পাঁচের নীচে শিশু-মৃত্যু সবচেয়ে বেশি ভারতে

একই রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রতি হাজারটি শিশুর (পাঁচ বছরের কম) মধ্যে ভারতে মৃত্যু হয় ৩৭টি শিশুর। পাকিস্তান বা নাইজিরিয়ার মতো দেশে আবার সেই সংখ্যাটা যথাক্রমে ৬৯ এবং ১২০।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৯ ০১:৪৪
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

পাঁচ বছরের কম শিশুদের মৃত্যুর হার ভারতে সবচেয়ে বেশি বলে একটি রিপোর্টে দাবি করল ইউনিসেফ। গত কাল সেই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে ভারতে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু মৃত্যুর মোট সংখ্যা ৮ লক্ষ ৮২ হাজার। যেখানে নাইজিরিয়ার মতো দেশে সেই সংখ্যাটাই ৮ লক্ষ ৬৬ হাজার এবং পাকিস্তানে ৪ লক্ষ ৯ হাজার।

Advertisement

‘দ্য স্টেট অব দ্য ওয়ার্ল্ডস চিলড্রেন’ (এসওডব্লিউসি) নামে ওই রিপোর্টের তালিকায় প্রথমের দিকে রয়েছে সিঙ্গাপুর, ডেনমার্ক, বাহরাইন, নিউজ়িল্যান্ডের মতো দেশের নাম। ওই সব দেশে পাঁচ বছরের নীচে থাকা শিশুদের মৃত্যু সংখ্যা এক হাজারেরও নীচে। রিপোর্টটিতে সব দেশগুলিকে দু’টি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। একটি ‘হায়েস্ট বার্ডেন অব ডেথ’ এবং অন্যটি ‘লোয়েস্ট বার্ডেন অব ডেথ’। ওই রিপোর্টে শিশু মৃত্যুর হার ছাড়াও তাদের অপুষ্টি, শারীরিক ক্ষমতা নিয়েও তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

তবে ওই একই রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্রতি হাজারটি শিশুর (পাঁচ বছরের কম) মধ্যে ভারতে মৃত্যু হয় ৩৭টি শিশুর। পাকিস্তান বা নাইজিরিয়ার মতো দেশে আবার সেই সংখ্যাটা যথাক্রমে ৬৯ এবং ১২০।

Advertisement

একই সঙ্গে এসওডব্লিউসি-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, মৃত্যুর হার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভারতে পাঁচ বছরের কম বয়সের শিশুদের বৃদ্ধির হারও কম। অর্থাৎ এ দেশের প্রায় অর্ধেক শিশুরই ওজন এবং উচ্চতা বয়স অনুপাতে বাড়ে না।

তবে পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশুদের মৃত্যুর হার ভারতে বেশি বলা হলেও ইউনিসেফ তাদের বেশ কয়েকটি রিপোর্টে ভারতের সাম্প্রতিক সামগ্রিক জাতীয় পুষ্টি সমীক্ষার রিপোর্টের কথা উল্লেখ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, গত কয়েক বছরে দেশের শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্য উন্নয়নের বেশ কয়েকটি প্রকল্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। একটি রিপোর্ট যেমন বলছে, ২০০৬ সালে যেখানে ভারতের সাড়ে ২৪ শতাংশ শিশু মাতৃদুগ্ধ পান করত, ২০১৪ সালে সেই হারটাই বেড়ে হয়েছে সাড়ে ৪৪ শতাংশেরও বেশি। একই ভাবে ২০১২ সালে যে স্কুলে স্কুলে কিশোর-কিশোরীদের ফোলিক অ্যাসিড এবং আয়রন ট্যাবলেট দেওয়ার প্রকল্প চালু করা হয়েছিল, তা-ও পাচ্ছে ৩৬ শতাংশ পড়ুয়া। তবে তথ্য প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে এসওডব্লিউসি-র রিপোর্টটিতে ভারতের শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ২০১১ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ফাস্টফুডের বিক্রি বেড়েছে ১১ শতাংশ। যারা তা খাচ্ছে, তাদের একটা বড় অংশই হল শিশু ও কিশোর-কিশোরী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন