মাখানা গোটা খাবেন না ভেঙে? ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
দেখতে ছোট, সাদা গোল গোল। এমনিতে তেমন স্বাদ নেই, তবে ঘিয়ে হালকা ভেজে নুন-মশলা মাখিয়ে নিলেই তা মুখরোচক হয়ে ওঠে।স্বাস্থ্যসচেতন লোকজনের সান্ধ্য খাবার তালিকায় ইদানীং বেশ ‘হিট’ মাখানা।
জিনিসটি হল পদ্মের বীজ। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, মাখানায় রয়েছে ভাল মানের ফাইবার, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও প্রোটিন, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়ামের মতো খনিজ রয়েছে এতে। যেহেতু মাখানায় ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে, তাই হার্ট ভাল রাখতেও সাহায্য করে এটি। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর মাখানার গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও কম। তাই ডায়াবেটিকদের জন্য এই খাবার নিরাপদ।
স্বাস্থ্যকর বটেই। তবে ভাজার আগে মাখানা আধভাঙা করে নিলে কি বাড়তি কোনও লাভ হয়? আদৌ কি এর দরকার রয়েছে?
১। মাখানা ভেঙে নেওয়ার সবচেয়ে বড় সুবিধা হল স্বাদ-বৃদ্ধি। ঘি-মশলা দিয়ে রোস্ট বা নাড়াচাড়া করার পর মাখানার উপরিভাগে মশলার আস্তরণ পরলেও, ভিতর পর্যন্ত তা প্রবেশ করে না। মাখানা ভেঙে নিয়ে ঘি এবং মশলা দিয়ে হালকা ভাজলে, আরও বেশি অংশে মশলার প্রলেপ পড়বে। স্বাভাবিক ভাবেই খেতে আরও ভাল লাগবে। মুচমুচে হবে বেশি।
২। মাখানা সেঁকে নিলে উপরের অংশ মুচমুচে হলেও, ভিতরটা অনেক সময় নরম থেকে যায়। কিন্তু ছোট টুকরো করে নিলে বা ভেঙে নিলে, প্রতিটি অংশই মুচুমচে হয়।
৩। পদ্মের বীজ হল মাখানা। ফলে এর ভিতরে পোকা রয়ে যেতে পারে। এর কোনও অংশ খারাপও থাকতে পারে। ভাজার আগে ভেঙে নিলে, পোকা থাকলে বা কোনও অংশ খারাপ হলে তা বোঝা যায়, সেই অংশটি বাদও দিয়ে দেওয়া যায়।
৪। মাখানা যদি ঠিক ভাবে রাখা হয় মিইয়ে যায়। সেগুলি ভাজা হলেও উপরের অংশ মুচমুচে হয় ঠিকই, কিন্তু ভিতরের অংশে সেই মুচমুচে ভাব থাকে না। মাখানা মিইয়ে গেলে তা কুচিয়ে বা টুকরো করে নিয়ে ঘি বা তেলে সময় নিয়ে ভাজলে, সেটি সব দিক দিয়ে মুচমুচে হবে।
৫। মাখানার পায়েসেও সব সময় ভিতর পর্যন্ত দুধ যায় না। পায়েস রান্নার সময় কিছুটা মাখানা ভেঙে ঘিয়ে হালকা নাড়িয়েচাড়িয়ে দুধে দিলে পায়েসের স্বাদ বাড়বে। পায়েসও ঘন হবে।
কী ভাবে মাখানা রোস্ট করবেন?
মাখানা ছোট টুকরো করে নিন। কড়াইয়ে সামান্য তেল বা ঘি দিয়ে গরম হতে দিন। এর মধ্যেই স্বাদমতো নুন, গোলমরিচ, মশলা যোগ করে দিন। তার পর ভাঙা মাখানা দিয়ে নাড়াচাড়া করুন যত ক্ষণ না মুচমুচে হয়।মাখানা ভাজার সময় আখরোট, কাঠবাদামও দিতে পারেন।