Donald Trump on Indian Economy

ভারতীয় অর্থনীতিকে ‘নিষ্প্রাণ’ বলে ট্রাম্পীয় খোঁচা! ‘মৃত অর্থনীতি’ মানে কী? সত্যিই কি ‘প্রয়াত’ দেশের অর্থব্যবস্থা?

ভারত ও রাশিয়ার অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলে উল্লেখ করে ফের খবরের শিরোনামে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর সুরে সুর মিলিয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা রায়বরেলীর কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। সত্যিই কি ‘মরে গিয়েছে’ কৌটিল্যের দেশের অর্থব্যবস্থা?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২৫ ১৪:৫৪
Share:
০১ ২০

ফের বিস্ফোরক ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতীয় অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলে ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর ওই মন্তব্যের পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। ট্রাম্পের বক্তব্যকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেছেন তিনি। পাল্টা জবাব দিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। এই বিতর্কের মধ্যে স্বাভাবিক ভাবেই উঠেছে একটি প্রশ্ন। সত্যিই কি এ দেশের অর্থনীতি ‘মৃত’? এর জেরে আসতে চলেছে বড় কোনও বিপর্যয়?

০২ ২০

কোনও দেশের অর্থনীতির গতি পুরোপুরি থেমে গেলে, বিশেষজ্ঞেরা তাকে ‘মৃত’ বলে উল্লেখ করে থাকেন। তাঁদের যুক্তি, নানা কারণে এটা হতে পারে। মূলত যুদ্ধ, প্রাকৃতিক বিপর্যয় বা মহামারির কারণে অনেক সময় পুরোপুরি থমকে যায় অর্থনীতির চাকা। এ ছাড়া দেউলিয়া রাষ্ট্রের পক্ষেও অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব। এই ধরনের দেশই ‘মৃত অর্থনীতি’র তালিকায় পড়বে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।

Advertisement
০৩ ২০

ভারতের অবস্থা কিন্তু একেবারেই সে রকম নয়। উল্লেখ্য, মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপির (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্টস) সূচকের উপর নির্ভর করে কোনও দেশের অর্থনীতি কতটা ভাল বা খারাপ, তা পরিমাপ করা হয়। সে দিক থেকে বিশ্বের প্রথম পাঁচে নাম রয়েছে নয়াদিল্লির। এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলির তালিকায় দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে ভারত। এক নম্বরে রয়েছে চিন। সূচকের এ-হেন ঊর্ধ্বমুখী অবস্থা ‘মৃত অর্থনীতি’র লক্ষণ নয়, বলছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।

০৪ ২০

চলতি বছরে জিডিপি নমিনালের নিরিখে বিশ্বের ৩০টি বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলির তালিকায় পাঁচ নম্বরে রয়েছে ভারত। নয়াদিল্লির সামনে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), চিন, জাপান এবং জার্মানি। এর মধ্যে ইইউ আবার ইউরোপের ২৭টি দেশের সংগঠন, যার মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স, ইটালি, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডসের মতো দেশ। অন্য দিকে জিডিপি পিপিপির (পারচেজ়িং পাওয়ার প্যারিটি) দিক থেকে ওই তালিকায় তৃতীয় স্থান পেয়েছে ভারত।

০৫ ২০

মুদ্রাস্ফীতিকে হিসাবে না রেখে একটি নির্দিষ্ট সময়ের নিরিখে কোনও দেশের মধ্যে উৎপাদিত পণ্যের মোট মূল্যের সূচক হল জিডিপি নমিনাল। অন্য দিকে, কোনও রাষ্ট্রের পণ্য ক্রয়ের ক্ষমতাকে মাপা হয় জিডিপি পিপিপির মাধ্যমে। দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে প্রথম স্থানে রয়েছে চিন এবং যুগ্ম ভাবে দ্বিতীয় আমেরিকা ও ইইউ। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, জিডিপি নমিনালের দিক থেকে গত শতাব্দীর ’৮০-র দশক পর্যন্ত ভারতের অর্থনীতি ছিল অনেকটাই ‘মৃতবৎ’। ওই সময়ে সূচকের বৃদ্ধি প্রায় হত না বললেই চলে।

০৬ ২০

১৯৯১ সালে দেশে আর্থিক উদারনীতির প্রবর্তন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। ওই সময়ে অবশ্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্বভার সামলাচ্ছিলেন তিনি। তাঁর নেওয়া পদক্ষেপে সারা বিশ্বের সামনে উন্মুক্ত হয় এ দেশের বাজার। ফলে মাত্র চার বছরের মধ্যে জিডিপি নমিনালের নিরিখে বিশ্বের শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশগুলির তালিকায় ১৭ নম্বর স্থানে উঠে আসে ভারত। ২০০৫ সালে আরও চার ধাপ লাফিয়ে নয়াদিল্লি পৌঁছোয় ১৩ নম্বরে।

০৭ ২০

তবে আর্থিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এ দেশের অর্থনীতিতে সত্যিকারের গতি আসে ২০১০ সালে। সে বছর প্রথম ১০-এ ঠাঁই পায় ভারত। পরবর্তী পাঁচ বছর দশম স্থান ধরে রাখে নয়াদিল্লি। এই সময়সীমাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন তাঁরা। কারণ, এর পর আর সরকারকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০২০ সালে কোভিড অতিমারি থাকা সত্ত্বেও জিডিপি নমিনালের তালিকায় সাত নম্বরে ঠাঁই পায় ভারত। এ বছর সেখান থেকে আরও দু’ধাপ উপরে উঠেছে সূচক।

০৮ ২০

বিশেষজ্ঞদের দাবি, দেশের আর্থিক বৃদ্ধির এই গতি বজায় থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশে (অর্থনীতির দিক থেকে) পরিণত হবে ভারত। এ দেশের বৃদ্ধির সূচক নিয়ে চাঞ্চল্যকর পূর্বাভাস দিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার বা আইএমএফ (ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ড) এবং বিশ্ব ব্যাঙ্ক। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি আর্থিক বছর (পড়ুন ২০২৫-’২৬) শেষ হতে হতে তালিকায় চার নম্বর স্থানে পৌঁছে যাবে নয়াদিল্লি।

০৯ ২০

আইএমএফের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই অর্থবর্ষে (পড়ুন ২০২৫-’২৬) দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার থাকবে ৬.৪ শতাংশ। এই দিক থেকে চিনকে পিছনে ফেলবে ভারত। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেজিঙের আর্থিক বৃদ্ধির সূচক থাকতে পারে ৪.৮ শতাংশ। অন্য দিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ১.৯ শতাংশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, প্রথম ১০-এ থাকা আর কোনও দেশের সূচক ১.৫ শতাংশের গণ্ডি পেরোবে না।

১০ ২০

মজার বিষয় হল, মার্কিন স্মার্টফোনের বাজারে ইতিমধ্যেই দাদাগিরি দেখাচ্ছে ভারত। চিনকে সরিয়ে ধীরে ধীরে সেখানে জায়গা পাকা করছে নয়াদিল্লি। সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে এই সংক্রান্ত একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য। সেখানে বলা হয়েছে, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে আমেরিকায় আমদানি করা প্রতি তিনটি স্মার্টফোনের মধ্যে একটি হল ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’। আর্থিক বিশ্লেষকদের দাবি, এই গতি বজায় থাকলে আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের সিংহভাগ দখল করবে ভারতের মাটিতে তৈরি স্মার্টফোন।

১১ ২০

এ বছরের জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে বিদেশ থেকে আমদানি করা স্মার্টফোন সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কমিশন বা ইউএসআইটিসি (ইউনাইটেড স্টেটস ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কমিশন)। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের প্রথম পাঁচ মাসে ভারত থেকে আমেরিকায় স্মার্টফোনের আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে তিন গুণ! তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, গত বছর (পড়ুন ২০২৪) নয়াদিল্লি থেকে ওয়াশিংটনের স্মার্টফোন আমদানির পরিমাণ ছিল ১১ শতাংশ। এ বছরে ইতিমধ্যেই সেই সূচক ৩০ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে।

১২ ২০

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন জানিয়েছেন, এ বছরের জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে ২ কোটি ১৩ লক্ষ ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ স্মার্টফোন আমদানি করেছে আমেরিকা। ২০২৪ সালে ৭০০ কোটি ডলারের স্মার্টফোন ভারত থেকে পৌঁছেছিল যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে। এ বছরে ইতিমধ্যেই সেটা ১৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৯৩৫ কোটি ডলার স্পর্শ করে ফেলেছে।

১৩ ২০

ভারতের পাশাপাশি রাশিয়ার অর্থনীতিকেও ‘মৃত’ বলে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। এর পরই কেন্দ্রের পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করেন মস্কোর রাষ্ট্রদূত। পরে বিবৃতি জারি করে এই ইস্যুতে নয়াদিল্লির পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। এ ছাড়া মুখ খুলেছেন রুশ নিরাপত্তা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান তথা সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। বর্ষীয়ান মার্কিন প্রেসিডেন্টকে উল্টে ‘মৃত হাত’-এর হুমকি দেন তিনি।

