Nipah virus

নিপা ভাইরাসেই দু’জনের মৃত্যু কেরলে, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যাবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল

নিপা ভাইরাসের কবলে পড়ে ৩০ অগস্টের পর সোমবার কোঝিকোড়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ইতিমধ্যেই কোঝিকোড়ে একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছে কেরল সরকার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

তিরুঅনন্তপুরম শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৯:৩০
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে কেরলে দু’জনের মৃত্যুর জন্য দায়ী নিপা ভাইরাস। মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয়। তিনি আরও জানিয়েছেন, দক্ষিণের এই রাজ্যে নিপা ভাইরাসের মোকাবিলায় কেরল সরকারকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে একটি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদলও কেরলে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের কাছে মাণ্ডবীয় বলেন, ‘‘কেরলে নিপা ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে কী ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকারের সহায়তায় একটি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পাঠানো হয়েছে।’’

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ৩০ অগস্টের পর সোমবার কেরলের কোঝিকোড়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে দু’জনের ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় স্বাস্থ্য দফতরের আশঙ্কা ছিল, মৃতেরা নিপা ভাইরাসের কবলে পড়েছিলেন। সোমবার কোঝিকোড় জেলা জুড়ে নিপা ভাইরাস বিষয়ে সতর্কতা জারি করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। অন্য দিকে, এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ইতিমধ্যেই কোঝিকোড়ে একটি কন্ট্রোল রুম খুলেছে কেরল সরকার।

Advertisement

গোটা পরিস্থিতিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজ্যবাসীকে অনুরোধ করেছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘‘এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। মৃত দু’জনের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের সন্ধান মিলেছে। তাঁদের চিকিৎসাও শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় সতর্ক থাকাটা জরুরি। এই ভাইরাসের মোকাবিলায় স্বাস্থ্য দফতর যে রূপরেখা তৈরি করেছে, তা মেনে চলার জন্য সকলের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।’’

নিপা ভাইরাসে মড়কের সাক্ষী থেকেছে কোঝিকোড় এবং মলপ্পুরম জেলা। ২০১৮ সালে এই ভাইরাসের জেরে দুই জেলায় ১৭ জনের মৃত্যু হয়। সেই সঙ্গে ১৮ জন আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। ২০২১ সালেও এই ভাইরাসে মড়ক দেখা দেয় দু’জেলায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানিয়েছে, মানবদেহের পাশাপাশি পশুপাখিদের মধ্যে সংক্রমণ ঘটাতে পারে নিপা ভাইরাস। ফলাহারী বাদুড় বা ‘ফ্রুট ব্যাটস’-এর মাধ্যমে মূলত এর সংক্রমণ ঘটে। আক্রান্তদের মধ্যে সাধারণত জ্বর, পেশির ব্যথা, মাথাধরা, ঝিমুনি এবং বমি বমি ভাবের উপসর্গ দেখা দেয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন