৩ তালাক রায় মোদীর সাফল্য, প্রচারে সঙ্ঘ

শীর্ষ আদালত খারিজ করার পরেও মুসলিমদের একটি অংশ বলছে, তিন তালাক প্রথা বহাল থাকবে। জামিয়েত-উলেমা-ই হিন্দের সাধারণ সম্পাদক মেহমুদ মাদানি প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন, কেউ শাস্তি দিলে দিক। তিন তালাকে বিবাহ বিচ্ছেদ স্বীকৃত হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০১৭ ০৪:২০
Share:

ফাইল চিত্র।

ব্যক্তি পরিসরের অধিকার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বিজেপি যখন ব্যাকফুটে, সেই দিনই তিন তালাক নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর ‘সাফল্য’ তুলে ধরে দিল্লিতে সম্মেলন করল আরএসএস। আর সেই সুযোগে মুসলিমদের সেই অংশের বিরোধিতায় নামল সঙ্ঘ, যাঁরা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরোধিতা করে এখনও তিন তালাকের সমর্থনে কথা বলছেন।

Advertisement

শীর্ষ আদালত খারিজ করার পরেও মুসলিমদের একটি অংশ বলছে, তিন তালাক প্রথা বহাল থাকবে। জামিয়েত-উলেমা-ই হিন্দের সাধারণ সম্পাদক মেহমুদ মাদানি প্রকাশ্যেই জানিয়েছেন, কেউ শাস্তি দিলে দিক। তিন তালাকে বিবাহ বিচ্ছেদ স্বীকৃত হবে। তাঁর মতে, সুপ্রিম কোর্টের রায় ধর্মের আচারে হস্তক্ষেপ। শরিয়ত আইনের রক্ষক ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড’ সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখে ভোপালে বৈঠকে বসছে। তার আগে আরএসএসের সংখ্যালঘু শাখা ‘মুসলিম রাষ্ট্রীয় মঞ্চ’ দাবি করেছে, যাঁরা এখনও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরোধিতা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে নামবেন মুসলিম মহিলারাই।

আরও পড়ুন:জরুরি পদক্ষেপ, এগিয়ে গেল ৩৭৭ নিয়ে লড়াই

Advertisement

তিন তালাক খারিজ করার ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার জন্য আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘ধন্যবাদ’ দেওয়ার সম্মেলনের আয়োজন করেছিল আরএসএসের মুসলিম মঞ্চ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তিন-তালাকের শিকার মুসলিম মহিলারাও। সবাই মিলে প্রধানমন্ত্রীকে এক স্মারকলিপিও পেশ করেন। এমনই এক মহিলা শাহিন হোসেন বলেন, ‘‘বিজেপি যখন ক্ষমতায় এসেছিল, ভেবেছিলাম এই বিষয়ে কোনও সমর্থন পাওয়া যাবে না। কিন্তু তিন তালাকের বিষয়ে এই প্রথম কোনও প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লা থেকে সরব হলেন।’’ আরএসএসের দাবি, মুসলিম মঞ্চের প্রধান ইন্দ্রেশ কুমারই ২০০৩ থেকে তিন তালাক খারিজের দাবি নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলেন।

ইন্দ্রেশ আজ বলেন, তালাকের শিকার মহিলারা যাতে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন, সে জন্য বহু বছর ধরে চেষ্টা চলছে। এমন মহিলাদের রোজগারের ব্যবস্থা করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বারাণসীতেও। তাঁর মতে, তিন তালাক নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে তার সুবিচার পাওয়া যাবে। তবে যাঁরা ইতিমধ্যেই ভুক্তভোগী, তাঁদের জন্যও আরএসএস কাজ করবে। আরএসএস নেতার মতে, যাঁরা এখনও এর বিরোধিতা করছেন, তাঁরা কোরানের বিরুদ্ধে। অথবা কোনও রাজনৈতিক দলের হাতে তামাক খাচ্ছেন। বিজেপি সূত্রের মতে, দলের মুসলিম মোর্চাকেও আসরে নামিয়ে সংখ্যালঘুদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা হবে। সহযোগী হিসেবে থাকবে আরএসএস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন