Nutrition for Skin

ত্বকের বয়স বাড়তে দেয় না ৫ পুষ্টিগুণ! রোজের খাবারে তা রাখবেন কী ভাবে?

বয়সজনিত যে সব ক্ষতি হয় ত্বকে, তা দ্রুত মেরামত করতে পারে পাঁচ পুষ্টি উপাদান। যাঁদের বয়স ৩৫ পেরিয়েছে, ত্বকে ধীরে ধীরে বয়সজনিত ছাপ বোঝা যেতে শুরু করেছে, তাঁরা খেয়াল রাখুন এই পাঁচটি পুষ্টি উপাদান রোজ খাবারের থালায় থাকছে কি না।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:১৩
Share:

ছবি : সংগৃহীত।

ত্বকের পরিচর্যার জন্য যে নানা ধরনের প্রসাধনী, তাদের লক্ষ্য একটিই। ত্বককে প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগানো। কারণ, ত্বক তো বটেই মানুষের গোটা শরীরেরই যাবতীয় জৈবিক কাজ নির্ভর করে কিছু নির্দিষ্ট পুষ্টির উপর। যা খাবারের মাধ্যমে শরীরে যায়। কোনওটি কোনও হরমোনের ক্ষরণে সাহায্য করে। আবার কোনওটি সাহায্য করে শরীরে যাওয়া বিষাক্ত পদার্থকে বাইরে বার করে দিতে। কোনও পুষ্টি উপাদান আবার শরীরে প্রোটিন তৈরি করে, তৈরি করে ভিটামিনও। একটি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য দরকার, তো একটি পেশির জন্য। তেমনই ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্যও নির্দিষ্ট কয়েকটি পুষ্টি উপাদানের দরকার পড়ে। যা শরীরে গেলে ত্বক ভাল থাকে।

Advertisement

কর্নাটকের ফাদার মুলার মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক নিরঞ্জন সামানি জানাচ্ছেন, ত্বকের জন্য এমন জরুরি পাঁচটি পুষ্টিগুণ হল—

১। ভিটামিন সি: কোলাজেন বৃদ্ধি করতে কাজে লাগে, ত্বকে বয়সজনিত দাগ ছোপ কমায়।

Advertisement

২। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: চামড়া ঝুলে যেতে দেয় না, টান টান ভাব বজায় রাখে।

৩। কোলাজেন: ত্বককে আর্দ্র রাখতে এবং মসৃণ রাখতে সাহায্য করে।

৪। গ্লুটাথিয়োন: ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।

৫। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট: দূষণ, রোদ এবং তেল মশলা জাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে শরীরে যে ফ্রি র‌্যাডিকালসের আনাগোনা বাড়ে, তার প্রভাব পড়ে ত্বকেও। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট দূরে রাখতে সাহায্য করে।

চিকিৎসক সামানি জানাচ্ছেন, ত্বক যদি এই জরুরি পাঁচ পুষ্টি পায়, তবে বয়সজনিত যে সব ক্ষতি হয় ত্বকে, তা দ্রুত মেরামত হবে। ফলে ত্বকের যে টানটান ভাব বা স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য এবং মসৃণ ভাব— তা বজায় থাকবে। তাঁর পরামর্শ, যাঁদের বয়স ৩৫ পেরিয়েছে, ত্বকে ধীরে ধীরে বয়সজনিত ছাপ বোঝা যেতে শুরু করেছে, তাঁরা খেয়াল রাখুন এই পাঁচটি পুষ্টি উপাদান রোজ খাবারের থালায় থাকছে কি না।

কোন কোন খাবারে পাবেন?

চিকিৎসক প্রতিটি পুষ্টি উপাদানের জন্য আলাদা আলাদা খাবারের নামও বলে দিয়েছেন। তবে এর বাইরেও বহু খাবারে ওই সমস্ত পুষ্টিগুণ পাওয়া যেতে পারে।

১। ভিটামিন সি: আমলকি, পেয়ারা, কমলা লেবু, পেঁপে, আপেল, আলু, টম্যাটো, ব্রোকোলি, পালংশাক।

২। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড: ইলিশ, কাতলা, পমফ্রেট, আড়, বোয়াল, তেলাপিয়া মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। নিরামিষাশীরা তিসির বীজ, আখরোটেও ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পেতে পারেন।

৩। কোলাজেন: মাংসের হাড় থেকে তৈরি স্টুতে কোলাজেন থাকে। এ ছাড়া মাছের কাঁটা এবং ছালে, মুরগির মাংসে, ডিমের সাদা অংশে কোলাজেন পাওয়া যায়। কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল, ডাল, সয়াবিন, কাবলি ছোলা, রাজমা জাতীয় খাবার, বাদাম, বীজ, রসুন, টম্যাটো, ক্যাপসিকামও কোলাজেন তৈরিতে সাহায্য করে।

৪। গ্লুটাথিয়োন: যে কোনও কপি জাতীয় সব্জিতে গ্লুটাথিয়োন থাকে। এ ছাড়া পেঁয়াজ-রসুনের মতো সালফারে সমৃদ্ধ আনাজ গ্লুটাথিয়োন তৈরি করতে সাহায্য করে। অ্যাভোকাডোয় গ্লুটাথিয়োন রয়েছে। টম্যাটো গ্লুটাথিয়োন উৎপাদনে সাহায্য করে।

৫। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট: ডার্ক চকোলেট, গ্রিন টি, বেরি জাতীয় যে কোনও ফল যেমন আমলকি, জাম, কুল, করমচা, টেপারি এই সমস্ত ফলে রয়েছে ত্বকের প্রয়োজনীয় অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement