United Nations

নীতি বদলের ইঙ্গিত! জঙ্গি হানার আঁচ পেলেই পাল্টা হামলা, রাষ্ট্রপুঞ্জে বার্তা ভারতের

সম্প্রতি বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে গোয়েন্দা সূত্রের উল্লেখ করে জানিয়েছিলেন, পাক জঙ্গি সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া ভারতে ফিদায়েঁ হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৬:৩৯
Share:

জঙ্গি দমন অভিযানে ভারতীয় সেনা। ফাইল চিত্র।

ভবিষ্যতে ফের পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বা খাইবার-পাখতুনখোয়ার বালাকোটে বিমানহানার মতো পদক্ষেপ করতে পারে ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন ভারতের সহকারী স্থায়ী প্রতিনিধি কে নাগরাজ নায়ডু।

Advertisement

মেক্সিকোয় আয়োজিত ‘আরিয়া ফর্মুলা’ বৈঠকে বুধবার নাগরাজ জানান, বহু বছর ধরেই ‘আগে আক্রান্ত হলে প্রত্যাঘাত’ নীতি অনুসরণ করেছে ভারত। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সীমান্ত পারের সন্ত্রাস ঠেকাতে প্রয়োজনে প্রথমে আঘাত হানার কৌশল নেওয়া হতে পারে। রাষ্ট্রপুঞ্জ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত ওই বৈঠকে পাকিস্তানের নাম না করে নাগরাজ বলেন, ‘‘তৃতীয় একটি দেশ থেকে যখন দেশহীনরা (নন স্টেট অ্যাক্টর) হামলা চালানোর প্রস্তুতি নেয়, তখন তার মোকাবিলা করাই আমাদের নীতি।’’

আমেরিকায় ৯/১১ সন্ত্রাসের পর রাষ্ট্রপুঞ্জ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে গৃহীত ১৩৬৮ (২০০১) এবং ১২৭৩ (২০০১) প্রস্তাবের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন তিনি । ওই সনদ দু’টিতে সন্ত্রাস থেকে আত্মরক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অধিকারের কথা বলা হয়েছিল। প্রসঙ্গত আরিয়া বৈঠকের সুপারিশগুলি নিয়ে পরবর্তী পর্যায়ে নিরাপত্তা পরিষদে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়। ৯/১১ সন্ত্রাসের পরেও নিরাপত্তা পরিষদের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব গ্রহণের আগে সংশ্লিষ্ট সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে আলাদা ভাবে সন্ত্রাস দমনের সম্ভাব্য পদক্ষেপের বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল।

Advertisement

সম্প্রতি বিদেশ সচিব বিজয় গোখলে গোয়েন্দা সূত্রের উল্লেখ করে জানিয়েছিলেন, পাক জঙ্গি সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়া ভারতে ফিদায়েঁ হানার প্রস্তুতি নিচ্ছে। মেক্সিকোয় নাগরাজ সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে জানান, জঙ্গিদের কাজে লাগিয়ে কোনও দেশ যদি ছায়াযুদ্ধ চালাতে চায়, তবে চুপ করে বসে থাকবে না ভারত। মুম্বইয়ে ১৯৯৩ সালের ধারাবাহিক বিস্ফোরণ, ২৬/১১ হামলা, পঠানকোট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হানা এবং পুলওয়ামা সন্ত্রাসের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘প্রতিটি ক্ষেত্রেই একটি নির্দিষ্ট দেশ থেকে হামলাকারীদের প্রশিক্ষণ, অর্থসাহায্য, প্রয়োজনীয় তথ্য ও অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন