Guilt Free Street Food

রাস্তার জিভে জল আনা খাবার খেয়েও ওজন ঝরানো যায়! কোন কোন খাবারে কম ক্যালোরি জানেন?

অফিসপাড়া দিয়ে যাবেন অথচ নাকে গন্ধ আসবে না, তা-ও কি হয়! ঘরে যাঁদের খিদে পায় না, তাঁদেরও ফুটপাতের খাবার দেখে জিভে জল আসে। ডায়েট করছেন বলেই সব খাবার বাদ নয় কিন্তু! কম ক্যালোরির কোন কোন খাবার খেতে পারেন রাস্তায় বেরিয়ে?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৫ ১৪:২৩
Share:

ডায়েট করলেও রাস্তার খাবার খাওয়া যায়? কোন কোন খাবার স্বাস্থ্যসচেতন হয়েও খেতে পারেন? ছবি: সংগৃহীত।

রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন। ছাঁকা তেলে ভাজা গরম বেগুনি, চপ দেখে লোভ হবে না, তা-ও কি হয়! রাস্তাই যে খাবারের খনি। তেলেভাজা থেকে দোসা, ইডলি, ঘুগনি, ডিমসেদ্ধ, চাউমিন, চিলি চিকেন, স্যান্ডউইচ— কী নেই সেখানে? এ সব খাবারের স্বাদ এবং ঘ্রাণ এমনই, পাশ দিয়ে গেলে খিদে না থাকলেও খেতে ইচ্ছা করে।

Advertisement

রাস্তার খাবার তা যতই অস্বাস্থ্যকর বলা হোক না কেন, এ স্বাদের ভাগ হয় না। কিন্তু ডায়েট করলে এমন খাবার দেখেও লোভ সামলাতে হয় বইকি! তবে একটু ভেবে দেখলেই এর মধ্যে থেকে এমন খাবার বেছে নিতে পারেন, যাতে ক্যালোরির পরিমাণ তুলনামূলক কম বা খেলেও ঠিক ততটা ক্ষতি হবে না।

ঝালমুড়ি: লঙ্কা, মশলা, বাদাম, নারকেল মাখা ঝালমুড়ি তুলনাহীন। ডায়েট করলেও নিশ্চিন্তে ঝালমুড়ি খাওয়া যায়। চাইলে অবশ্য তেলের পরিমাণটা কমিয়ে দিতে পারেন বা তেলটুকু বাদ দিতে পারেন। টম্যাটো, বাদাম, ছোলা দিয়ে মাখা মুড়িতেও কিন্তু পুষ্টিগুণ যোগ হয়।

Advertisement

ভুট্টা পোড়ানো: পোড়ানো ভুট্টায় একটু নুন এবং পাতিলেবুর রস ঘষে দিলেই হয়ে যায় সুস্বাদু। রাস্তার খাবার হিসাবে এটিও ভীষণ জনপ্রিয়।একটি মাঝারি আকারের ভুট্টায় ৭৭-৮০ ক্যালোরি মেলে। ভিটামিন এবং খনিজসমৃদ্ধ খাবারটিও কিন্তু ডায়েট করলেও তালিকায় রাখা যায়।

ছোলা মাখা: এই খাবারে ক্যালোরি খুব কম নয় বটে, কিন্তু ডায়েট করলেও এটি খাওয়া যায়। চিনেবাদামে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ মেলে। এতে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। সেদ্ধ বা ভেজানো ছোলা পেঁয়াজ, লঙ্কা, পাতিলেবুর রস, নুন এবং মশলা দিয়ে মাখিয়ে নিলেই দারুণ মুখরোচক খাবার হয়ে যায়। ছোলায় ক্যালোরির পরিমাণ যদিও খুব একটা কম নয়। তবে ২৫ থেকে ৫০ গ্রামের মতো খাওয়াই যায়।

ঘুগনি: অফিসপাড়ায় আনাগোনা থাকলে এমন খাবার খাননি, তা কিন্তু হতে পারে না। ঝোল ঝোল ঘুগনির মধ্যে হার্ড বয়েল বা হাফ বয়েল ডিম সেদ্ধ কেটে দেওয়া হয়। উপর থেকে দেওয়া হয় পেঁয়াজ, লঙ্কাকুচি এবং মশলার গুঁড়ো। বাড়িতে যতই তোয়াজ করে ঘুগনি রান্না হোক না কেন, রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া ঘুগনির স্বাদ হয় আলাদা। রোল, চাউমিন এবং একটা শিঙাড়ায় যত ক্যালোরি থাকে তার চেয়ে অনেক কম ক্যালোরি এতে। ডিম বাদ দিলে ক্যালোরি আরও কমবে। তবে ডিম বা মটর দিয়ে তৈরি ঘুগনি, দু’টিতেই কিন্তু পুষ্টিগুণ আছে।

দইবড়া: রাস্তাঘাটে ইডলি, দোসার সঙ্গে দইবড়াও পাওয়া যায়। একটি দইবড়ায় ১০০ ক্যালোরি মেলে। তবে শিঙাড়া, এগরোলের চেয়ে এটি তুলনামূলক বেশি স্বাস্থ্যকর। দই পেটের পক্ষে ভাল। প্রোবায়োটিক থাকে এতে। এটি খেতেও সুস্বাদু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement