Entertainment news

চা-কফি ছুঁয়েও দেখেন না, অসুখে ওষুধও খান না অক্ষয় কুমার!

বয়সের ছাপ তাঁর চোখে-মুখে বা স্বাস্থ্যে কোথাও এতটুকু পড়েনি।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৯ ১০:০৬
Share:
০১ ১৩

১৯৬৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর পঞ্জাবের অমৃতসরে জন্ম অক্ষয় কুমারের। হিসাব করলে দাঁড়ায় ঠিক ৫২ বছর পূর্ণ করেছেন তিনি। কিন্তু বয়সের ছাপ তাঁর চোখে-মুখে বা স্বাস্থ্যে কোথাও এতটুকু পড়েনি।

০২ ১৩

অক্ষয় কুমারের এই ফিটনেস-এর রহস্য কী? পেশীযুক্ত শরীর বানাতে অধিকাংশ অভিনেতা যখন স্টেরয়েডের দিকে ঝুঁকে থাকেন, সেখানে বাইরে থেকে কোনওরকম স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ না খেয়েও কীভাবে অক্ষয় এমন মেদমুক্ত স্বাস্থ্য ধরে রেখেছেন?

Advertisement
০৩ ১৩

সবটাই লুকিয়ে রয়েছে অক্ষয়ের ফিটনেস পরিকল্পনায়। অক্ষয়ের ডায়েট চার্টে। সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার দিক থেকে অক্ষয়ের দৈনন্দিন রুটিন অন্যান্য অভিনেতা-অভিনেত্রীর থেকে অনেকটাই আলাদা। এ ব্যাপারে অক্ষয় পুরোপুরি নিজের মন্ত্রে চলেন।

০৪ ১৩

অক্ষয় খুব সরল জীবনযাপন করেন। রাত ৯টায় তিনি ঘুমিয়ে পড়েন এবং রোজ ভোর সাড়ে চারটেয় উঠে পড়েন।

০৫ ১৩

ভোরে ঘুম থেকে উঠেই তিনি শরীরচর্চা শুরু করেন। ঘুম থেকে উঠে তাঁর প্রথম কাজ হাঁটা। সমস্ত তারকাদেরই নির্দিষ্ট জিম ট্রেনার থাকে। অক্ষয়ের কিন্তু কোনও ট্রেনার নেই। জিমে অক্ষয় যান এবং নিজের ইচ্ছামতো শরীরচর্চা করেন। যে দিন যেটা করতে ইচ্ছা করে, সেদিন সেটাই করেন তিনি।

০৬ ১৩

তবে জিমে ওয়েট লিফ্টিং করেন না তিনি। অক্ষয় মার্শাল আর্ট এবং কিক বক্সিংয়ে প্রশিক্ষিত। নিয়মিত তা অনুশীলন করেন। এর বাইরে সারাদিন ধরেই তিনি অবসর সময়কে কাজে লাগান। কখনও হাঁটেন, কখনও দৌড়ন, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করেন।

০৭ ১৩

অনেকটা সময় শরীরচর্চা করার পর নিয়মিত যোগব্যায়াম এবং মেডিটেশন করেন। এনার্জি এবং গতি বাড়ানোর জন্য সপ্তাহে তিন দিন নিয়ম করে বাস্কেট বল খেলেন।

০৮ ১৩

স্বাস্থ্য বজায় রাখতে কোনওরকম দোকানজাত সাপ্লিমেন্টের উপর নির্ভর করেন না খিলাড়ি। দোকানজাত প্রোটিন পাউডার, স্টেরয়েড একেবারেই খান না। এমনকি ওষুধের উপরও নির্ভর করেন না তিনি। জ্বর-সর্দি-কাশির জন্য দোকান থেকে ওষুধ না কিনে ঔষধি গুণসমৃদ্ধ বিভিন্ন ভেষজ গাছ-পাতা খেয়ে ফেলেন।

০৯ ১৩

এত গেল মূলত অক্ষয়ের শরীরচর্চার কথা। সারাদিন কী ধরনের খাবার তিনি খেয়ে থাকেন? চা, কফি, মদ, সিগারেট- এসবে একেবারে ছুঁয়েই দেখেন না অক্ষয়। রবিবার করে তাঁর পছন্দের মিষ্টি খান আর সপ্তাহের বাকি দিনগুলো খুব পরিমিত খান।

১০ ১৩

সন্ধ্যা ৭টায় ডিনার সেরে ফেলেন। আর রোজ 9টায় ঘুমতে যান। মাঝের এই দুঘণ্টা খাবার হজমের জন্য হালকা কিছু কাজ করেন।

১১ ১৩

ব্রেকফাস্টে থাকে পরোটা, এক গ্লাস দুধ বা ফলের রস বা মিল্কশেকস্ আর ডিম। এর দুঘণ্টা পর তিনি তাজা ফল খান। নানারকম সব্জি তাঁর খুব পছন্দের, ড্রাই ফল খান।

১২ ১৩

লাঞ্চে তিনি পছন্দ করেন ডাল, রুটি, সিদ্ধ চিকেন এবং দই। রাতে সবচেয়ে হালকা খাবার খান তিনি। নানারকম সব্জি দিয়ে স্যুপ এবং স্যালাড। ব্যস এটুকু খেয়েই শুয়ে পড়েন। ইচ্ছা করলেও ঘুরেও রাতে মিষ্টির দিকে তাকান না।

১৩ ১৩

ভাত খেলে শুধুমাত্র ব্রাউন রাইস খান তিনি। সারাদিনে আমলার রস, আখরোট এগুলোও খেয়ে থাকেন। প্রসেসড্ ফুড একেবারেই পছন্দ নয় তাঁর। আর সব রকমের সব্জি খান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement