বিহারের ভোটে শোচনীয় দশা তেজস্বী যাদব, রাহুল গান্ধীদের জোটের। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
বিহারে গত বিধানসভা নির্বাচনে যে দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছিল, এ বার তার করুণ দশা। এক থেকে একেবারে তিন নম্বরে চলে যেতে চলেছে লালু প্রসাদ যাদব, তেজস্বী যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)। গণনা এখনও শেষ হয়নি। তবে প্রবণতা তেমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে। রেকর্ড ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট, সৌজন্যে নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ)। তবে বিজেপি একক ভাবেও অনেকটা এগিয়ে রয়েছে বিহারে।
মহাগঠবন্ধনে অবশ্য আরজেডি-ই খানিকটা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কংগ্রেস একেবারেই দাগ কাটতে পারেনি। এখনও পর্যন্ত তারা মাত্র ছ’টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। আরজেডি এগিয়ে ৩৪ থেকে ৩৫টি আসনে। তুলনায় লিবারেশন (সিপিআইএমএল) কিছুটা ভাল ফল করছে। তারা এগিয়ে সাতটি আসনে। মহাগঠবন্ধন জোটের সার্বিক সংগ্রহ মাত্র ৫১। সেখানে এনডিএ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জাদুসংখ্যা অনেক আগেই পেরিয়ে গিয়েছে। ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন হয় ১২৩টি আসন। এখনও পর্যন্ত এনডিএ ১৯০টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
লিবারেশন বাদ দিলে মহাগঠবন্ধনে বাম দলগুলির অবস্থাও
বেশ করুণ। সিপিএম একটি আসনে এগিয়ে রয়েছে। কিন্তু সিপিআই শূন্য। ভিআইপি, আইআইপি খাতা খুলতে পারেনি। মিমও তিনটি আসনে এগিয়ে রয়েছে।
গত ৬ নভেম্বর এবং ১১ নভেম্বর বিহারে দু’দফায় ভোটগ্রহণ হয়েছে। তিন দিনের মাথায় শুক্রবার গণনা হচ্ছে। এ বছর বিহারে নির্বাচনের ঠিক আগে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) হয়েছে। প্রায় ৩০ লক্ষ নাম তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে। দুই পর্বেই ৬০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। প্রায় প্রতিটি বুথফেরত সমীক্ষায় নীতীশ-বিজেপির জোটকে এগিয়ে রাখা হয়েছিল। গণনায় তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে।