sleep

Sleep Divorce: স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমোচ্ছেন? এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে

বহু কারণেই স্বামী-স্ত্রীর পক্ষে এক বিছানায় ঘুমোনো সম্ভব হয় না। তাই তাঁরা কখনও একই ঘরে আলাদা বিছানায় বা একেবারে আলাদা ঘরে ঘুমোনোর ব্যবস্থা করে নেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২১ ১৯:২৩
Share:

স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমাচ্ছেন? এর কেমন প্রভাব পড়ে বিয়ের উপর? ছবি: সংগৃহীত

বিয়ের অনেক বছর কেটে যাওয়ার পরে বা কারও কারও ক্ষেত্রে খুব অল্প দিনের মধ্যেই স্বামী-স্ত্রী আলাদা ঘুমোনোর সিদ্ধান্ত নেন। একে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বলেন অনেকে। এই সিদ্ধান্ত কতটা প্রভাব ফেলে সম্পর্কে?

বহু কারণেই স্বামী-স্ত্রীর পক্ষে এক বিছানায় ঘুমোনো সম্ভব হয় না। তাই তাঁরা কখনও একই ঘরে আলাদা বিছানায় বা একেবারে আলাদা ঘরে ঘুমোনোর ব্যবস্থা করে নেন। কেন এমন সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা?

২০১৯ সালে আমেরিকার এক সংবাদ সংস্থা এই বিষয়টি নিয়ে আমেরিকা-ইউরোপ এবং এশিয়ার কয়েকটি দেশে সমীক্ষা চালায়। সেখানে দেখা গিয়েছে স্বামী-স্ত্রীর আলাদা ঘুমোনোর সিদ্ধান্তের বা ‘স্লিপ ডিভোর্স’-এর পিছনে অনেকগুলি কারণ আছে। তাদের সমীক্ষায় উঠে আসা সবচেয়ে পরিচিত কারণগুলি হল:

• দু’জনের ঘুমোনোর সময় আলাদা।
• একজনের নাকডাকা বা শ্বাসের শব্দে অন্যজনের ঘুমোতে না পারা।
• এক সঙ্গে শুলে ঘুমোতে না পারা।
• একে অন্যের অপরিচ্ছন্নতা নিয়ে অস্বস্তি।
• সম্পর্কের তিক্ততা, ফলে একে অন্যের পাশে শুতে না পারা।
• ঘুমোতে যাওয়ার আগে ঝগড়া।
• ঘরের পরিবেশ নিয়ে মতপার্থক্য। এর মধ্যে রয়েছে ঘরের তাপমাত্রা, বিছানায় কম্বলের সংখ্যা, টেলিভিশন চালিয়ে ঘুম নাকি বন্ধ করে ঘুম— এই জাতীয় বিষয় নিয়ে সমস্যা।

Advertisement

কোন কোন কারণে একসঙ্গে ঘুমোনো সম্ভব হয় না?

এ বার প্রশ্ন হল, এই আলাদা ঘুম বা ‘স্লিপ ডিভোর্স’ সম্পর্কের উপর কেমন প্রভাব ফেলছে? আলাদা ঘুম মানেই সম্পর্কে সমস্যা— এমনটা অনেকেরই মনে হতে পারে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ঘটেছে উল্টোটা। দেখা গিয়েছে, সমস্যা বা মতপার্থক্য নিয়ে একসঙ্গে ঘুমাতে গেলে উল্টে বিষয়টি জটিল হয়ে যায়, সম্পর্ক তাড়াতাড়ি ভেঙে যায়। কিন্তু এক মত হয়ে আলাদা বিছানা বা ঘরে ঘুমোলে তিক্ততার বিষয়টা বাড়ে না। নাম যতই ‘স্লিপ ডিভোর্স’ হোক না কেন, আসলে বিবাহবিচ্ছেদের আশঙ্কা এতে কমে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন