হাগ্রামা মহিলারি। —ফাইল চিত্র।
পাঁচ বছর পরে অসমের বড়োল্যান্ড স্বশাসিত পরিষদে (টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল)-র নির্বাচনে জিতে ক্ষমতার ফিরতে চলেছেন বড়োল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট (বিপিএফ)-এর নেতা হাগ্রামা মহিলারি। ভোট হওয়া ৪০টি আসনের মধ্যে ২৮টিতে জিতেছে তাঁর দল। ফলে প্রাক্তন জঙ্গিনেতার পরিষদের চেয়ারম্যান পদ দখল করা কার্যত নিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে।
স্বশাসিত পরিষদে মোট সদস্য সংখ্যা ৪৬ হলেও, ছ’জন সদস্য রাজ্যপাল মনোনীত। তাই ব্যালটের লড়াই হয় ৪০টি আসনে। যার মধ্যে ৩৫টি জনজাতিদের জন্য সংরক্ষিত। এ বারের ভোটে বিদায়ী চেয়ারম্যান প্রমোদ বড়োর দল ইউনাইটেড পিপলস পার্টি লিবারাল (ইউপিপিএল) জিতেছে সাতটিতে। বিজেপি পাঁচ এবং প্রাক্তন সাংসদ তথা অ-বড়ো জনগোষ্ঠীর নেতা হীরা শরণিয়ার দল গণসুরক্ষা পার্টি জিতেছে একটিতে। কাগজে-কলমে এনডিএ-র সদস্য হলেও হাগ্রামার বিপিএফ এবং বিজেপি এ বারের ভোটে আলাদা ভাবে লড়েছিল।
২০২০ সালে বড়োল্যান্ড টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল নির্বাচনে বিপিএফ ১৭, ইউপিপিএল ১২, বিজেপি নয় এবং গণসুরক্ষা পার্টি ও কংগ্রেস একটি করে আসনে জিতেছিল। এ বার পরিষদে আসন কমেছে বিজেপির। কংগ্রেসের ঝুলি শূন্য। প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে বড়ো চুক্তির মাধ্যমে জঙ্গিগোষ্ঠী বড়োল্যান্ড টাইগার্স (বিএলটি)-এর রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম শেষ হয়েছিল। তৈরি হয়েছিল স্বশাসিত পরিষদ। বিএলটি-র শীর্ষনেতা হাগ্রামা এর পরে রাজনৈতিক দল বিপিএফ গড়েছিলেন। ২০০৫ এবং ২০১০ সালে স্বশাসিত পরিষদের প্রথম ও দ্বিতীয় ভোটে নিরঙ্কুশ সংখ্যগরিষ্ঠতা নিয়ে জিতে এসেছিল বিপিএফ। ২০২৫-র নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালেও কংগ্রেসের সমর্থনে ক্ষমতা ধরে রেখেছিলেন হাগ্রামা। কিন্তু ২০২০ সালের ভোটের পর জোট গড়ে ক্ষমতা দখল করেছিল ইউপিপিএল এবং বিজেপি।