রান্নার নেই দরকার

বাড়িতে অতিথি এলে রান্না না করেও বানিয়ে ফেলতে পারেন সুস্বাদু খাবার। রইল সেই উপায়হাতে সময় নেই, রান্না করার এনার্জিও নেই। তাই বলে খাওয়াদাওয়া তো আর বন্ধ থাকবে না। এমন অনেক রেসিপি আছে, যা তৈরি করতে রান্নার প্রয়োজন নেই। সঠিক অনুপাতে উপকরণ মিশিয়ে নিলেই সুস্বাদু সব পদ প্রস্তুত।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:৪৪
Share:

হাতে সময় নেই, রান্না করার এনার্জিও নেই। তাই বলে খাওয়াদাওয়া তো আর বন্ধ থাকবে না। এমন অনেক রেসিপি আছে, যা তৈরি করতে রান্নার প্রয়োজন নেই। সঠিক অনুপাতে উপকরণ মিশিয়ে নিলেই সুস্বাদু সব পদ প্রস্তুত।

Advertisement

চিজ়কেক: নীচে বিস্কিটের স্তর, তার উপরে চিনি দিয়ে ফেটানো হাং কার্ড (জলঝরানো দই), তার উপরে ফলের স্তর সাজিয়ে ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিলেই তৈরি চিজ়কেক। ফলের টুকরোগুলো কাটার সময় একটু সাবধান। ফলের টুকরো সকলের উপরে থাকবে। তাই খেয়াল রাখবেন, প্রত্যেকটা টুকরো যেন মোটামুটি সমান আকারের হয়। যে ফল দেবেন, তার জেলিও লাগিয়ে নিতে পারেন হাং কার্ডের উপরের স্তরে। তার পর কেটে সার্ভ করুন।

হাম্মাস: এই খাবারটি একে তো সুস্বাদু, তায় প্রোটিন ও ভিটামিনে ভরপুর। শুধু অতিথিকে না দিয়ে বাড়ির খুদের জন্য মাঝেমাঝে বানিয়ে ফেলতে পারেন হাম্মাস। এর জন্য শুধু আগে থেকে কাবলি ছোলা জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। জল ঝরিয়ে এই ছোলা, পরিমাণমতো নুন, চিনি, ভাজা মশলা, তিল, সরষের তেল একসঙ্গে মিক্সিতে পিষে নিন। এবার এর মধ্যে ধনে পাতা ও অল্প পাতিলেবুর রস ছড়িয়ে গার্নিশ করতে পারেন। পরিবেশন করার সময় শসা, গাজর, পেঁয়াজ কেটে দিন। স্যালাডের সঙ্গে হাম্মাস যেমন সুস্বাদু, তেমনই পুষ্টিগুণে ভরপুর।

Advertisement

মুজ়: একটি পাত্রে কনডেন্সড মিল্ক, চকোলেট পাউডার, বাটার, অল্প দুধ ও কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে নিন। আর একটা লেয়ারের জন্য এই মিশ্রণে চকোলেটের জায়গায় কফি ব্যবহার করতে পারেন। তারপর দু’টো মিশ্রণ কাচের গ্লাসে পরপর ঢেলে ফ্রিজে জমতে দিন। গ্লাসের বদলে ছোট বাটি বা কাপেও জমাতে পারেন।

স্মুদি: যে কোনও ফল আর দুধ, চিনি ও বাদামবাটা সহযোগে মিক্সিতে মিশিয়ে নিন। তার পর বরফের কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন ঠান্ডা ঠান্ডা স্মুদি। রেনবো স্মুদি বানানোর জন্য বিভিন্ন রঙের ফল দিয়ে স্তর তৈরি করতে পারেন।

চাট: ভেলপুরি, পাপড়িচাট, ঝালমুড়ি... এই নামগুলোর সঙ্গে তো আমরা ভীষণ পরিচিত। পেঁয়াজ আর রকমারি চানাচুর মিশিয়ে এই খাবার তৈরি করতে সময়ও লাগবে না খুব বেশি। শুধু পরিবেশনের সময় খেয়াল রাখবেন, যেন মিলেমিশে খিচুড়ি পাকিয়ে না যায়। কাচের গ্লাসে করে ঝালমুড়ি বা ভেলপুরি পরিবেশন করতে পারেন। আর গ্লাসের মাথায় পাতিলেবুর টুকরো কেটে লাগিয়ে দিন। ককটেলের মতো দেখতে লাগবে আর খেতেও মজা লাগবে।

এই ধরনের খাবারে যেহেতু রান্নার পরিশ্রম নেই, সেটুকু ঢাকতে পরিবেশনে মন দিতে হবে। সঠিক অনুপাতে মিলিয়েমিশিয়ে নিলেই কাজ হাসিল। কম পরিশ্রমে হাসি ফুটবে খাদ্যপ্রেমীদের মুখেও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement