Health News

হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণে রাখতে মেনে চলুন এই ঘরোয়া টোটকাগুলি

অতিরিক্ত ওজন, স্ট্রেস, অনিয়মিত ডায়েট এবং কম ওয়ার্কআউট, সবকটিই উচ্চরক্তচাপ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। এই ‘সাইলেন্ট কিলার’-এর হাত থেকে রেহাই পেতে ভরসা রাখুন কিছু ঘরোয়া টোটকায়।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৮ ১৩:৩৭
Share:
০১ ০৯

উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন এই সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। অতিরিক্ত ওজন, স্ট্রেস, অনিয়মিত ডায়েট এবং কম ওয়ার্কআউট, সবকটিই উচ্চরক্তচাপ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। সমীক্ষা বলছে, ভারতের প্রতি তিন জন প্রাপ্তবয়স্কের মধ্যে এক জন এই সমস্যায় আক্রান্ত। এই ‘সাইলেন্ট কিলার’-এর হাত থেকে রেহাই পেতে ভরসা রাখুন কিছু ঘরোয়া টোটকায়।

০২ ০৯

নুন কম খান: উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সবচেয়ে আগে নুন খাওয়া কমাতে হবে। কাঁচা নুন তো নৈব নৈব চ। রান্নাতেও যতটা সম্ভব নুন কম দিন। অতিরিক্ত নুন রক্তে মিশে সোডিয়ামের মাত্রা বাড়ায় এবং দেহে সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে রক্তচাপ হু হু করে বাড়তে থাকে। কিডনির উপরেও এর যথেষ্ট প্রভাব পড়ে।

Advertisement
০৩ ০৯

ডায়েটে রাখুন কলা: কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম যা রক্তচাপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ডায়েটে কলা রাখুন। প্রাতরাশ, স্ন্যাকস দিনের যে কোনও মিলেই কলা রাখার চেষ্টা করুন।

০৪ ০৯

সবুজ সবজি: নিয়মিত সবুজ সবজি ও শাকপাতা রাখুন আপনার ডায়েট তালিকায়। ফাইবার সমৃদ্ধ সবুজ সবজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, ফোলেট যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। কম তেলে রান্না সবজি বা সিদ্ধ সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন, তাতে শরীরে ক্যালোরি কম ঢুকবে।

০৫ ০৯

ওটমিল: ওজন কমাতে এবং এনার্জি বাড়াতে ওটসের কোনও বিকল্প নেই। ডায়েটিশিয়ানরা প্রাতরাশে ওটস খাওয়ারই পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ওটসে সোডিয়ামের মাত্রা খুব কম, তা ছাড়া রয়েছে উচ্চমাত্রায় ফাইবার যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

০৬ ০৯

তরমুজ: অ্যামিনো অ্যাসিড এল-সিট্রুলিন সমৃদ্ধ তরমুজ শুধু রক্তচাপ নয়, শরীরের নানা সমস্যা দূর করে। এতে রয়েছে লাইকোপিন, পটাসিয়াম, ভিটামিন এ এবং ফাইবার যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।

০৭ ০৯

ভারতীয় আয়ুর্বেদিকেও রয়েছে উচ্চরক্তচাপ কমানোর নানা টোটকা। নিউট্রশনিস্টরা জানাচ্ছেন, কমলালেবুর রসের সঙ্গে ডাবের জল মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করুন। দিনে ২ থেকে ৩ বার এই মিশ্রণ খেলে রক্তচাপ অনেক নিয়ন্ত্রণে থাকে।

০৮ ০৯

শশাতে জলীয় উপাদান খুব বেশি থাকে। ওজন কমানো হোক বা ডায়াবিটিসের সমস্যা, শশা যে কোনও ক্ষেত্রেই খুব উপকারী। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত ডায়েটে শশার রায়তা খেলে রক্তচাপ কমে, শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে।

০৯ ০৯

হাইপারটেনশন কমানোর আর একটি ঘরোয়া টোটকা হল মধু। এক কাপ উষ্ণ গরম জলে এক চামচ মধুর সঙ্গে ৫-১০ ফোঁটা অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে প্রতিদিন প্রাতরাশের আগে খান। অনেক উপকার পাবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement