Bangladeshi National Arrest With Lover

বাংলাদেশি প্রেমিকাকে কাছে পেতে মরিয়া ভারতীয় যুবক, ত্রিপুরা সীমান্তে প্রেমের ‘মাসুল’ দিতে হল যুগলকে!

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত যুবতীর বয়স ৩৫বছর। তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের বগুড়ায়। কয়েক বছর আগে তিনি মুম্বইয়ের একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৫ ২১:১৯
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

কর্মক্ষেত্রে পরিচয় এবং সেখানেই মন দেওয়া-নেওয়া। কিন্তু সেই প্রেমের কারণেই গ্রেফতার হতে হল ভারতের যুবক এবং বাংলাদেশের যুবতীকে! অভিযোগ, বাংলাদেশি প্রেমিকাকে অবৈধ ভাবে নিজের কাছে আনতে চেয়েছিলেন কর্নাটকের যুবক। প্রেমিকাকে নিয়ে ভারতে ঢোকার সময়ে ত্রিপুরায় তাঁরা গ্রেফতার হন। অভিযোগ, বাংলাদেশি যুবতীর কাছে ভিসা-সহ বৈধ নথিপত্র ছিল না। তাঁকে বেআইনি ভাবে দেশে ঢোকানোর চেষ্টা করেন কর্নাটকের বাসিন্দা দত্ত যাদব।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত যুবতীর বয়স ৩৫বছর। তাঁর বাড়ি বাংলাদেশের বগুড়ায়। কয়েক বছর আগে তিনি মুম্বইয়ের একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। পরে সেখান থেকে চলে যান বেঙ্গালুরু। সেখানে যে বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন সেখানকার কর্মী ছিলেন বিদারের বাসিন্দা দত্ত। অফিসে দু’জনের পরিচয় এবং সেখান থেকে প্রেম।

কিছু দিন আগে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন ওই বাংলাদেশি যুবতী। কিন্তু প্রেমিকাকে কাছে পেতে আকুল হয়ে ওঠেন দত্ত। ফোনে কথাবার্তা হয় দু’জনের। প্রেমিকা প্রেমিককে কথা দেন তাঁর সঙ্গেই ঘর বাঁধবেন। ভারতে ঢোকার পরিকল্পনা করেন তিনি।

Advertisement

কর্নাটক থেকে ত্রিপুরা গিয়েছিলেন দত্ত। ঠিক ছিল ত্রিপুরার সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করবেন প্রেমিকা। কিন্তু বুধবার সিপাহীজলার সীমান্ত দিয়ে ঢোকার কিছু ক্ষণের মধ্যেই বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন দুই যুবক-যুবতী। তাঁদের তুলে দেওয়া হয় ত্রিপুরা পুলিশের হাতে।

পুলিশের দাবি, বাংলাদেশি যুবতীর কাছে বৈধ নথিপত্র ছিল না। আগে ভারতে আসার সময় তাঁর কাছে ভিসা ছিল কি না, সেটাও সন্দেহের। মনে করা হচ্ছে, ভুয়ো পরিচয় দিয়ে এ দেশে চাকরি করতেন তিনি। অন্য দিকে, তাঁকে অনুপ্রবেশে সাহায্যের অভিযোগে কর্নাটকের যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, আগরতলা থেকে বেঙ্গালুরু যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। শুক্রবার দু’জনকে আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন। তাঁদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইন, বিদেশি নাগরিক আইন এবং ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। ত্রিপুরা পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘আমরা নারী পাচারের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছি না। অবৈধ অনুপ্রবেশে সাহায্যের জন্য কোনও দালাল ছিল কি না, খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement