল্লুপুরী। কয়েক দিন ধরে গ্রামে বাঘ ঢুকে পড়েছে বলে কোলাহল চলছিল। ওই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সল্লু সরকারের কাছে ১৫ লক্ষ টাকা চান। তিনি জানান, বাঘের হানায় মারা গিয়েছে স্বামী। ইতিমধ্যে যুবতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে চেয়ে আদালতে হাজির করানো হয় শুক্রবার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement