Mahadev Betting App

২০২৩ সালে দুবাইয়ে গ্রেফতার হন মহাদেব বেটিং অ্যাপ-কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত রবি, তবে এখন ‘নিখোঁজ’

ইন্টারপোলের জারি করা রেড কর্নার নোটিসের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল রবি উপ্পলকে। তবে ৪৫ দিন পর তাঁকে ছেড়ে দেন দুবাই কর্তৃপক্ষ। ভারতে তাঁর প্রত্যপর্ণের বিষয়টি ‘স্থগিত’ থাকায় নজরে ছিলেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:৫২
Share:

অভিযুক্ত রবি উপ্পল। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

মহাদেব বেটিং অ্যাপের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার তদন্ত করছে ইডি। বেশ কয়েক জন অভিনেতা-অভিনেত্রীও এই মামলায় তদন্তকারীদের আতশকাচের নীচে। সেই দুর্নীতিতে নাম জড়ায় সৌরভ চন্দ্রকর এবং রবি উপ্পলের! ২০২৩ সালে ডিসেম্বরে দুবাই কর্তৃপক্ষ গ্রেফতার করেছিলেন রবিকে। ভারতে প্রত্যপর্ণের জন্য তোড়জোড়ও চলছিল। কিন্তু হঠাৎই ‘নিখোঁজ’ তিনি!

Advertisement

ইন্টারপোলের জারি করা রেড কর্নার নোটিসের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল রবিকে। তবে ৪৫ দিন পর তাঁকে ছেড়ে দেন দুবাই কর্তৃপক্ষ। ভারতে তাঁর প্রত্যপর্ণের বিষয়টি ‘স্থগিত’ থাকায় নজরে ছিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বর্তমানে তাঁর খোঁজ মিলছে না! কোথায় গেলেন মহাদেব বেটিং অ্যাপ দুর্নীতির অভিযুক্ত রবি?

রবি সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছিলেন এত দিন। কিন্তু এখন কোথায় আছেন জানা নেই। ভারত কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, কোনও এক অজ্ঞাত স্থানে চলে গিয়েছেন রবি। সেই কারণে তাঁর প্রত্যপর্ণের প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখা হোক। এ ছাড়া ভারতকে আর কোনও তথ্য সরবরাহ করা হয়নি বলে এনডিটিভি সূত্রে খবর।

Advertisement

কেন এখনও রবিকে ভারতে প্রত্যপর্ণ করা গেল না? সূত্রের খবর, দুবাই কর্তৃপক্ষের দাবি, এই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কিছু নথি ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে দেওয়া হয়নি। যদিও ইডির দাবি, এমন কোনও বিষয়ই নয়। সব নথি সময়মতো পাঠানো হয়েছিল। দুই পক্ষের টানাপড়েনের মধ্যেই উধাও রবি।

২০২৪ সালে এই দুর্নীতির অন্যতম অভিযুক্ত সৌরভকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তিনি বাড়িতেই বন্দি রয়েছেন। তাঁকেও প্রত্যপর্ণের জন্য অনুরোধ করেছিল ভারত। যদিও সেই প্রক্রিয়া এখনও ঝুলে রয়েছে।

গত কয়েক মাস ধরে মহাদেব অনলাইন বুক নামে অনলাইন লটারি সংস্থার কারচুপি নিয়ে তদন্ত করছে ইডি। গোটা দুনিয়ায় সক্রিয় রবি, সৌরভের এই অনলাইন বেটিং চক্র। তাঁরা দু’জনেই ছত্তীসগঢ়ের বাসিন্দা। তবে এই সংস্থার সদর দফতর দুবাইয়ে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement