টকদইয়ে বাজিমাত করুন এ বার। ছবি: পিক্সঅ্যাবে।
পুজোয় সকাল থেকে সন্ধে পেরিয়ে সারা রাত জেগে চলেছে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘোরা। সঙ্গে ছিল দেদার খাওয়াদাওয়াও। স্বভাবতই শরীরের উপর অত্যাচার কম হয়নি। পুজোর শেষে শরীরকে আবার ছন্দে ফেরানো শুরু করুন এখনই।
শরীরকে ডি-টক্সিফাইড করতে ঘরোয়া পদ্ধতি দিয়েই শুরু করে দিন স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা। এই ক্ষেত্রে আমাদের হাতের কাছে থাকা টক দই হোকপ্রথম পছন্দ। দইয়ের স্বাস্থ্যগুণ আমাদের কারও অজানা নয়।
জেনে নিন দইয়ের কোন কোন গুণ আপনাকে সাহায্য করবে পুজোর পর শরীরকে তাজা রাখতে।
আরও পড়ুন: ফ্রিজ খুলে ঠান্ডা জল গলায় ঢালেন? জানেন কী বিপদ হতে পারে?
পুজোয় তো তেল মশলাদার খাবার কম খাওয়া হয়নি। টক দইয়ের ফারমেন্টেড এনজাইম খাবার হজমের জন্য ভীষণ উপযোগী। সঙ্গে যদি বদহজমের অসুবিধাও দেখা দেয়, তা হলেও সমান ভাবে কাজে আসবে টক দই। পুজোর কয়েক দিনের যথেচ্ছ খাওয়াদাওয়ায় কোলেস্টরল বেড়ে যাওয়ার ভয়ও কম থাকে না। টক দইয়ে ফ্যাটও কম থাকে এবং এটি কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতেও বিশেষ ভাবে উপযোগী। পুজোর মধ্যে অনেক সময় শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যায় ও কখনও কখনও জল কম খাওয়ার কারণে ক্ষতিকারক টক্সিন জমা হয় শরীরে। এখন থেকে রোজ সকালে এক বাটি করে টক দই খাওয়ার অভ্যাস করলে তা রক্তকে টক্সিন মুক্ত রাখতে সাহায্য করে। পুজোয় বাইরের ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেয়ে ওজন বেড়ে গিয়েছে? চিন্তা কিসের! এ ক্ষেত্রেও কাজে আসবে টক দইয়ের উপকারিতা। শশার সঙ্গে টক দই মিশিয়ে খেলে ওজন নিয়ন্ত্রনে আনতে পারবেন খুব তাড়াতাড়ি। পুজোর কয়েক দিন ঠিকঠাক ঘুম না হওয়ার কারণে বা অনিয়ম করায় যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে, তাঁদের সমস্যা দেখা যেতে পারে। এই সমস্যার সমাধানে নিয়মিত ডায়েটের তালিকায় রাখুন টক দই। দুধ সহ্য হয় না? টক দইয়ের উপযোগিতা কাজে আসবে তবে আপনারও। পুজোর পরে দুধের পুষ্টিই পেয়ে যান টক দইয়ের মাধ্যমে।