রোগা হওয়ার জন্য অনেক খাবারই বাদ দিয়েছেন। আবার অনেক কিছু খাওয়া শুরুও করেছেন। কিন্তু মাঝে মাঝেই কি মন অবাধ্য হয়ে ওঠে? বারবারই ভেঙে ফেলছেন রেজলিউশন? রোগা হওয়ার জন্য মনকে বোঝাতে প্রয়োজন কিছু সাইকোলজিক্যাল ট্রিক।
যখনই কোনও চকোলেট বা কুকি দেখে খেতে ইচ্ছা হবে নিজেকে প্রশ্ন করুন। এক পিস কুকি খেয়ে কি নিজেকে সন্তুষ্ট করতে পারবেন, নাকি ভাল করে স্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন?
ছোট থেকে আমাদের শেখানো হয় খাবার নষ্ট না করতে। এর ফলে জোর করে ঠেসে ঠেসে খাওয়া অভ্যাস হয়। খাবার প্লেটে খেকে গেলে কোনও সমস্যা নেই। ঢাকা দিয়ে রেখে দিন পরে খাবেন বলে।
মাইন্ড গেম খেলুন। নিজের ক্যালোরি বার সেট করুন। ঠিক কী কী খেলে বা কতটা খেলে সেই ক্যালোরির মাত্রা বজায় রাখতে পারবেন হিসেব করুন। দেখুন প্রতি দিন কতটা এগোচ্ছেন, কতটা পারছেন না। এই ভাবে গেম খেললে নিজেকে উদ্বুদ্ধ করতে পারবেন।
জানেন হয়তো চিজ বার্গার খেলে শরীরের ক্ষতি হবে। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। এই অবস্থায় ইন্টারনেটে পড়াশোনা শুরু করুন সেই খাবার সম্পর্কে। কতটা ক্ষতিকারক, কী ভাবে অস্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে বানানো হয়, এগুলো পড়ুন। যাতে মন উঠে খাবারের থেকে।
খাওয়ার সময় অন্য কোনও কাজ করবেন না। খেতে খেতে অন্য কাজে মন দিলে, যেমন কম্পিউটারে কাজ করলে বা টিভি দেখলে মন অন্য দিকে চলে যায়। ফলে বেশি খাওয়া হয়।
ছোট প্লেটে খাবার খান। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আধুনিক স্ট্যান্ডার্ড সাইজের প্লেট ওজন কমানোর পথে সবচেয়ে বড় বাধা। ছোট প্লেটে অল্প খাবার নিলেই প্লেট ভরে যায়। মনে হয় পেট ভরে খাচ্ছেন। কিন্তু আসলে খাবার কম খাওয়া হয়।
কম খাওয়ার জন্য নিজের মন প্রস্তুত করুন। খাওয়ার আগে নিজেকে বলুন সুস্বাদু খাবার খাচ্ছি আমি। খাবার উপভোগ করুন। এতে অল্প খেলেই পেট ভরে যাবে।
টেবল ক্লথ ও ডিশ ম্যাচ করুন। মনোবিদরা বলেন টেবল ক্লথ ও ডিশ একই রঙের ইলিউশন তৈরি হয়। যা খাবারের প্রতি আকর্ষণ কমিয়ে দেয়। খাওয়ার ইচ্ছা কমে যায়।
কলকটেল বা মকটেলের মতো ক্যালোরিযুক্ত পানীয় খেতে হলে সব সময় লম্বা গ্লাসে খান। চওড়া গ্লাসের তুলনায় এই সব গ্লাসে কম পানীয় ধরে।
বড় ফর্ক বা কাঁটা দিয়ে খান। শুনতে অবাক লাগলেও আমরা মনে করি বড় ফর্কে খাবার বেশি ওঠে। তাই কম করে খাবার তুলি, খাইও অল্প অল্প করে। ছোট কাঁটার ক্ষেত্রে ঠিক উল্টোটা হয়। মনে হয় খাবার কম উঠবে তাই বেশি করে তুলি। খাইও বেশি করে।