লক্ষ্মীপুজোর দিনের রূপটান কেমন হবে? ছবি: ফ্রিপিক।
দুর্গাপুজোর পালা মিটতে না মিটতেই লক্ষ্মীপুজোর দিন এসে গেল। বাঙালির ঘরে ঘরেই লক্ষ্মীপুজো হয়। পুজোর সকালে শাড়ি ও গয়নায় সাজবেন অনেকেই। যদি শাড়ি ও গয়নার সাজ জমকালো হয়, তা হলে মেকআপ হতে হবে ছিমছাম। এমন ভাবে রূপটান করতে হবে, যাতে সাজ উগ্র না মনে হয়, অথচ আপনাকে সতেজ ও তরতাজা দেখায়।
কমবয়সিদের মধ্যে এখন ‘নো মেকআপ লুক’ খুবই জনপ্রিয়। এই লুকের জন্য ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল হওয়া প্রয়োজন। তাই নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিতে হবে। ত্বকের যত্ন নেওয়ার শুরুটা হয় ক্লিনজ়িং দিয়ে। তার পর স্প্রে করে নিতে হয় টোনার। সবশেষে মেখে নিতে হয় ময়েশ্চারাইজ়ার। সপ্তাহে এক বার এক্সফোলিয়েট করতে পারলেও ত্বকের জেল্লা ফিরে আসে।
শুরুর মেকআপ
এ বার আসা যাক মেকআপ পর্বে। মুখ ভাল ভাবে পরিষ্কার করে টোনার এবং হালকা ময়েশ্চেরাইজ়ার বা সিরাম লাগিয়ে নিন। এর উপর অবশ্যই একটি এসপিএফযুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। দিনের মেকআপের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রয়োজন নেই।মেকআপ দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য সামান্য প্রাইমার ব্যবহার করুন। মুখের কোথাও যদি অবাঞ্ছিত দাগছোপ থাকে, সে ক্ষেত্রে কনসিলার দিয়ে তা ঢেকে ফেলা প্রয়োজন।
যদি ঘাম বেশি হয়, তা হলে সামান্য কমপ্যাক্ট পাউডার দিয়ে মেকআপ সেট করে নিন।
চোখের সাজ
চোখের পাতায় কোনও চটকদার রং ব্যবহার না করে হালকা শেডের (যেমন ন্যুড ব্রাউন বা পিচ রং) আইশ্যাডো ব্যবহার করুন। ভ্রু-র নীচে সামান্য হাইলাইটার লাগালে চোখ উজ্জ্বল দেখাবে।
চোখে হালকা করে কাজল দিতে পারেন। চাইলে আইলাইনার ব্যবহার করতে পারেন। খুব বেশি উইং বা মোটা লাইনার ব্যবহার করবেন না।
চোখের পাতা কার্ল করে এক বা দুই কোট মাস্কারা ব্যবহার করুন। এতে চোখ বড় ও সতেজ দেখাবে।
ঠোঁটের রূপটান
মেকআপের আগে ঠোঁটে কনসিলার লাগান। কনসিলার যে কোনও ধরনের দাগছোপ তুলে দিতে পারে। আঙুল বা ব্রাশ দিয়ে ঠোঁটে কনসিলার লাগিয়ে নিতে হবে। এর উপর লিপস্টিক পরলে লিপস্টিকের আসল রং খুলে বেরোবে। একটু গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করা ভাল। এতে ঠোঁটের কালচে ভাব সহজে বোঝা যাবে না। যদি ন্যুড মেকআপ চান, তা হলে লিপস্টিক লাগানোর অন্তত ১৫ মিনিট আগে লিপ বাম লাগিয়ে নিতে হবে। সানস্ক্রিন সমৃদ্ধ লিপবাম হলেই ভাল।