Most Delayed Train

যাত্রা শুরুর তিন বছর পরে গন্তব্যে স্থান, ক্ষতি ১৪ লক্ষ, কোথায় ছিল ট্রেন? কী বলছে ভারতীয় রেলের ইতিহাস

ওই ট্রেনের দেরিতে চলাচলের সঠিক কারণ জানা যায়নি। এত বছর পরেও রহস্য রয়ে গিয়েছে কেন এত দীর্ঘ সময় ট্রেনটি দেরি করেছিল। কী ভাবে তা খুঁজে পাওয়া গেল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ২১:১৪
Share:

ভারতীয় রেলের ইতিহাস বলছে, একটি ট্রেন দেরিতে চলাচলে সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ভারতে ট্রেন দেরিতে চলা খুবই সাধারণ বিষয়। নিত্যযাত্রীদের অভিজ্ঞতা বলছে, সঠিক সময়ে ট্রেন চলে না অনেক ট্রেনই। প্রায়ই দেখা যায় দূরপাল্লার কোনও কোনও ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছতে ৮-১০ ঘণ্টা দেরি করেছে। ভারতীয় রেলের ইতিহাস বলছে, একটি ট্রেন দেরিতে চলাচলে সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল। যা কল্পনা করা যায় না। তবে সেটি কোনও যাত্রিবাহী ট্রেন ছিল না। সেটি মালগাড়ি ছিল। গন্তব্যে পৌঁছতে ওই ট্রেনের সময় লেগেছিল প্রায় চার বছর।

Advertisement

ওই মালগাড়িটির ৩ বছর ৮ মাস ৭ দিন সময় লেগেছিল বিশাখাপত্ত্নম থেকে উত্তরপ্রদেশের বস্তিতে পৌঁছতে। ২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর কৃষিকাজে ব্যবহারের জন্য ১৩১৬ বস্তা রাসায়নিক সার নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। ওই ট্রেন ২০১৮ সালের ২৫ জুলাই গন্তব্যে পৌঁছেছিল। সাধারণত ওই দুই জায়গার মধ্যে ট্রেনে যাতায়াত করতে ৪২ ঘণ্টা সময় লাগে। ওই ঘটনায় রেলের অফিসাররাও অবাক হয়ে গিয়েছিলেন।

২০১৪ সালে বস্তির ব্যবসায়ী রামচন্দ্র গুপ্ত বিশাখাপত্ত্নমে ১৪ লক্ষ টাকার রাসায়নিক সারের অর্ডার দিয়েছিলেন। নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন না আসায় রেলের কাছে একাধিক অভিযোগ করেন। এই নিয়ে তদন্তও করেছিল রেল। প্রথমে বলা হয়, ওই ট্রেন হয়তো লাইন ভুল করে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছে। পরে রেলের এক অফিসার জানান, ওয়াগন বগি ক্ষতিগ্রস্ত হলে অনেক সময় মেরামতের জন্য কারশেডে পাঠানো হয়। সম্ভবত ওই মালগাড়িটিও কোনও কারশেডে পড়ে ছিল। তবে ওই ট্রেনের দেরিতে চলাচলের সঠিক কারণ জানা যায়নি। এত বছর পরেও রহস্য রয়ে গিয়েছে কোথায় ছিল ওই ট্রেন। জানা যায়নি, কেন এত দীর্ঘ সময় ট্রেনটি দেরি করেছিল। কী ভাবে তা খুঁজে পাওয়া গেল। অন্য দিকে, ২০১৮ সালে ট্রেনটি গন্তব্যে পৌঁছনোর পরে সমস্ত রাসায়নিক সার নষ্ট হয়ে যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement