Health

Health care: রাত জাগার অভ্যাস? কী ভাবে সুস্থ রাখবেন শরীর, জেনে নিন

অফিসে কাজের চাপ? রাতে দেরি হয়ে যাচ্ছে ঘুমোতে? কিছু নিয়ম মেনে চললে অনেকটাই কাটাতে পারেন শারীরিক ধকল। জেনে নিন সুস্থ থাকবেন কী ভাবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২১ ১৭:০৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

অতিমারিতে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের দৌলতে অনেকের জীবনেই আর নির্দিষ্ট রুটিন বলে কিছু নেই। অনেক সময়েই কাজ করতে হচ্ছে রাত জেগে। বিগত কয়েক বছরের পরীক্ষা জানাচ্ছে যে রাত জাগলে বাড়তে পারে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা, হতে পারে ডায়বেটিস। বেশি রাতে শুতে যাওয়ার অভ্যাস ঘেঁটে দেয় খাওয়ার দৈনন্দিন রুটিন, ফলে স্বাস্থ্যও ভাঙতে থাকে দ্রুত। এই নতুন রুটিনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে কীভাবে সুস্থ রাখবেন শরীর, জেনে নিন।

Advertisement

জল: কফির বদলে ঘন ঘন জল খান। এতে আপনার ক্লান্তি দূরে হবে, মনঃসংযোগও বাড়বে।

ডায়েট: কাজের চাপে আমরা খিদে পেলেই অনেক সময় ছুটি ফাস্ট ফুডের পিছনে। তার বদলে খেতে হবে স্বাস্থ্যকর ডায়েট। ভাল ফ্যাট, প্রোটিন ও পর্যাপ্ত জল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাতের কাছেই রাখুন বাদাম, অ্যাভোক্যাডো, অলিভ অয়েলের মতো খাবার।

Advertisement

মেডিটেশন: সময় সুযোগ করে দিনে কিছুক্ষণ মেডিটেট করুন। যোগার ওপরেও নির্ভর করতে পারেন। শরীরের পাশাপাশি মনকেও তরতাজা রাখার জন্য এটি খুবই ভালো উপায়।

প্রতীকী ছবি।

পর্যাপ্ত ঘুম: রাত জাগা জনিত সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে যদি আপনি রাত জাগা সত্ত্বেও অন্তত সাত-আট ঘণ্টা পর্যাপ্ত ঘুমিয়ে নেন। দেরিতে ঘুমোন বা তাড়াতাড়ি, পর্যাপ্ত ঘুম ভীষণ জরুরি।

আলোর সংস্পর্শ: রাত জাগলে যেহেতু শরীরের ঘড়িটাই পিছিয়ে যায় অনেকটা, তাই আলোর সংস্পর্শে কাটানো সময়ও যায় কমে- যা মানসিক স্বাস্থ্য বা মুডের ওপর প্রভাব ফেলে। মন খারাপ, বিরক্তি, খিটখিটে ভাব থাকলে তা শরীরকেও খানিক প্রভাবিত করতে বাধ্য। তাই চেষ্টা করুন ঘুম থেকে উঠেই বেশ কিছুক্ষণ আলোর সংস্পর্শে আসার।

তাড়াতাড়ি ডিনার: বেশি রাতে খাওয়া এড়িয়ে চলুন। রাত জাগার ফলে স্বাভাবিক কারণেই ডিনারের পরেও খিদে পেয়ে যায়। খুব খিদে পেলে হাল্কা স্ন্যাকস চলতে পারে, কিন্তু রাত ৮টার পরে ভারি খাবার বিপাক-হারের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।

ব্যায়াম: দিনে সময় মতো একটু শরীরচর্চা কিন্তু আপনার রাত জাগার কুপ্রভাব অনেকাংশে সরিয়ে রাখতে সক্ষম।

সামাজিকতা: রাত জাগুন, তবে সামাজিকতার মূল্যে নয়। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে দেখা হওয়া কমে গেলে ভিডিও কল বা ফোনে যোগাযোগ রাখুন, কিন্তু সামাজিক সংযোগ কমে গেলে রাত জাগার সঙ্গে আসতে পারে একাকিত্ব, অবসাদ— যা শরীর ও মন উভয়েরই ক্ষতি করবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement