Pune Rape Case

মেডিক্যাল রিপোর্টেও ধর্ষণের প্রমাণ নেই! নিজেই নিজেকে হুমকিবার্তা লিখেছিলেন তরুণী! পুণে কাণ্ডে আর কী বলছে তদন্ত

পুণেয় ক্যুরিয়ার ডেলিভারি এজেন্ট সেজে জোর করে বাড়িতে ঢুকে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে ‘ধর্ষণ’-এর ঘটনায় এক সপ্তাহের মধ্যে রহস্যের কিনারা করল পুলিশ। পুলিশের দাবি, তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনা ‘সাজানো’, বার বার বয়ান পরিবর্তন করে পুলিশকে বিভ্রান্ত করারও চেষ্টা করছেন ‘নির্যাতিতা’।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫ ১০:৫৬
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

পুণেয় ক্যুরিয়ার ডেলিভারি এজেন্ট সেজে জোর করে বাড়িতে ঢুকে তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীকে ‘ধর্ষণ’-এর ঘটনায় এক সপ্তাহের মধ্যে রহস্যের কিনারা করল পুলিশ। রবিবার পুণের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার দাবি করেছেন, ধর্ষণের ‘ভুয়ো’ অভিযোগ এনে শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। পুলিশের দাবি, তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই ঘটনা ‘সাজানো’, বার বার বয়ান পরিবর্তন করে পুলিশকে বিভ্রান্ত করারও চেষ্টা করছেন ‘নির্যাতিতা’।

Advertisement

অমিতেশ অভিযোগের বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু না বললেও এটা স্পষ্ট যে গত বুধবার ২২ বছর বয়সি এক তরুণীর অভিযোগ সম্পর্কেই এ কথা বলেছেন তিনি। ওই তরুণীর অভিযোগ ছিল, একজন অজ্ঞাত ডেলিভারি এজেন্ট জোর করে তাঁর ফ্ল্যাটে ঢুকে চোখে ‘পিপার স্প্রে’ ছিটিয়ে দিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, যাওয়ার আগে ওই ব্যক্তি তরুণীর মোবাইলে নিজস্বী তুলে বার্তা লেখেন, ‘আবার ফিরে আসব’! যদিও অমিতেশ সংবাদমাধ্যম টাইম্স অফ ইন্ডিয়াকে বলেছেন, ‘‘আমাদের দল ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য ফাঁস করেছে। তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, ওই মহিলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর।’’ পুলিশ কমিশনার আরও জানিয়েছেন, আদতে যিনি ওই দিন তরুণীর আবাসনে গিয়েছিলেন, তিনি ওই তরুণীরই বন্ধু। তরুণী নিজেই তাঁর বন্ধুকে বাড়িতে ডেকেছিলেন। তাঁর সম্মতিতেই নিজস্বীটি তোলা হয়েছিল, যা তিনি পরে ‘এডিট’ করেন। সঙ্গে নিজেই লেখেন হুমকিবার্তাও। সব শেষে, একজন অজ্ঞাত কুরিয়ার ডেলিভারি এজেন্টের বিরুদ্ধে পুলিশে ‘ভুয়ো’ অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী।

শুধু তা-ই নয়, জোর করে বাড়িতে ঢোকা এবং পিপার স্প্রে ছেটানোর ঘটনাটিও সাজানো বলে জানিয়েছে পুলিশ। জ়োন ফাইভের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রাজকুমার শিন্দে বলেন, ‘‘আমরা তরুণীর মেডিক্যাল রিপোর্ট পেয়েছি। তবে, এই রিপোর্টগুলি অনিশ্চিত। এর থেকে প্রমাণ হয়নি যে ওঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে।’’ ঘটনার পর থেকে বার বার নিজের বয়ান বদলেছেন ওই তরুণী। তাঁর বয়ানেও নানা অসঙ্গতি রয়েছে। শনিবার বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ওই তরুণীর বয়ান ফের রেকর্ড করা হয়েছে। তাঁকে ও তাঁর বন্ধুকে একে অপরের সামনে বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তরুণী মহারাষ্ট্রের অকোলার বাসিন্দা। কর্মসূত্রে পুণেয় থাকতেন। কল্যাণীনগরের একটি আইটি কোম্পানিতে কাজ করেন তিনি। পুলিশের বক্তব্য, তরুণী যে ধরনের অসত্য অভিযোগ এনেছেন, তা ‘অত্যন্ত গুরুতর’। কেন তিনি এমন ঘটালেন, সে বিষয়ে আরও তদন্ত করা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই তরুণী মানসিক ভাবে অসুস্থ। তাঁকে কাউন্সেলিংয়েও পাঠানো হচ্ছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement