মাখনে ভেজাল আছে কি না তা পরীক্ষা করে নিন নিজেই। ছবি: শাটারস্টক।
ভেজাল মাংস। ভেজাল দুধ। এ বার ভেজাল মাখন। সম্প্রতি মুম্বইয়ে ভয়ন্দর এলাকা থেকে এক হাজার কেজি ভেজাল মাখন উদ্ধার করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত হওয়া মাখনের সবক’টি প্যাকেটের মোড়কই হুবহু এক নামী মাখন বিক্রয়কারী সংস্থার। ভেজাল খাবারের তালিকায় মাখনও যোগ হওয়ায় সমস্যা বেড়েছে আম জনতার। প্রতি দিন সকালে টোস্ট হোক বা বাড়ির খুদে সদস্যের টিফিনের মাখন-পাউরুটি— কমবেশি সব পরিবারেই মাখনের বেশ চল আছে।
বাড়িতে যে মাখন কিনে আনছেন তার মোড়কও নামী মাখন বিক্রয়কারী সংস্থারই থাকে। কিন্তু সেটা খাঁটি বা সেই সংস্থারই? না কি আপনার কিনে আনা মাখনেও কি রয়েছে ভোজাল?
ভেজাল খাওয়ার ভয়ে মাখন ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছেন? তা কেন করবেন? বরং কিনে আনা মাখনে ভেজাল রয়েছে কি না তা পরীক্ষা করে নিন নিজেই। জানেন কী ভাবে?
আরও পড়ুন: গলায় কাঁটা বিঁধে আছে? দ্রুত কাঁটা সরান এই সব উপায়ে
মাখনে ভেজাল হিসাবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয় বনস্পতি বা ডালডা। আপনার কিনে আনা মাখনে তেমন কোনও ভেজাল আছে কি না তা দেখতে এক চামচ মাখন গলিয়ে তাকে একটা কাচের স্বচ্ছ বয়ামে রাখুন। কিনে আনুন মিউরিয়্যাটিক অ্যাসিড।
এ বার এই গলানো মাখনে যোগ করুন সমপরিমাণ মিউরিয়্যাটিক অ্যাসিড। এ বার বোতলের মুখ বন্ধ করে ঝাঁকিয়ে রেখে দিন। কিছু ক্ষণ পর পাত্রটি লক্ষ্য করুন, যদি পাত্রের নীচে কোনও লালচে আস্তরণ দেখতে পান, তবে বুঝতে হবে আপনার কিনে আনা মাখনে ভেজাল আছে।
আরও পড়ুন: শরীরের যত্ন নেওয়ার জন্য হাতে বেশি সময় নেই? এই সব মেনে হার্টকে রাখুন বিপন্মুক্ত
সাবধানতা: সাধারণত বাথরুম পরিষ্কার করতে মিউরিয়্যাটিক অ্যাসিড কাজে লাগে। এটি একটি অতি সত্রিয় রাসায়নিক। ঘরোয়া কাজে এই অ্যাসিড ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। তাই এই অ্যাসিড শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
(ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন — ফিরে দেখা এই দিন।)