স্বাস্থ্যকর ডায়েটে বাদাম রাখুন। ছবি: শাটারস্টক।
ডায়াবিটিস, থাইরয়েড, মানসিক চাপ কিংবা হার্ট বা হাঁটুকে সুস্থ রাখা— যাই বলুন না কেন, সবেতেইওজন কমিয়ে ফেলার নিদান হেঁকে বসেন চিকিৎসকরা। এমনিতেই আধুনিক জীবনযাত্রার কলে পড়ে শরীরের মেদকে বিদায় জানাতে আমরা খুব একটা সময় হাতে পাই না। কিংবা সময় পেলেও সে সব নিয়ম মেনে চলা সম্ভব হয়ে ওঠে না অনেকেরই। কিন্তু যেটুকু মানছেন, তা ঠিক উপায়ে তো?
স্বাস্থ্যরক্ষায় কিছুটা বিধিনিষেধ, উচিত-অনুচিত মেনে চলতেই হয়। হার্টের স্বাস্থ্যরক্ষা, মস্তিষ্ককে সতেজ রাখা, সঙ্গে ওজন কমানোরও গুরুভার বর্তায় আমাদেরই বেছে নেওয়া খাদ্যতালিকা ও জীবনযাপনের উপর।
ডায়েটেশিয়ান বা চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে ডায়েট না হয় মানলেন, শরীরচর্চাতেও কিছুটা সময় দিলেন, কিন্তু সে সবই যদি ঘরোয়া উপায়ে, আর একটু বৈজ্ঞানিক উপায়ে মানা যায়, তা হলে মন্দ হয় না। বরং ফলের পথ আরও প্রশস্ত করতে তা দরকার বইকি!
আরও পড়ুন: অনিদ্রার শিকার? ওষুধ ছাড়াই ঘুমোন এই পানীয়গুলির সাহায্যে
আচ্ছা, ডায়েটচার্টে কি বাদাম রাখেন? কী ভাবে খান? কাঁচা না কি হালকা রোস্ট করে? অনেকেই বাজারের প্যাকেটজাত বাদামেই আস্থা রাখেন। তবে পুষ্টিবিদ রেশমী রায়চৌধুরী, সুমেধা সিংহ ও চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামীদের পরামর্শ অনুযায়ী, বাদামের ডায়েট দেওয়া হয় প্রায় সকলকেই। বাদাম যেমন পেট অনেক ক্ষণ ভরা রাখে, তেমনই শরীরে অল্প যেটুকু ফ্যাট প্রয়োজন হয়, তার দায়িত্ব অনেকটাই বাদামকে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রান্নাঘরের ভিনিগার ত্বক ও চুলের সমস্যাতেও এ ভাবে কাজে লাগে জানতেন!
জলে ভিজিয়ে রাখুন বাদাম, মিলবে পর্যাপ্ত পুষ্টি।
কিন্তু কী ভাবে খাবেন বাদাম, তার উপরও নির্ভর করে রোগা হওয়ার রসায়ন। পুষ্টিবিদ ও চিকিৎসকদের মতে, কাঁচা বাদাম বা রোস্ট করে খাওয়া বাদাম থেকে সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় না। বাজারে মেলা প্যাকেটজাত বাদামেও অতিরিক্ত নুনের ভয় থেকেই যায়। চিকিৎসকদের মতে, তাই বাদাম খান জলে ভিজিয়ে। অন্তত ৮-১০ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখলে বাদামের সম্পূর্ণ পুষ্টিগুণ লাভ করে শরীর। তাই যে কোনও ধরনের বাদামই খান এই নিয়ম মেনে। এতে মেদ ঝরা থেকে অন্যান্য স্বাস্থ্যরক্ষা, সবটাই সহজ হয়ে উঠবে।