ঘরের ভিতরের বাতাস শুদ্ধ রাখতে কী করবেন? ছবি: এআই।
আবহাওয়ার বদল শুরু হয়ে গিয়েছে। রাতে বা ভোরের দিকে বাতাসে এখন হালকা হিমেল পরশ। বিশেষ করে পুজোর পর থেকেই ধীরে ধীরে এই পরিবর্তন অনুভব করা যায়। এই অবস্থায় বাতাসও বেশ দূষিত হতে শুরু করে। তার মধ্যেই কালীপুজোর বাজি পোড়ানো চলছে। আলোর বাজি পুড়লেও তার ধোঁয়ায় থাকা রাসায়নিকের মাত্রা এতটাই বেশি যা চারপাশের বাতাসকে আরও বিষাক্ত করে তুলছে। ঘরের দরজা বা জানলা যতই এঁটে বন্ধ রাখুন, বাজির ধোঁয়া থেকে পার পাওয়া সহজ নয়। ঘরের ভিতরে ধোঁয়া, দূষিত কণা ঢুকবেই। রাত যত বাড়বে ততই বাজির দাপটে দূষণের পাল্লাও ভারী হবে। বাড়িতে শিশু বা বয়স্করা থাকলে তাই এই সময়টাতে বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকতে হবে। ঘরের ভিতরের বাতাসও দূষিত হতে থাকলে শ্বাসকষ্ট হবেই। শিশুদের শ্বাসনালি খুবই সংবেদনশীল হয়। তাই ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ রাখতেই হবে। কী ভাবে তা সম্ভব, রইল কিছু উপায়।
দরজা-জানলা বন্ধ রাখুন
সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি ঘরের দরজা-জানলা বন্ধ রাখাই ভাল। ভারী পর্দা ঝোলান জানলায়। হালকা করে বাতানুকূল যন্ত্র চালিয়ে রাখতে পারেন। সন্ধ্যার সময় থেকেই দূষণের মাত্রা বাড়বে। কাজেই ওই সময়টাতে সতর্ক থাকতে হবে।
ধূপ-প্রদীপ জ্বালবেন না
বাইরে একেই দূষণের দাপট, ঘরের ভিতরে ধূপকাঠি বা প্রদীপ অথবা মোমবাতি দীর্ঘ সময় জ্বালিয়ে রাখবেন না। ছোটরা যে ঘরে থাকবে সে ঘরে তো একেবারেই নয়। এতে ঘরের ভিতরের বাতাসও দূষিত হবে।
এয়ার পিউরিফায়ার
ঘরের আকৃতি এবং আয়তনের কথা মাথায় রেখেই এয়ার পিউরিফায়ার লাগাতে পারেন। অনেক বেশি শোধন ক্ষমতাযুক্ত পিউরিফায়ার কেনাই এই সময় যুক্তিযু্ক্ত। এই সময় বাতাসে শ্বাসযোগ্য ভাসমান কণার (পার্টিকুলেট ম্যাটার) পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেড়ে যায়। তাই পিউরিফায়ারের ফিল্টারের উপর বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে। দেখতে হবে তা যেন ধুলো, ধোঁয়া, গন্ধ এবং অন্যান্য দূষণকারী পদার্থ থেকে রক্ষা করতে পারে ঘরকে।
হিউমিডিফায়ার
৩০০ থেকে ৪০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায় হিউমিডিফায়ার। ঘরের ভিতর আর্দ্রতার ভারসাম্য রক্ষা করে। ঘরের ভিতরের বাতাস বিশুদ্ধ করে। ঘরে হিউমিডিফায়ার রাখলে অক্সিজেনযুক্ত বাতাসের পরিমাণ বাড়ে। দীপাবলির পরেও দূষণের মাত্রা সহজে কমবে না। আগামী কয়েকদিন বাতাসে দূষিত পদার্থের পরিমাণ বাড়বে। কাজেই ঘরে শিশু বা বয়স্ক থাকলে হিউমিডিফায়ার লাগিয়ে নিতে পারেন, এতে ভিতরের বাতাস শুদ্ধ হবে।