আবহাওয়ার পরিবর্তনের অসুখ ঠেকাতে এখন থেকেই সচেতন হোন। ছবি: শাটারস্টক।
নভেম্বরের শেষ দিক মানেই বাতাসে হিমের ছোঁয়াচ আর আবহাওয়া শুষ্ক হতে শুরু করা। শীতের শুরুতে কখনও শিরশিরে ঠান্ডা হাওয়া আবার কখনও বা গুমোট গরম। এমন আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় গরম জামা কাপড় পরলে যেমন গরম হয়, আবার তা খুলে ফেললেও হালকা শীত ভাব। এমন সময়ে ভাইরাল ফিভার বা সর্দি কাশির প্রকোপ বাড়ে।
অসুখ করলে তো চিকিৎসা করাতেই হবে, কিন্তু অসুখ হওয়ার আগেই তা রুখে দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে পারলে সবচেয়ে ভাল। চিকিৎসকদের মতে, কিছু মূল বিষয় মাথায় রাখলেই এই সময় অসুখ থেকে দূরে থাকবেন। বিশেষ করে বাড়িতে খুদে সদস্য বা বয়স্করা থাকলে সাবধান হতে হবে আরও বেশি।
এখনকার আবহাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার সময় কী কী নিয়ম মেনে চললে সহজে অসুখ আক্রমণ করতে পারবে না, জানেন? জানেলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী।
আরও পড়ুন: সস্তার মোমোয় পেট ভরান? কী কী ক্ষতি হতে পারে জেনে নিন
ঠান্ডা খুব একটা লাগছে না বলে আমরা অনেকেই গরম পোশাক সঙ্গে নিই না। এই সময় সন্ধে থেকেই হিম পড়তে শুরু করে। তাই গরম পোশাক সঙ্গে রাখা উচিত। তবে খুব মোটা পোশাকে গা ঢেকে রাখবেন না। বিশেষ করে শিশু অসুস্থ না থাকলে এখনই খুব মোটা গরম জামা-কাপড় পরিয়ে বাইরে বার করবেন না। বরং হালকা কোনও চাদর বা সোয়েটার গায়ে রাখলেই হবে। ঘাম বসে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়। তাই লক্ষ্য রাখুন যেন ঘাম না হয়। সন্ধের পর বেরোলে কান চাপুন। হিমেল হাওয়ার অনেকটাই কান দিয়ে শরীরে প্রবেশ করে। তাই গায়ে হালকা চাদরের সঙ্গে কানেও জড়ান হালকা কাপড়। এই সময় চেষ্টা করুন এসি এড়িয়ে চলতে। তবু যদি অফিসে এসিতে বসতে হয়, বা এসি গাড়িতে চড়তে হয়, তা হলে অবশ্যই কান-মাথা ঢেকে ও চাদর গায়ে বসুন। ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলুন। আইসক্রিমও বন্ধ রাখুন এই সময়। তবে বিয়েবাড়ির মরসুমে আইসক্রিম দু’-একটা খেয়ে ফেললেও সঙ্গে সঙ্গে জল খান। তাতে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা কমে। তবে ঠান্ডা পানীয় একেবারেই নয়।
আরও পড়ুন: শিশুর মুখে দুধের বোতল গুঁজে নিশ্চিন্তে থাকেন? কী মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে জানেন?
গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
রাতে ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রেখে ঘুমোন, যদি এতে গরম লাগে তা হলে হালকা করে পাখা চলুক। কিন্তু বাইরের হাওয়া ঘরে প্রবেশ করতে দেবেন না। ঘুমোনোর সময়ও হালকা চাদর রাখুন গায়ে। প্রচুর মরসুমি সব্জি ও ফল রাখুন খাদ্যতালিকায়। শরীর বুঝে জল খান সময়মতো।