১৪ ২০

মেদভেদেভ বলেছেন, ‘‘আপনি (পড়ুন ট্রাম্প) ভারত ও রাশিয়ার অর্থনীতিকে মৃত বলে বিপজ্জনক এলাকায় ঢুকে পড়েছেন। আপনার প্রিয় সিনেমাগুলির মধ্যে ‘দ্য ওয়াকিং ডেড’-এর কথা মনে রাখা উচিত। কী ভয়ঙ্কর ছিল তার ‘মৃত হাত’! অথচ তার কোনও অস্তিত্ব নেই, কখনও ছিল না।’’

১৫ ২০

রাশিয়ার পাশাপাশি ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে ইরানও। এ ব্যাপারে এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট করে নয়াদিল্লির তেহরানের দূতাবাস। সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘যুক্তরাষ্ট্র অর্থনীতিকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে। ভারত ও ইরানের মতো স্বাধীন দেশের উপরে ইচ্ছেমতো নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে তাদের উন্নতিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের জোর করে চাপিয়ে দেওয়া বৈষম্যমূলক পদক্ষেপগুলি আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। এতে আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে সার্বভৌমত্ব, যা আর্থিক সাম্রাজ্যবাদের আধুনিক রূপ।’’

১৬ ২০

গত ৩০ জুলাই নিজের সমাজমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ নয়াদিল্লি ও মস্কোকে নিশানা করে একটি পোস্ট করেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘ভারত রাশিয়ার সঙ্গে কী করছে, তাতে আমার কিছু যায়-আসে না। ওরা ওদের ‘মৃত অর্থনীতি’কে একসঙ্গে ধ্বংস করতে পারে। আমি সব কিছুর জন্য চিন্তা করি। আমরা ভারতের সঙ্গে খুব কম ব্যবসা করেছি। কারণ, নয়াদিল্লির শুল্ক অনেক বেশি। একে বিশ্বের সর্বোচ্চ বলা যেতে পারে। রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে প্রায় কোনও ব্যবসা নেই বললেই চলে।’’ তাঁর এই পোস্টের পরেই শুরু হয় হইচই।

১৭ ২০

এর পরেই সংসদ ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বলেন, ‘‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সত্যি কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী ছাড়া এটা সবাই জানে।’’ রায়বরেলীর জনপ্রতিনিধির ওই মন্তব্যের কড়া জবাব দেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের অর্থনীতি মোটেই মরে যায়নি। বরং দ্রুত গতিতে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হওয়ার দিকে ছুটে চলেছি আমরা।’’

১৮ ২০

ভারতীয় অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলার পাশাপাশি এ দেশের পণ্যে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক চাপিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পাশাপাশি, রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করার জন্য দিতে হবে ‘জরিমানা’। এ ছাড়া ইরান থেকে খনিজ তেল কেনার জন্য এ দেশের ছ’টি সংস্থার উপরে পড়েছে নিষেধাজ্ঞার কোপ। এই পরিস্থিতিতে নয়াদিল্লির আর্থিক বৃদ্ধির হার ২০-৩০ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে একাধিক আর্থিক মূল্যায়ন সংস্থা।

১৯ ২০

তবে বিশেষজ্ঞদের দাবি, এ দেশের আর্থিক কর্মকাণ্ডের বেশির ভাগটাই দেশীয় চাহিদার উপরে নির্ভরশীল হওয়ায় অর্থনীতিতে বিরাট কোনও ধাক্কা লাগবে না। ব্রোকারেজ সংস্থা বার্কলেজ়ের ব্যাখ্যা, অগস্ট থেকে ভারতীয় পণ্যে আমেরিকার কার্যকর শুল্কের হার অনেকটাই বাড়বে, যা ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার আগে (২.৭ শতাংশ) এবং ৯০ দিনের স্থিতাবস্থার সময়ের (১১.৬ শতাংশ) তুলনায় অনেকটাই বেশি। অন্য দিকে, এ দেশে মার্কিন পণ্যের কার্যকর শুল্ক কমে দাঁড়িয়েছে ১১.৬ শতাংশ।

২০ ২০

অর্থনীতিবিদ অদিতি রামন জানিয়েছেন, ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে ওষুধ, রত্ন এবং পোশাক শিল্প কিছুটা ধাক্কা খাবে। তেল আমদানির উৎস পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নয়াদিল্লির সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এ ছাড়া শেয়ার বাজারে সংশ্লিষ্টের শুল্কের কোনও প্রভাবই পড়েনি। উল্টে এর জেরে রাশিয়া, ইরান এবং ব্রা‌জ়িলের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক আরও মজবুত হওয়ার রাস্তা খুলল বলে মনে করছেন তাঁরা।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement