চল্লিশের পরই নাকি জীবন শুরু হয়। সে তো কথার কথা। আসলে চল্লিশে পা দেওয়ার পর নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখাটাই আসল কথা। না হলে সুস্থ থাকবেন কী করে? আর জীবনটাই বা উপভোগ করবেন কী ভাবে? জেনে নিন, কী কী করলে চল্লিশের পরেও সুস্থ থাকবেন।
সব সময়েই ব্যস্ত! হাঁটার সময় একেবারেই পান না। চল্লিশের পর থেকে এই অভ্যাস বদলে ফেলুন। প্রতি দিন অন্তত ৪৫ মিনিট হাঁটুন। এতে মেটাবলিজম বাড়বে। ফলে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার হাত থেকে বাঁচবেন।
নিয়মিত শরীরচর্চা ছাড়াও পরিবারের মেডিক্যাল হিস্ট্রির দিকেও এক বার চোখ বুলিয়ে নিন। কম পক্ষে তিন প্রজন্মের মানুষজনের অসুখবিসুখ সম্পর্কে একটা স্পষ্ট ধারণা থাকাটা জরুরি। এ বার তা শেয়ার করুন আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে। তা হলে অন্তত চিকিৎসকের পরামর্শে ডায়াবিটিস বা হার্টের অসুখের মতো বংশগত রোগ সম্পর্কে আগাম ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
চল্লিশের পর নিয়মিত হেল্থ চেকআপ করানোটা রুটিন করে নিন। মেডিক্যাল চেকআপ-এর পর চিকিৎসকের সুপারিশ মেনে নিজের জীবনশৈলীও বদলে ফেলতে পারেন। এতে বড়সড় অসুখের ঝুঁকি এড়াতে পারবেন।
বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে নিয়মিত পার্টি-লেটনাইট-ইটিং আউট করেন? চল্লিশের কোঠা পেরোলে তাতে রাশ টানুন। বরং প্রতি দিনের ডায়েটে পালং শাক, ব্রকোলি, ফুলকপি, টোম্যাটো, অঙ্কুরিত ছোলার মতো ফাইবারযুক্ত খাবার রাখুন। এতে কোলেস্টরল, ব্লাড সুগার, প্রেসার এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
শেষ কবে নিজের কোমরের মাপ নিয়েছেন মনে পড়ে? বা ওজনের দিকে আদৌ খেয়াল রেখেছেন কি? এ বার থেকে সে দিকে খেয়াল রাখা শুরু করে দিন। ক্যানসার, ডায়াবিটিস, হার্টের অসুখের বিরুদ্ধে তা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে কাজে আসবে।
সঠিক পরিমাণে খাওয়াটা জরুরি বটে। পাশাপাশি খাবারে কতটা নুন খাবেন, তা খেয়াল রাখাটাও জরুরি। বেশি নুন খেলে তার প্রভাব পড়ে ব্লাড প্রেসারে। কারণ তাতে শরীরে অতিরিক্ত জল জমা হয়ে রক্তচাপ বেড়ে যায়। উচ্চ রক্তচাপের ফলে কি়ডনি, রক্তনালী বা হার্টেও প্রভাব প়ড়ে। ফলে খাবারে নুনের পরিমাণ কমিয়ে ফেলুন।