Cholesterol

Cholesterol: কোলেস্টেরল কমাতে ওষুধ খাচ্ছেন? ঠিক করছেন কি

কোলেস্টেরল বাড়লে বাড়ে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকিও। কিন্তু তাই বলে কি কোলেস্টেরল কমাতে ওষুধ খাওয়া উচিত?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২১ ১৬:৩৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

কোলেস্টেরল মানেই যে খারাপ তা কিন্তু নয়। বরং সুস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ কোলেস্টেরলের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু সমস্যাটা হয় কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে। তখন তা হৃদ্‌রোগজনিত অসুস্থতার কারণ হয়ে ওঠে। দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা কত, তা এক মাত্র রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমেই জানা যায়। আর এই কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলেই চিকিৎসকরা কোলেস্টেরল কমানোর জন্য ওষুধ দিয়ে থাকেন।

Advertisement

প্রতীকী ছবি।

কোলেস্টেরল কমাতে ওষুধ কি সত্যিই খাওয়া উচিত?

চিকিৎসকদের মতে, প্রথমেই ওষুধ খাওয়া উচিত নয়। কোলেস্টেরল বেড়ে গেলেই প্রথমেই পরিবর্তন আনতে হয় রোজকার ডায়েটে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিয়মিত শরীরচর্চারও প্রয়োজন আছে। কিন্তু তারপরও যদি কোনও রকম উন্নতি না হয়, তখনই ওষুধের কথা ভাবেন চিকিৎসকরা।

সেই ওষুধ কিন্তু রোগীর কোলেস্টেরলের মাত্রা ও তাঁর অন্যান্য শারীরিক সমস্যার বিষয়ে বিস্তারিত জেনে তবেই দেওয়া হয়। তাঁর আগে চিকিৎসকরা জেনে নেন রোগীর কো-মর্বিডিটি রয়েছে কিনা। কাজেই চিকিৎসক না দিলে, নিজে ওষুধের দোকান থেকে কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ কিনতে যাবেন না। কারণ ওষুধটির পরিমাপ ও প্রয়োজনীয়তা সবটাই প্রত্যেক রোগীর ক্ষেত্রে আলাদা।

অনেক সময় রোগীর একাধিক জটিলতা থাকায় চিকিৎসকেরা ‘কম্বিনেশন মেডিসিন’-ও দিয়ে থাকেন।

কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী?

সাধারণত এই ধরনের ওষুধ খেলে বড়সড় কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। তবে দেহে হাল্কা ব্যথা, পেশি ও পিঠেতে ব্যথা হতে পারে। খুব কম লোকের ক্ষেত্রেই বমিভাব, মাথাব্যথা, লিভারের সমস্যা দেখা দিয়েছে। ওষুধ খাওয়ার পর যদি মনে হয় কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে, তা হলে ২ সপ্তাহের মধ্যেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন