পানমশলা সংস্থার কর্ণধারের পুত্রবধূ দীপ্তি চৌরাসিয়া। ছবি: সংগৃহীত।
দেশের নামী পানমশলা সংস্থার কর্ণধারের পুত্রবধূ দীপ্তি চৌরাসিয়ার দেহ উদ্ধার হয়েছে দিল্লির বসন্তবিহার এলাকার বাড়ি থেকে। অভিযোগ, তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। মঙ্গলবার ওই ঘটনার পর থেকেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। অসমর্থিত সূত্রে একটি ‘নোট’ উদ্ধারের কথাও শোনা যাচ্ছে। সেখানে দীপ্তি লিখেছেন, ‘‘সম্পর্কের মধ্যে যদি ভালবাসা এবং বিশ্বাস না থাকে, তা হলে জীবনের অর্থ কী?’’ ঘটনার দু’দিন পর মুখ খুলল দীপ্তির পরিবার। তাঁর ভাই শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ তুললেন।
দীপ্তি কলকাতার মেয়ে। ২০১০ সালে নামী পানমশলা সংস্থার কর্ণধার কমলকিশোর চৌরাসিয়ার পুত্র অর্পিতের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। রয়েছে ১৪ বছর বয়সি এক পুত্রসন্তানও। মঙ্গলবার দীপ্তির স্বামী জিমে গিয়েছিলেন। পুত্র স্কুলে চলে যাওয়ার পর বাড়িতে একাই ছিলেন দীপ্তি। স্বামী ফিরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
দীপ্তির ভাই সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছিলেন, শ্বশুরবাড়িতে দীপ্তির উপর অত্যাচার করা হত। তাঁর স্বামীর একাধিক সম্পর্ক ছিল। এক জনকে গোপনে বিয়েও করেছিলেন। এমনকি, মুম্বইয়ে অর্পিতের অবৈধ এক সন্তান রয়েছে বলে দাবি করেছেন দীপ্তির ভাই। ফলে মানসিক ভাবে দীপ্তি ভেঙে পড়েছিলেন। তাঁর ভাইয়ের কথায়, ‘‘আমরা সম্প্রতি ওঁর (দীপ্তির স্বামীর) বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক এবং গোপন বিয়ের খবর পেয়েছিলাম। বোনকে কলকাতার বাড়িতে নিয়েও এসেছিলাম। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন এসে ওকে আবার নিয়ে যায়। ওঁরা কথা দিয়েছিলেন, বোনকে যত্নে রাখবেন। কিন্তু কথা রাখেননি।’’
ব্যবসায়ী পরিবারের আইনজীবী এই সমস্ত অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। দাবি, কারও বিরুদ্ধে দীপ্তির কোনও অভিযোগের কথা জানা যায়নি। কোনও নোটও উদ্ধার হয়নি। তাঁর মৃত্যুতে দুই পরিবার শোকস্তব্ধ।
দিল্লি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ-পশ্চিম) অমিত গয়াল জানিয়েছেন, দীপ্তির দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে সফদরজং হাসপাতালে। পুলিশ পরিবারের সদস্যদের বয়ান রেকর্ড করেছে। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।