Fake Website Scam

দুবাই ঘুরতে গিয়ে প্রতারিত অর্চনা পূরণ সিং, খোয়ালেন টাকাও, কী ভাবে ভুয়ো ওয়েবসাইট থেকে বাঁচবেন?

দুই ছেলে ও স্বামী পরমিতকে নিয়ে দুবাই ভ্রমণে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। জানিয়েছেন, সেখানে গিয়ে স্কাইডাইভিং-এর জন্য এক ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কাটেন। পরে জানা যায়, সেই ওয়েবসাইটটি ভুয়ো ছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৫ ১১:৫৪
Share:

ভুয়ো ওয়েবসাইটে টিকিট কেটে বিস্তর টাকা খুইয়েছেন অর্চনা, কী ভাবে এমন ওয়েবসাইট চিনবেন? ছবি: সংগৃহীত।

সপরিবার দুবাই ঘুরতে গিয়ে ডিজিটাল প্রতারণার শিকার হলেন অভিনেত্রী অর্চনা পূরণ সিং। ইউটিউবে তাঁর ভ্লগে অর্চনা জানিয়েছেন, দুবাইয়ের মতো জায়গাতেও সাইবার প্রতারণা হচ্ছে। কারণ ভুয়ো ওয়েবসাইটে ভরে গিয়েছে ইন্টারনেট। তেমনই এক ওয়েবসাইটের ফাঁদে পড়ে বিস্তর টাকাপয়সা খুইয়েছেন অর্চনা।

Advertisement

দুই ছেলে ও স্বামী পরমিতকে নিয়ে দুবাই ভ্রমণে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। জানিয়েছেন, সেখানে গিয়ে স্কাইডাইভিং-এর জন্য এক ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কাটেন। পরে জানা যায়, সেই ওয়েবসাইটটি ভুয়ো ছিল।

ডিজিটাল মাধ্যমের উপর নির্ভরতা যত বাড়ছে, ততই সাইবার অপরাধীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। কিছু দিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকার সতর্ক করে জানিয়েছিল, অনলাইনে টিকিট বা ঘর বুকিং করার ক্ষেত্রে প্রতারণার শিকার হতে পারেন সাধারণ মানুষ।ভারতীয় সাইবার অপরাধ সমন্বয় কেন্দ্র বা আইফোরসি (ইন্ডিয়ান সাইবার ক্রাইম কোঅর্ডিনেশন সেন্টার) এই মর্মে বিবৃতিও প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, অনলাইন বুকিংয়ের দুনিয়ায় ফাঁদ পেতে রেখেছে প্রতারকেরা। সামান্য অসাবধানতায় সেই ফাঁদে পা দিয়ে ফেললেই বিপদ। মূলত এই প্রতারকদের লক্ষ্য হলেন পুণ্যার্থী এবং ভ্রমণপিপাসুরা। কারণ তাঁরা অনলাইনে টিকিট বুকিং করবেনই, আর সেখানে জালিয়াতি করা অনেক সহজ। ভুয়ো ওয়েবসাইট, সমাজমাধ্যমের প্রতারণামূলক বিভিন্ন পেজ, ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে মানুষকে ঠকানো হচ্ছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে গুগ্‌লের মতো সার্চ ইঞ্জিনে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হচ্ছে। বাদ যাচ্ছে না হোয়াট্‌সঅ্যাপও।

Advertisement

দেশের জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা বিভাগ জানাচ্ছে, এমন কিছু উপায় আছে, যা দেখে নকল ওয়েবসাইটি আলাদা করে চেনা যাবে।

১) সাইবার অপরাধীরা পরিচিত ব্র্যান্ড বা সংস্থার নামের সামান্য হেরফের ঘটিয়ে ‘ডোমেন হোস্টিং’ সংস্থার কাছ থেকে নতুন ওয়েবসাইট কিনে ফেলছে এবং অবিকল সেই রকমই ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলছে। যদি দেখেন আপনার মেলবক্সে অচেনা কোনও আইডি থেকে লিঙ্ক পাঠানো হয়েছে, তা হলে তা ক্লিক করবেন না। যতই প্রলোভন দেখানো হোক, ইমেলে অজানা আইডি থেকে আসা কোনও ওয়েবসাইটের লিঙ্ক খোলা উচিত হবে না।

২) যে সাইটটি খুলছেন, তার ইউআরএল-এ ‘এইচটিটিপিএস’ আছে কি না, দেখতে হবে। কোনও ওয়েবসাইটে যদি ‘এইচটিটিপি’-র সঙ্গে ‘এস’ না থাকে, তা হলে বুঝতে হবে, সেই ওয়েবসাইটটি ভুয়ো।

৩) ভুয়ো ওয়েবসাইটের ইউআরএলে ভুল বানান, স্মাইলি বা কোনও সাঙ্কেতিক চিহ্ন থাকতে পারে। সেটা দেখে নিতে হবে।

৪) এমন অনেক ওয়েবসাইট দেখবেন, যেখানে মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে অনলাইনে হোটেল বুকিং করার সময়ে সার্চ ইঞ্জিনে সেই হোটেলের নাম দিলে এমন মোবাইল নম্বর লেখা ওয়েবসাইট পাবেন। সেগুলি বেশির ভাগই ভুয়ো। সাইবার অপরাধীরা তাদের অ্যালগরিদ্‌ম দিয়ে এমন নম্বর গ্রাহকদের চোখের সামনে রাখে, যাতে নম্বরটিতে ফোন করলেই তাদের পাতা ফাঁদে পা দিতে পারেন গ্রাহকেরা।

গুগ্‌ল, ফেসবুক, হোয়াট্‌সঅ্যাপ বা ভুয়ো ওয়েবসাইটে নানা ধরনের আকর্ষণীয় অফার দেখে অনেকেই টাকা দিয়ে ঘর, টিকিট বা গোটা প্যাকেজ ভাড়া করে ফেলেন। কিন্তু এক বার টাকা দিয়ে ফেললে আর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায় না। মানুষ যত ক্ষণে বুঝতে পারেন যে তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন, তত ক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যায়। তাই আগে থেকেই সাবধান হতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement