UP Missing Case

পণের জন্য বধূকে হত্যা! স্বামী এবং শাশুড়ি-সহ ৬ জনের নামে মামলা চলছিল ২ বছর, হঠাৎ ‘মৃতা’র আগমন

এত দিন পরে হঠাৎ মেয়ের খোঁজ পেয়ে উচ্ছ্বসিত বাপের বাড়ির লোকজন। পণের জন্য বধূহত্যায় অভিযুক্ত পরিবার বৌমার ফিরে আসায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। পুল

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৫ ১৭:২১
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে স্বামীর বিরুদ্ধে। বৌমাকে খুনের অভিযোগ শ্বশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে। বৌদির আকস্মিক মৃত্যুতে মামলা হয়েছে দেওর-ননদের নামে। সকলের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিল ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪বি (পণের কারণে মৃত্যু)-সহ একাধিক ধারা। কিন্তু যাঁকে ‘হত্যা’ করা হয়েছিল, তিনি আচমকা বাড়ি ফিরে এসেছেন! এই ঘটনায় শোরগোল উত্তরপ্রদেশের আউরাইয়া জেলায়।

Advertisement

২০২৩ সালে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান ২০ বছরের এক বধূ। কোথাও তাঁর খোঁজ মেলেনি। সেই বছরের ২৩ অক্টোবর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বাপের বাড়ির লোকজন। অভিযোগ, পণের জন্য স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়েকে খুন করে দেহ লোপাট করে দিয়েছেন। মামলা ওঠে বিশেষ আদালতে। বিচারকের নির্দেশে মোট সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। তার মধ্যেই মামলায় নতুন মোড়! যে যুবতীকে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেরে ফেলেছেন বলে অভিযোগ, তাঁকে মধ্যপ্রদেশে খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। কী ভাবে এবং কী কারণে ওই বধূ নিখোঁজ ছিলেন, সেই তদন্ত শুরু হয়েছে।

আউরাইয়ার পুলিশ আধিকারিক অশোককুমার সিংহের কথায়, ‘‘বিয়ের দে়ড় বছর পর হঠাৎ ওই বধূ নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁর বাপের বাড়ি খুনের অভিযোগ করে। আদালতের নির্দেশ মাফিক বধূর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। এখন নিখোঁজ ওই যুবতীকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছে।’’ তিনি জানান, মধ্যপ্রদেশে এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবতীর পরিবারের খোঁজ করছিল সেখানকার পুলিশ। সেখান থেকেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হয়। যাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ, তাঁকে জীবন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় অন্য রাজ্যে। গত ১ অক্টোবর ওই বধূকে আউরাইয়ায় নিয়ে এসেছে পুলিশ।

Advertisement

এত দিন পরে হঠাৎ মেয়ের খোঁজ পেয়ে উচ্ছ্বসিত বাপের বাড়ির লোকজন। পণের জন্য বধূহত্যায় অভিযুক্ত পরিবার বৌমার ফিরে আসায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। পুলিশ জানিয়েছে, পুরো মামলা এ বার অন্য দিকে মোড় নিয়েছে। ঠিক কী ঘটেছিল, সেই রহস্যভেদের চেষ্টায় সকলে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement