বিতর্কিত সেই কাশির ওষুধ। ছবি: সংগৃহীত।
কাশির ওষুধে কোনও ‘বিষ’ নেই! প্রমাণ করতে গিয়ে বিপদে পড়লেন রাজস্থানের এক চিকিৎসক। নিজেই ওই ‘বিষাক্ত’ ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় তাঁকে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের ভরতপুরে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভরতপুরের কালসারা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওই চিকিৎসকের লিখে দেওয়া কাশির ওষুধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল তিন বছরের এক শিশু। পরিবারের অভিযোগ ছিল, সরকারি প্রকল্পের অধীনে দেওয়া ওই কাশির ওযুধে ‘বিষ’ ছিল। তাই শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। কিন্তু এই অভিযোগ মানতে চাননি ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক। কাশির ওষুধটি ক্ষতিকর নয়, তা প্রমাণ করতে নিজেই খেয়ে ফেলেন তিনি। শুধু তিনি একা নন, আরও দুই স্বাস্থ্যকর্মীকেও ওই ওষুধ খাওয়ান। তার পর পরই তিন জনই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
জানা গিয়েছে, গত ২৫ সেপ্টম্বর জ্বর-সর্দি-কাশির উপসর্গ নিয়ে কালসারা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এক শিশুকে নিয়ে এসেছিল তার পরিবার। তাকে পরীক্ষা করে একটি কাশির ওষুধ লিখে দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক তারাচাঁদ যোগী। কিন্তু সেই ওষুধ খাওয়ার পরই অজ্ঞান হয়ে যায় শিশুটি। তড়িঘড়ি তাকে অন্য এক চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা। তিনি পরীক্ষা করে শিশুটিকে ভেন্টিলেশনে রাখার পরামর্শ দেন। সেই পরিবারের লোকেরা তাকে অন্য হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে শিশুটি অনেকটা সুস্থ বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
এই ঘটনার পরই অসুস্থ শিশুর পরিবার তারাচাঁদের সঙ্গে দেখা করে। অভিযোগ করে, কাশির ওযুধটি ক্ষতিকারক। তবে পরিবারের মানতে চাননি তারাচাঁদ। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ওই কাশির ওষুধ খেয়ে ফেলেন। কিছু ক্ষণ পরই অসুস্থবোধ করেন তিনি। সিদ্ধান্ত নেন বাড়ি ফেরার। জানা যায়, বাড়ির নীচে গ্যারাজে গাড়ির মধ্যে ওই চিকিৎসককে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয় তাঁকে।
সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ছিন্দরা জেলায় ছয় শিশুর বৃক্ক বিকল হয়ে মৃত্যু হয়। রাজস্থানের সিকার জেলাতেও বৃক্ক বিকল হয়ে এক শিশুর মৃত্যু হয়। প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই ওই শিশুদের কাশির সিরাপ খাওয়ানো হয়েছিল। তার জেরেই দানা বাঁধে বিতর্ক। ওই কাশির সিরাপ খাওয়ার ফলেই শিশুদের বৃক্ক বিকল হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।