water

অতিরিক্ত জল খান? মস্ত বিপদ অপেক্ষা করছে কিন্তু!

কিছু হলেই ‘ওয়াটার থেরাপি’-তেই ভরসা রাখি আমরা। কতটা ঠিক কাজ এটি? চিকিৎসকরা কিন্তু শঙ্কার মেঘ দেখছেন। কিন্তু কেন?

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৯ ১৪:৫৪
Share:
০১ ১১

রোগ যা-ই হোক, জলই সবচেয়ে বড় সমাধান। সাধারণ কিছু অসুখের কথা শুনলে সাধারণত বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শই আসে। গরম হোক বা শীত, চিকিৎসকের মতো আমাদের চটজলদি পরামর্শ এটাই হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। ডিহাইড্রেশনের কারণেও নানা ব্যাধির শিকার হই আমরা। তাই ‘ওয়াটার থেরাপি’-তেই ভরসা রাখি আমরা।

০২ ১১

কিন্তু সত্যিই কি তাই! জল বেশি খেলেই রোগমুক্ত থাকা যায়? চিকিৎসকদের মতে, একেবারেই তা নয়। বরং উল্টোটাও হয়ে থাকে। অতিরিক্ত জল খাওয়া বরং স্বাস্থ্যের পক্ষে কিছু ক্ষেত্রে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

Advertisement
০৩ ১১

জল খেলে পেট ঠান্ডা থাকে। জল খেলে ত্বক ভাল থাকে, পেশীশক্তি বাড়ে। জল খেলে কিডনি, লিভার,ফুসফুস শরীরের প্রত্যেক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুস্থ থাকে। মোটের উপর জল খাওয়ার অভ্যাস শুধুই গুণে ভরা। কিন্তু চিকিত্সকরা মোটেও সে পথে হাঁটছেন না কোন? অতিরিক্ত জলেসায় নেই বলেই বা জানাচ্ছেন কেন তাঁরা?

০৪ ১১

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অমিত ঘোষ বলছেন, জল খাওয়া অবশ্যই ভাল। কিন্তু প্রত্যেকের ওজন আর কার্যক্ষমতার উপর নির্ভর করে শরীরে জলের চাহিদা। কে কতটুকু জল খাবেন, তা নির্ভর করবে ওই জলের চাহিদার উপরেই। বেশ কিছু অসুখে জলের পরিমাণ কমাতে হয়। বেশি জল সে ক্ষেত্রে শরীরেই জমে যায়।

০৫ ১১

এ ছাড়া অতিরিক্ত জল খেলে রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ কমতে থাকে। রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে গেলে ক্লান্তি ভাব আসে। সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব, বমি ভাব, মাথার যন্ত্রণা হতে থাকে। অতিরিক্ত প্রস্রাবের ফলেই আরও কমতে থাকে সোডিয়ামের পরিমাণ। বয়স্কদের মধ্যে এই সমস্যা আরও বেশি করে দেখা যায় বলেই মত চিকিৎসকদের।

০৬ ১১

‘আমেরিকান হেলথ অ্যাসোসিয়েশন’-এর গবেষণা অনুসারে,প্রয়োজনের তুলনায় বেশি জল খেলে ওভারহাইড্রেশন হতে পারে। এর ফলে শরীরের কোষগুলি ফুলে যেতে থাকে। মস্তিষ্কের কোষও ফুলতে থাকে। এর থেকে ব্রেন স্ট্রোক পর্যন্ত হওয়ারআশঙ্কা থাকে।

০৭ ১১

তা থেকে পিঠে ব্যথা, বুকে ব্যথা, লিভারে সমস্যা পর্যন্ত হতে পারে। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি জল খেলে হার্টের উপরেও চাপ পড়তে থাকে। ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা পর্যন্ত থাকে।

০৮ ১১

তা থেকে পিঠে ব্যথা, বুকে ব্যথা, লিভারে সমস্যা পর্যন্ত হতে পারে। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি জল খেলে হার্টের উপরেও চাপ পড়তে থাকে। ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা পর্যন্ত থাকে।

০৯ ১১

তা হলে কি জলেও বিপদ? চিকিৎসকরা বলছেন, তেমনটা মোটেও নয়, তবে পরিমাণ বুঝে খেতে হবে বইকি। দিনে অন্তত তিন লিটার জল খাওয়ার সোজাসাপ্টা হিসাব সব সময় কাজ করে না।প্রত্যেকের শরীরের গঠন আলাদা। চাহিদাও আলাদা। তাই শরীরের প্রয়োজন বুঝেই জল খাওয়া উচিত।

১০ ১১

রোগ যা-ই হোক, জলই সবচেয়ে বড় সমাধান। সাধারণ কিছু অসুখের কথা শুনলে সাধারণত বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শই আসে। গরম হোক বা শীত, চিকিৎসকের মতো আমাদের চটজলদি পরামর্শ এটাই হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। ডিহাইড্রেশনের কারণেও নানা ব্যাধির শিকার হই আমরা। তাই ‘ওয়াটার থেরাপি’-তেই ভরসা রাখি আমরা।

১১ ১১

রোগ যা-ই হোক, জলই সবচেয়ে বড় সমাধান। সাধারণ কিছু অসুখের কথা শুনলে সাধারণত বেশি করে জল খাওয়ার পরামর্শই আসে। গরম হোক বা শীত, চিকিৎসকের মতো আমাদের চটজলদি পরামর্শ এটাই হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। ডিহাইড্রেশনের কারণেও নানা ব্যাধির শিকার হই আমরা। তাই ‘ওয়াটার থেরাপি’-তেই ভরসা রাখি আমরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement