মণিপুরের জন্য বরাদ্দ চাল শিলচরে বিক্রি

মণিপুরের জন্য বরাদ্দ চাল বিক্রি হয়ে গিয়েছে শিলচরের বাজারে। আর তাতেই ধরা পড়েছে তিন জন। চুরির চাল কিনেছিলেন যে ব্যবসায়ী, তিনিও এখন পলাতক।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শিলচর শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৭ ০২:০৩
Share:

মণিপুরের জন্য বরাদ্দ চাল বিক্রি হয়ে গিয়েছে শিলচরের বাজারে। আর তাতেই ধরা পড়েছে তিন জন। চুরির চাল কিনেছিলেন যে ব্যবসায়ী, তিনিও এখন পলাতক।

Advertisement

কাছাড়ের পুলিশ সুপার রাকেশ রৌশন জানিয়েছেন, গত শনিবার তিনটি ট্রাক শিলচরের শালচাপড়া রেলইয়ার্ড থেকে চাল সংগ্রহ করেছিল। মণিপুরে সেগুলি পৌঁছনোর কথা ছিল। কিন্তু অভিযোগ, তিন জন ওই চাল ফাটকবাজারে নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেয়।

গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার পুলিশ বিমল পালের গুদামে তল্লাশি চালায়। সেখান থেকে ৯৫০ বস্তা চাল বাজেয়াপ্ত করা হয়ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে কনকপুরের সুব্রত রায়, বিহাড়ার সাদিক আহমেদ এবং বাঁশকান্দির সন্তোষ সিংহ।

Advertisement

সুব্রত চাল পরিবহণকারী সংস্থার এজেন্ট এবং সন্তোষ চাল বিক্রিতে দালালের কাজ করছিল বলে সূত্রের খবর। সিদ্দেক আহমেদ একটি ট্রাকের চালক। অন্য দুই ট্রাকচালককে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

কাছাড়ের পুলিশ সুপার রাকেশবাবু জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা চুরির কথা স্বীকার করেছে। ১০ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছিল ভারতীয় খাদ্য নিগমের ওই চাল। চুরির ঘটনায় আরও কারা কারা জড়িত রয়েছে, পুলিশ এখন তা-ই খতিয়ে দেখছে।

মণিপুরের চাল এ ভাবে শিলচরে বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনা অবশ্য এই প্রথম নয়। রাকেশবাবুর কথায়, ‘‘এর আগে কবে কোথায় তারা চাল বিক্রি করেছিল, সে সব তথ্য জানারও চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।’’ মণিপুরেরও যে কেউ কেউ তাতে জড়িত, পুলিশ সে ব্যাপারে নিশ্চিত। তবে কারা জড়িত, সেটা মণিপুর পুলিশকেই খুঁজে বের করতে হবে। তাই তদন্তের প্রয়োজনে তারা মণিপুর পুলিশের সাহায্যও চাইতে পারেন বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন