Jeffing Benefits

ক্লান্তি কম, ফল বেশি! ওজন ঝরিয়ে ফিট থাকতে শিখে নিন শরীরচর্চার নতুন কৌশল ‘জেফিং’

টানা খানিক ক্ষণ দৌড়িয়ে পুরোপুরি থেমে গেলে কোনও লাভ নেই। কিন্তু চলতি বছর ‘জেফিং’ নামে শরীরচর্চার এমন এক নতুন ধারার চল শুরু হয়েছে, যার সাহায্যে ক্লান্তিও কম হবে, ফিট থাকার লক্ষ্যেও পৌঁছনো যাবে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২৫ ১৩:৪৮
Share:

প্রখ্যাত দৌড়বিদ জেফ গ্যালোওয়ে এই ধারার প্রবর্তন করেছিলেন বলে তার নামেই নামকরণ হয়েছে। —প্রতীকী ছবি।

৫-১০ মিনিট টানা দৌড়েই ক্লান্ত? পেশিতে টান, দম শেষ, হাঁপ ধরা, পায়ে ব্যথা, আরও নানাবিধ কারণে সে দিনের মতো শরীরচর্চায় ইতি। ভাবছেন, তা-ও তো খানিক সময় দৌড়ে নিয়েছেন। এতে মেদ অল্প হলেও ঝরবে। কিন্তু এখানেই গলদ থেকে যাচ্ছে। যদি দম কম পড়ে যায়, তা হলে টানা খানিক ক্ষণ দৌড়িয়ে পুরোপুরি থেমে গেলে কোনও লাভ নেই। কিন্তু চলতি বছর ‘জেফিং’ নামে শরীরচর্চার এমন এক নতুন ধারার চল শুরু হয়েছে, যার সাহায্যে ক্লান্তিও কম হবে, ফিট থাকার লক্ষ্যেও পৌঁছোনো যাবে।

Advertisement

জেফিং কী এবং কেন জনপ্রিয়তা পেয়েছে?

দৌড় এবং হাঁটাকে এক জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে ‘জেফিং’-এর মাধ্যমে। এই দুইয়ের মধ্যে ব্যবধান কী হবে, সেখানেই আসল কৌশল। প্রখ্যাত দৌড়বিদ জেফ গ্যালোওয়ে এই ধারার প্রবর্তন করেছিলেন বলে তার নামেই নামকরণ হয়েছে এর।

Advertisement

দৌড় এবং হাঁটাকে এক জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে ‘জেফিং’-এর মাধ্যমে। ছবি: সংগৃহীত।

শরীরচর্চার নতুন ধারা জেফিং-এর সূচনা

এই ধারার প্রবর্তন মূলত ম্যারাথনের দৌড়বিদদের দৌলতেই। ম্যারাথনের মতো দৌড় প্রতিযোগিতায় নতুন এই কৌশল মেনে লাভবান হয়েছেন অনেকেই। সময়মতো দৌড়ের ফিনিশিং লাইনে পৌঁছোনোর কাজটিকে আরও যেন সহজ করে দিয়েছে এটি। আগে দৌড়ের মাঝে হাঁটাকে দৌড়বিদের দুর্বলতা বলে মনে করা হত। কিন্তু এই কৌশলটি আসলে অনেক বেশি বৈজ্ঞানিক বলে দাবি করেছেন গবেষণাকারীরা। ‘ইউরোপীয় জার্নাল অফ স্পোর্ট সায়েন্স’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ম্যারাথনে দৌড়ের মাঝেমাঝে যাঁরা হাঁটার বিরতি নিয়েছেন, তাঁরা একটানা দৌড়ের তুলনায় অনেক ভাল ফল পেয়েছেন। এতে ক্লান্তি কমে, আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা কমে।

এই কৌশল কি সাধারণের জন্যেও উপকারী?

অবশ্যই সাধারণ মানুষেরা ‘জেফিং’-এর নিয়ম মেনে দৌড়োতে পারেন। প্রথম দিকে অল্প সময় দৌড়োনো, বেশি সময় ধরে হাঁটা দিয়ে শুরু করুন। ধীরে ধীরে দৌড়োনোর সময় বাড়িয়ে হাঁটার সময় কমিয়ে আনার চেষ্টা করুন। হাঁটার বিরতি ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে। ক্লান্তি শরীরের পেশির কার্যকারিতায় প্রভাব ফেলে। যার ফলে দৌড়বিদদের চোট লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। দৌড়ের মাঝে সময়ে সময়ে হাঁটলে অস্থিসন্ধি এবং পেশির উপর চাপ কমে।

কী কী উপকার পাওয়া যাবে?

১. ‘জেফিং’-এর ফলে পেশির সঙ্কোচন-প্রসারণ ভাল হয়, হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়ার উন্নতি ঘটে। এই কারণেই খুব সহজে ক্লান্তি আসে না।

২. একটানা দৌড়লে পেশি এবং অস্থিসন্ধিতে চাপ পড়তে পারে। কিন্তু নতুন কৌশলের ফলে আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।

৩. যে মুহূর্তে আপনি মনে করবেন, খানিক বাদেই হাঁটার বিরতি রয়েছে, তখন মনে জোর আসবে। বাকি পথ চলার ইচ্ছে বাড়বে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement