(বাঁদিকে) নরেন্দ্র মোদী এবং প্রিয়ঙ্কা বঢরা গান্ধী (ডানদিকে)। ছবি: পিটিআই।
আরজেডির নেতৃত্বাধীন ‘মহাগঠনবন্ধন’ পটনায় ক্ষমতায় ফিরলে আবার কট্টাধারী (দেশি পিস্তলধারী) রংদারদের (দুষ্কৃতী) জঙ্গলরাজে পরিণত হবে বিহার। শনিবার বিধানসভা ভোটের প্রচারে সীতামঢ়ীতে গিয়ে এমনই ‘সতর্কবাণী’ শোনালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই সঙ্গে আরজেডি এবং কংগ্রেসের ‘পরিবারতন্ত্র’কেও নিশানা করলেন তিনি।
কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিহারের কাটিহারে কংগ্রেসের জনসভায় মোদীর অভিযোগের জবাব দিলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা। বললেন, ‘‘কট্টার মতো শব্দের প্রয়োগ প্রধানমন্ত্রী পদের গরিমার সঙ্গে শোভা পায় না। মোদী তাঁর পদের মর্যাদা বজায় রাখছেন না।’’ সীতামঢ়ীর পাশাপাশি শনিবার উত্তর বিহারের বেতিয়াতেও সভা করেন মোদী। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে বিহারকে ভারতের সেরা রাজ্যের তকমা দেওয়ার অঙ্গীকার করে ভোটদাতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘বিহার এখন ‘স্টার্ট আপ’ রাজ্য হতে চায়। তাই যাতে আবার কট্টা এবং রংদারির জঙ্গলরাজ ফিরতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে।’’
মোদীর ওই মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে প্রিয়ঙ্কা বলেছেন, ‘‘এনডিএ সরকার যুবকদের কর্মসংস্থান দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা এখন দুই কর্পোরেট বন্ধুর হাতে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি তুলে দিতে সক্রিয়।’’ এ ক্ষেত্রে নাম না-করে ওয়েনাড়ের কংগ্রেস সাংসদ শনিবার শিল্পপতি গৌতম আদানি এবং মুকেশ অম্বানীকে নিশানা করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী মোদী শনিবার লালুপ্রসাদ-তেজস্বীর আরজেডি এবং সনিয়া-রাহুলের কংগ্রেসে ‘পরিবারতন্ত্র’ এবং ‘দুর্নীতি’কেও নিশানা করেছেন। ইউপিএ জমানার ‘জমির বিনিময়ে চাকরি’ এবং ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলার দিকে ইঙ্গিত করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘এই সব নেতা এখন জামিনে মুক্ত রয়েছেন। ওঁরা ওঁদের পরিবারের লোকেদের মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক করবেন, আর আপনাদের পরিবারের ছেলেদের রংদার বানাবেন। বিহার আর তা মেনে নেবে না।’’