বাড়ি ফাঁকা রেখে লম্বা সফরে যাবেন? তার আগে কিছু প্রস্তুতির দরকার হয়ই। তবে যাওয়ার আগে ভীষণ তাড়াহুড়োর মধ্যেও পরিচ্ছন্নতার দিকটিতে নজর না দিলে কিন্তু সমস্যা হতে পারে। কোন ৫ জায়গা অবশ্যই পরিষ্কার করে যাওয়া জরুরি?
বর্জ্য ফেলার পাত্র: বাড়ির বর্জ্য ফেলার পাত্রটি, বিশেষত যেখানে পচনশীল জিনিসপত্র ফেলা হয়, সেটি পরিষ্কার করে না গেলে কিন্তু ভীষণ সমস্যা হবে। লম্বা সফরের পর বাড়ি ফিরেই কটু গন্ধ নাকে এলে তা মোটেই সুখকর হবে না। তা ছাড়া, দিনের পর দিন জিনিসপত্র পচে ঘরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি হবে। মাছির উৎপাত বাড়বে।
বিছানা: ঘুম থেকে উঠে বা মাঝরাতে বেরোতে হলে তাড়াহুড়োয় বিছানার চাদরটি ঝেড়ে টানটান করে পেতে যাওয়ার কথা কারও মাথায় থাকে না। কিন্তু লম্বা সফর শেষে ক্লান্ত শরীরে যখন বাড়ি ফিরবেন, এলোমেলো বিছানাটি কি দেখতে ভাল লাগবে? চাইলেও তখন বিছানায় গা এলিয়ে দিতে পারবেন না। ভাল হয়, বিছানার চাদর টানটান করে পাতার পর আরও একটি চাদর উপর দিয়ে ঢেকে দিলে। এতে ক্লান্ত শরীরে ফেরার পর উপরের চাদরটি তুলে দিয়ে তার নীচের চাদরের উপর শুতে পারবেন। কারণ, চাদরের উপরেও কয়েক দিনে ধুলো জমবে।
বসার জায়গা: ঘরে ঢুকে যে অংশটি প্রথম চোখে পড়ে, যেখানে বসে বিশ্রাম নেন বা টিভি দেখেন, জায়গাগুলি পরিষ্কার করে যাওয়াই ভাল। কারণ, ফিরে এসে এলোমেলো ঘর শুধু দেখতে খারাপই লাগবে না, সেই সময়ে ঘর পরিষ্কারের সময় অথবা শক্তি কোনওটাই না থাকতে পারে।
বাসন: এঁটো বাসন না ধুয়ে রাখলে রোগজীবাণুর সংক্রমণ হবে। ঘরে বিশ্রী গন্ধ বেরোবে। ফিরে আসার পর এই দৃশ্য দেখা ততোধিক বিরক্তির কারণ হয়ে উঠবে। সবচেয়ে ভাল হয়, বাসন মেজে ঢাকা দিয়ে বা কাবার্ডে ভরে গেলে। এতে বাসন পরিচ্ছন্ন থাকবে।
ফ্রিজ: যে সব সব্জি, খাবার পচে যেতে পারে বা ৫-৬ দিন পরে আর খাওয়া যাবে না, সেগুলি আগেই খেয়ে ফেলুন অথবা প্রতিবেশীকে দিয়ে যান। এতে ফ্রিজ পরিচ্ছন্ন থাকবে। জিনিসপত্র পচে গিয়ে বিশ্রী গন্ধ বেরোবে না। আসার পর সেগুলি ফেলার বাড়তি ঝক্কিও থাকবে না।