মাওবাদী উপদ্রুত এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনীর প্রহরা। — ফাইল চিত্র।
ঝাড়খণ্ডে মাওবাদী উপদ্রুত এলাকা থেকে উদ্ধার হল আধাসেনা জওয়ানের দেহ। শনিবার পশ্চিম সিংভূম জেলার জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। নিহত জওয়ানের নাম রাজেশ কুমার। তিনি কেন্দ্রীয় আধাসেনা বাহিনী সিআরপিএফ-এর ১৯৩ নম্বর ব্যাটালিয়নে কর্মরত ছিলেন। কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হল, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
ঝাড়খণ্ডের সারান্ডার জঙ্গলে আধাসেনার একটি নজরদারি ক্যাম্পে কর্তব্যরত ছিলেন রাজেশ। ওই ক্যাম্প থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। ডিউটি পরিবর্তনের সময়ে অপর এক সিআরপিএফ জওয়ান ওই ক্যাম্পে পৌঁছোলে তিনি রাজেশের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ক্যাম্পের মধ্যেই অচেতন অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এবং রাজেশকে স্থানীয় এক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আধিকারিক সূত্রে পিটিআই জানাচ্ছে, কী কারণে ওই আধাসেনা জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য জামশেদপুরের এক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হৃদ্যন্ত্রের সমস্যার কারণে মৃত্যু হয়েছে কি না, তা-ও দেখা হচ্ছে বলে তদন্তকারী দল সূত্রে খবর।
গত মাসেই সারান্ডার জঙ্গলে মাওবাদীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চলাকালীন বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় এক আধাসেনা জওয়ানের। জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান চলাকালীন মাওবাদীদের পাতা ‘ইম্প্রোভাইজ়ড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস’ (আইইডি) বিস্ফোরণে সিআরপিএফের হেড কনস্টেবল মহেন্দ্র লস্কর (৪৫) নিহত হন। পরে দিল্লির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও এক জওয়ান নিহত হন।
নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-এর সশস্ত্র বাহিনী পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র ‘মুক্তাঞ্চল’ হিসেবে একদা পরিচিত ছিল সারান্ডা জঙ্গলের ওই অংশ। গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিক ভাবে সেখানে অভিযান চালাচ্ছে যৌথবাহিনী। গত সেপ্টেম্বরের এক সংঘর্ষে পশ্চিম সিংভূম জেলাতেই পিএলজিএ-র এরিয়া কমান্ডার অমিত হাঁসদা ওরফে আপ্তানের মৃত্যু হয়েছিল। তাঁর মাথায় দাম ছিল ১০ লক্ষ টাকা।