দেশের উত্তর-পূর্বে উত্তেজনা কমাতে নাগরিকত্ব বিল ঠান্ডা ঘরে পাঠানোর প্রস্তাব দিল তৃণমূল। ছবি: পিটিআই।
নাগরিকত্ব বিল নিয়ে আপত্তি রয়েছে উত্তর-পূর্বের অধিকাংশ রাজ্যের। আপত্তি রয়েছে তৃণমূলেরও। দেশের উত্তর-পূর্বে উত্তেজনা কমাতে আপাতত ওই বিলটিকে ঠান্ডা ঘরে পাঠানোর প্রস্তাব কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে দিয়ে এলেন তৃণমূল সাংসদেরা।
এ দিকে আজ বিষয়টি নিয়ে রাজনাথের সঙ্গে বৈঠক ছিল উত্তর-পূর্বের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, সংসদে বাজেট ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অন্য কাজ এসে যাওয়ায় আজ ওই বৈঠকটি বাতিল করা হয়েছে। তবে কয়েক দিনের মধ্যেই সেটি হবে। এর মধ্যে আজই বাজেট পর্ব শেষ হওয়ার পরেই ওই বিলটি প্রসঙ্গে আলোচনা করতে রাজনাথের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূল সাংসদেরা। বৈঠকের পর তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব বিল পাশ করার জন্য আমাদের সহযোগিতা চেয়েছেন রাজনাথ। কিন্তু আমরা জানিয়ে দিয়েছি, এর ফলে অসমে আরও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটবে। তাই একে আপাতত ঠান্ডা ঘরে পাঠিয়ে দেওয়াই ভাল।’’
কাল কোচবিহারে যাচ্ছেন রাজনাথ। আলোচনায় ওঠে সম্প্রতি অমিত শাহের কাঁথি সফরের পর হিংসার প্রসঙ্গ। তৃণমূল নেতারা রাজনাথকে বলেন, ‘‘আপনি যত বার খুশি বাংলায় যান, শান্তিতে সভা করুন। কিন্তু অমিত শাহের সভা থেকে ফেরার পথে যে ভাবে তৃণমূল অফিস ভাঙচুর হয়েছে তা বরদাস্ত করার মত নয়।’’ তৃণমূলের দাবি, একমত হয়েছেন রাজনাথ। সূত্রের খবর, তিনি তৃণমূল সাংসদদের বলেছেন, পোস্টার ছেঁড়া অনুচিত। তৃণমূল নেত্রীর ছবিতে আগুন দেওয়ারও নিন্দা করেন তিনি। রাজনৈতিক গুঞ্জন, ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজনাথের এই যোগাযোগ তাৎপর্যপূর্ণ। সুষমা স্বরাজ বা লালকৃষ্ণ আডবাণীর মতো রাজনাথের সঙ্গেও মমতার পুরনো সম্পর্ক। বিজেপির অন্দরমহলের খবর, আসন্ন লোকসভা ভোটে নিতিন গডকড়ীর মত রাজনাথও দলে নিজের ঘুঁটি সাজাচ্ছেন। লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রিত্ব। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই চলতে চাইছেন রাজনাথ।