রাবার ব্যান্ড দিয়ে মুখের ‘ডি পাফিং’, কী এই পদ্ধতি? ফাইল চিত্র।
ঘুম থেকে উঠেই মুখ ফোলা দেখায় অনেক সময়ে। চোখের নীচের অংশ, গালে ফোলা ভাব থাকলে দেখতে মোটেই ভাল লাগে না। মুখের ফোলা ভাব কমাতে, কী করা উচিত সে নিয়ে ইন্টারনেটে বিস্তর খোঁজাখুঁজিও হয়। মালাইকা অরোরা এই ব্যাপারে টিপ্স দিয়েছেন। মুখের ফোলা ভাব কমাতে অন্য অভিনেত্রীদের মতো মোটেই বরফজলে মুখ ডুবিয়ে রাখেন না মালাইকা। তাঁর পদ্ধতি হল রাবার ব্যান্ড। এই দিয়েই নাকি মুখ একেবারে টানটান দেখায়।
৫১ বছরের মালাইকার ফিটনেস নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। এই বয়সেও তন্বী চেহারা ধরে রাখতে কার্ডিয়ো, স্ট্রেংথ ট্রেনিং থেকে যোগাসন— প্রায় সবই অভ্যাস করেন মালাইকা। শরীরচর্চার সঙ্গে কোনও রকম আপস পছন্দ নয় অভিনেত্রীর। নিত্যনতুন ব্যায়ামের পদ্ধতিও শেখান তিনি। পাশাপাশি ত্বকের পরিচর্যা নিয়ে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে টিপ্সও দেন। মালাইকা জানিয়েছেন, মুখের ফোলা ভাব নিয়ে অস্বস্তিতে ভোগেন অনেক মহিলাই। এর জন্য সালোঁয় গিয়ে কোনও থেরাপি করানোর প্রয়োজন নেই, মাত্র দু’টি রাবার ব্যান্ডেই কাজ হবে। বরফজলে মুখ ডুবিয়ে রাখলেও মুখের ফোলা ভাব কমে বটে, তবে সাইনাস থাকায় সে পথে আর পা বাড়াননি অভিনেত্রী। তাঁর টোটকা ওই রাবার ব্যান্ডই। সকালে উঠে দুই কানে ভাল করে রাবার ব্যান্ড পেঁচিয়ে নেন তিনি। যত টানটান করে রাবার ব্যান্ড পেঁচানো যাবে, ততই টান পড়বে মুখের পেশিতে। টানা বেশ কিছু ক্ষণ এই ভাবে থাকলে মুখের ফোলা ভাব অনেক কমে যাবে বলে দাবি মালাইকার।
মালাইকার ‘ডি-পাফিং’ পদ্ধতি কি ঠিক?
মুখের ফোলা ভাব কমানোর পদ্ধতিকে বলা হয় ‘ডি-পাফিং’। এটি ঘরোয়া পদ্ধতিতেও হয়, আবার অতিরিক্ত ফোলা ভাব থাকলে বা চোখের তলায়, গালে চর্বির স্তর জমতে থাকলে, সে ক্ষেত্রে ‘ডি-পাফিং’ করার নানা থেরাপি রয়েছে। এখন কথা হল, মালাইকার রাবার ব্যান্ড পদ্ধতি কতটা স্বাস্থ্যকর?
রাবার ব্যান্ড পরে মুখের ফোলা ভাব কমানোর পদ্ধতি কোরিয়ায় বেশ প্রচলিত। চটজলদি মুখ টানটান দেখাতে এই ভাবে ডি-পাফিং করেন অনেকেই। যদিও এই পদ্ধতি সঠিক কি না, তার কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা নেই।
এই বিষয়ে চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদারের মত, রাবার ব্যান্ড দীর্ঘ সময় কানে পরে থাকলে, রক্ত চলাচল ব্যাহত হবে। ওই অংশের গ্রন্থিগুলি ফুলে উঠবে। ফলে মুখ, কান ও গলার কাছে যন্ত্রণা শুরু হবে। রাবার ব্যান্ড খুলে ফেলার পরেও মাঝেমধ্যেই সেই যন্ত্রণা হতে পারে। কারণ রাবার ব্যান্ড খুব শক্ত করে কানে পরে থাকলে ওই অংশের রক্তজালিকাগুলি ফুলে উঠবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে কোষ। এতে রক্ত জমাট বেঁধে মুখের পেশির নমনীয়তা নষ্টও হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার না করাই ভাল।