foods

অল্পেই নিয়ম ভাঙেন? দীর্ঘ দিন ডায়েটিংয়ে লেগে থাকার উপায় জেনে নিন

ছোটখাটো বিচ্যুতি সামলে ডায়েটিংয়ে লেগে থাকা যায় অনায়াসেই৷ তা হলে কী করবেন? কী ভাবে নেবেন প্রস্তুতি?

Advertisement

সুজাতা মুখোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৯ ১৬:৫১
Share:

ডায়েটে লেগে থাকা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। ছবি: শাটারস্টক।

ডায়েটিংয়ে লেগে থাকা কঠিন কাজ৷ প্রবল উৎসাহে শুরু হলেও, মাঝে মাঝেই পদস্খলন হয়৷ এক–আধবার হলে তাতে বিরাট ক্ষতি কিছু নেই৷ কারণ ডায়েটিংয়ের নিয়মই হল, সপ্তাহে এক–আধ দিন নিয়ম করে অনিয়ম করা, তাতে বাকি দিনগুলিতে ডায়েটিংয়ে লেগে থাকা সহজ হয়৷

Advertisement

কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় মন৷ একটা বিরিয়ানি বা আইসক্রিমের হাত ধরে এত লোভ এসে জমা হয় যে তার হাত ধরে পর পর আরও ক’দিন উল্টোপাল্টা খেয়ে ফেলার পর আবার নতুন করে শুরু করতে হয় সব৷ খারাপ হয় মন৷

কিন্তু একটু প্রস্তুতি নিয়ে কাজে নামলে, এই সব ছোটখাটো বিচ্যুতি সামলে ডায়েটিংয়ে লেগে থাকা যায় অনায়াসেই৷ তা হলে কী করবেন? কী ভাবে নেবেন প্রস্তুতি? জেনে নিন, ডায়েটিংয়ের আগে কী কী করতে হবে আর কী কী করা যাবে না৷

Advertisement

আরও পড়ুন: এ সব কৌশল মানলে ঘন ঘন রেস্তরাঁয় গেলেও বাড়বে না ওজন, সুস্থ থাকবে শরীর

ওজন কমাতে মাথায় রাখুন ডায়েটিংয়ের গুরুত্ব।

ডায়েটিংয়ের প্রস্তুতি

কী কী খাবার দেখলে নিজেকে সামলাতে পারেন না তা নোট করুন৷ তার মধ্যে যেগুলি হাই ক্যালোরি তাদের মার্ক করে নিন৷ কখন কোন খাবার খাওয়ার ইচ্ছে প্রবল হয় এবং কী ভাবে তা কাটানো যেতে পারে বা তার বদলে কিছুটা কম ক্যালোরির কোন উপকারি খাবার খাওয়া যেতে পারে, তার পরিকল্পনা করে নিন৷ তা হলেই দেখবেন, যখনই হাই ক্যালোরির খাবার খাওয়ার ইচ্ছে হবে, সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবর্ত খাবারের কথাও মাথায় চলে আসবে৷ দুপুরে বা রাতে মিষ্টির বদলে খান কম ক্যালোরির পুষ্টিকর টাটকা বা শুকনো ফল৷ বিকেলে ভাজার বদলে রোস্টেড, গ্রিলড বা বেকড খাবার, কোল্ড ড্রিঙ্কের বদলে ফলের রস, ডাবের জল৷ ঠিক করে নিন পুরো সপ্তাহ নিয়ম মেনে কাটানোর পর সপ্তাহান্তে একদিন পছন্দের খাবার প্রাণভরে খাবেন৷ একঘেয়ে খাবার না খেয়ে পুষ্টি ও ক্যালোরির সঙ্গে স্বাদের কথাও মাথায় রাখুন৷ কম তেল–মশলায় কী ভাবে স্বাদু খাবার বানানো যায় তা নিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করুন৷ ডায়েটিং একা একা না করে বাড়িতে ও কাজের জায়গায় আরও কাউকে জোগাড় করা যায় কি না দেখুন, বিশেষ করে যাঁদের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করেন৷ হাবিজাবি খাওয়ার ইচ্ছে হলে তাঁরা সতর্ক করতে পারবেন৷ এতে উৎসাহও বাড়বে৷ এঁদের সঙ্গে বাইরে খেতে গেলে ভুলভাল খাওয়া কম হবে৷ বাড়ির জন্য খাবারদাবার কেনার সময়ও এঁদের সঙ্গে রাখতে পারলে ভাল৷ ঘুমের সঙ্গে ফাঁকিবাজি করবেন না৷ কম ঘুমোলে শরীরে এমন কিছু হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে, যারা খিদে বাড়ায়৷ তা ছাড়া কম ঘুমের ক্লান্তি দূর করতে আসক্তি বাড়ে মিষ্টি খাবারের প্রতি৷ নিজেকে ব্যস্ত রাখুন৷ কারণ একঘেয়েমি কাটাতেও কিন্তু মানুষ এটা সেটা খায়৷ নানান কাজে নিজেকে ব্যস্ত করে নিলে সে বিপদ কেটে যায়৷ মোটিভেশন কমে যাচ্ছে বলে মনে হলে ডায়েটিংয়ের সুফল নিয়ে ভাবুন৷

আরও পড়ুন: আয়নায় মুখে দেখুন, নিজেই বুঝে যাবেন কী কী ভিটামিনের অভাবে ভুগছেন

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

মোটিভেশন কমে গেলে ডায়েটিংয়ের সুফল নিয়ে ভাবুন।

ভুলভাল খাওয়ার ইচ্ছা হলে ভাবুন, এক মুহূর্তের আনন্দের জন্য ভুল পদক্ষেপ নেবেন কি না৷ এত ব্যায়াম, এত কষ্ট, সব বিফলে চলে যাবে এই ভুলের জন্য৷ অসময়ে কিছু খাওয়ার ইচ্ছা হলে এক গ্লাস জল বা ফ্রেশ লাইম ওয়াটার খান খুব ধীরে ধীরে৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রে লোভ যেমন আসে, তেমন চলে যায়৷ চোখের খিদে পেলে একটু হেঁটে নিন৷ বা দু’–চারটে স্ট্রেচিং করুন৷ কারও সঙ্গে গল্পে মেতে যেতে পারেন৷ বাড়িতে রাখুন কেবল স্বাস্থ্যকর খাবার৷ ডায়েটিংয়ের ধার ধারেন না এমন কারও সঙ্গে খেতে যাবেন না৷ সপ্তাহে এক–আধ দিন, দিনের একটা খাবার ইচ্ছামতো খান৷ নিয়মিত ব্যায়াম করুন৷ ডায়েটিং ও ব্যায়ামের যুগলবন্দিতে শরীর ঝরঝরে লাগতে শুরু করলে মোটিভেশন বাড়বে৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন