Viral

‘নাটক না করে হুইল চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ান’

ভৈরালি ও তাঁর সঙ্গে থাকা এক ব্যক্তি ওই মহিলা কর্মীকে বার বার বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন, উঠে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। কিন্তু তিনি শুনতে রাজি ছিলেন না। এমনকি যতক্ষণ না উঠে দাঁড়াবেন ততক্ষণ সিকিউরিটি চেকও হবে না বলে জানিয়ে দেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৭:৩০
Share:

ভৈরালি মোদীর ফেসবুক থেকে নেওয়া ছবি।

১৩ বছর ধরে হুইল চেয়ারই তাঁর চলাফেরার সঙ্গী। মেরুদণ্ডের সমস্যার জন্য ২০০৬ সাল থেকে উঠে দাঁড়াতে পর্যন্ত পারেন না। কিন্তু সেই মহিলাকেই দিল্লি বিমানবন্দরে এক মহিলা নিরাপত্তা কর্মীর কাছে শুনতে হল, “নাটক না করে উঠে দাঁড়ান।” সোশ্যাল মিডিয়ায় এই অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়।

Advertisement

দিল্লি বিমানবন্দর হয়ে মুম্বই যাচ্ছিলেন ভৈরালি মোদী(২৮)। মেরুদণ্ডের সমস্যার জন্য তিনি একটি হুইল চেয়ার নিয়েই সারা বিশ্ব ঘুরে বেড়ান। কিন্তু দিল্লি বিমানবন্দরে এক মহিলা সিআইএসএফ কর্মী তাঁকে কার্যত হুইল চেয়ার ছেড়ে দাঁড়াতে বাধ্য করছিলেন। কারণ ওই মহিলা কর্মীর মনে হচ্ছিল, ভৈরালি ‘নাটক’ করছেন।

ভৈরালি ও তাঁর সঙ্গে থাকা এক ব্যক্তি ওই মহিলা কর্মীকে বার বার বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন, উঠে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। কিন্তু তিনি শুনতে রাজি ছিলেন না। এমনকি যতক্ষণ না উঠে দাঁড়াবেন ততক্ষণ সিকিউরিটি চেকও হবে না বলে জানিয়ে দেন। অবশেষে ওই মহিলা কর্মী তাঁর সিনিয়র এক অফিসারকে ডাকেন। সিনিয়র অফিসারের হস্তক্ষেপে ভৈরালিরা সিকিউরিটি চেক করে বিমানন্দরের ভিতরে যেতে পারেন।

Advertisement

আরও পড়ুন : বাংলাদেশকে টেস্টে হারিয়ে তুমুল নাচ আফগান শিশুদের

আরও পড়ুন : আইফোন-১১ কিনতে নাকি কিডনি বিক্রির অপশন থাকছে!

এখানেই শেষ নয়, গোটা বিষয়টি বিস্তারিত জানিয়ে সিআইএসএফের প্রধানকে ই-মেল করেন ভৈরালি। পরে সেই মেলের স্ক্রিন শটও তুলে দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। মেল পেয়েই ভৈরালিকে ফোন করেন সিআইএসএফের প্রধান। এমনকি পরের বার ভৈরালি দিল্লি এলে যেন তাঁর সঙ্গে দেখা করেন, তার আমন্ত্রণও জানিয়ে রাখেন সিআইএসএফ প্রধান।

আরও পড়ুন : শূন্যে টানা ৩০ ডিগবাজি, খোঁজ মিলল নতুন প্রতিভার

ভৈরালি জানান, সিআইএসএফ প্রধানের আশ্বাসে তিনি কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন। কিন্তু তাঁর সঙ্গে দিল্লি বিমানবন্দরে যা হল তা তিনি সারাজীবন মনে রাখবেন। সেই সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন, ওই মহিলা কর্মী যে ভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তাতে ভৈরালি তাঁর নাম লেখা ব্যাচটি দেখতে পাননি। ফলে তিনি তাঁর নামও জানেন না। গতবছর মুম্বই এয়ারপোর্টেও তাঁর এমনই এক তিক্ত অভিজ্ঞাতা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ভৈরালি। সেবার মুম্বই এয়ারপোর্টের এক কর্মী জোর করে তাঁকে হুইল চেয়ার থেকে তুলে নেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন