US on Indo-Russia Oil Trade

রাশিয়ার থেকে আরও তেল কিনুক ভারত, চেয়েছিল আমেরিকাই! কোন হিসাবের গোলমালে সুরবদল ট্রাম্পের?

ইউক্রেন যুদ্ধের গোড়ার দিকে ভারত বেশি পরিমাণে রাশিয়ার থেকে খনিজ তেল কিনুক, চেয়েছিল আমেরিকা। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেন নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত প্রাক্তন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। গত বছর তাঁর করা ওই বক্তব্য সমাজমাধ্যমে ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হওয়ায় ধরা পড়ে গিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিচারিতা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২৫ ০৭:২৫
Share:
০১ ২০

রাশিয়ার থেকে সস্তা দরে ব্যারেল ব্যারেল খনিজ তেল কেনার জের! ভারতের উপরে চটে লাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবাধ্য দিল্লিকে ‘শাস্তি’ দিতে এ দেশের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন তিনি। ফলে আমেরিকায় রফতানি করা ভারতীয় সামগ্রীতে সব মিলিয়ে শুল্ক দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশ। অথচ গত বছরই পরিস্থিতি ছিল সম্পূর্ণ উল্টো। সে সময় নয়াদিল্লিকে মস্কোর থেকে আরও বেশি পরিমাণে ‘তরল সোনা’ আমদানির জন্য উৎসাহ দিচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্র।

০২ ২০

২০২৪ সালে ‘আন্তর্জাতিক বিষয়ে বৈচিত্র সংক্রান্ত সম্মেলন’-এ (কনফারেন্স অন ডাইভারসিটি ইন ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স) যোগ দেন ভারতে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি। সেখানেই মস্কোর থেকে নয়াদিল্লির আরও বেশি পরিমাণে খনিজ তেল কেনা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। বর্তমানে ভারত ও আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক-যুদ্ধের আবহে তাঁর ওই বক্তব্য নতুন করে সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ফলে ‘দ্বিচারিতা’ ও ‘ভন্ডামি’ ধরা পড়ে যাওয়ায় এই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের উপরে যে চাপ বাড়ল, তা বলাই বাহুল্য।

Advertisement
০৩ ২০

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ‘আন্তর্জাতিক বৈচিত্র বিষয়ক সম্মেলন’-এ ভাষণ দেওয়ার সময় ভারত-রুশ তেল বাণিজ্যকে মার্কিন বিদেশ নীতির নকশার অংশ বলেও উল্লেখ করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত গারসেটি। এর নেপথ্যে সুনির্দিষ্ট যুক্তিও দেন তিনি। বলেন, ‘‘ওরা (নয়াদিল্লি) মস্কোর থেকে বিপুল পরিমাণে ‘তরল সোনা’ কিনছে। সুনির্দিষ্ট একটা মূল্যসীমার মধ্যে ক্রেমলিনের তেল ওরা কিনুক, সেটা আমরাও চাইছি। এটা কোনও আইন লঙ্ঘনের বিষয় নয়। বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়ুক, তা কখনওই চায় না ওয়াশিংটন। ভারতের জন্যেই সেটা নিয়ন্ত্রণে থাকছে।’’

০৪ ২০

ওই অনুষ্ঠানে আরও কিছু বিস্ফোরক দাবি করেন সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত গারসেটি। তিনি বলেন, ‘‘নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও রাশিয়ান উরাল ক্রুডের (পড়ুন অপরিশোধিত তেল) আমদানি চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। এতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বেশ খুশি। আমাদের লক্ষ্য পূরণে পরোক্ষ ভাবে সাহায্য করছে নয়াদিল্লি।’’ শুধু তা-ই নয়, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ‘স্বল্প পরিসরে কূটনৈতিক জয়’ বলেও উল্লেখ করেন গারসেটি।

০৫ ২০

দিল্লিতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন রাষ্ট্রদূতের এ-হেন মন্তব্যে দুনিয়া জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। ফলে বাধ্য হয়ে বিবৃতি জারি করে আমেরিকার ট্রেজ়ারি বিভাগ। সেখানে বলা হয়, ওয়াশিংটন কখনওই ভারতকে মস্কোর থেকে তেল আমদানি বন্ধ করতে বলেনি। ২০২২ সালের নভেম্বরে একই রকমের মন্তব্য করেন তৎকালীন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজ়ারি সচিব জ্যানেট ইয়েলেন। ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া।

০৬ ২০

নয়াদিল্লির উরাল ক্রুড কেনার ব্যাপারে মার্কিন ট্রেজ়ারি সচিব ইয়েলেনের বক্তব্য ছিল আরও উৎসাহজনক। তিনি বলেন, ‘‘ভারত যত দিন ইচ্ছা যেমন খুশি রাশিয়ার থেকে ‘তরল সোনা’ আমদানি করতে পারে। তবে নয়াদিল্লিকে জি-৭ ভুক্ত দেশগুলির মূল্যসীমার মধ্যে এই লেনদেন করতে হবে। পশ্চিমি দেশগুলির বিমা, বিনিয়োগ এবং সামুদ্রিক পরিষেবাগুলির যাতে কোনও লোকসান না হয়, সেটা নজরে রাখা প্রয়োজন।’’

০৭ ২০

পরবর্তী কালে সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের রুশ তেল কেনার সিদ্ধান্ত কী ভাবে আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়াকে সাহায্য করছে, তার বিস্তারিত বিবরণ দেন ট্রেজ়ারি সচিব ইয়েলেন। তাঁর যুক্তি ছিল, নিষেধাজ্ঞার কারণে সুনির্দিষ্ট একটা মূল্যসীমার মধ্যে থেকে উরাল ক্রুড বিক্রি করছে মস্কো। ফলে বিশ্বব্যাপী ‘তরল সোনা’র দরে দেখা গিয়েছে মহাপতন। এতে আর্থিক দিক থেকে লোকসান হচ্ছে ক্রেমলিনের। দীর্ঘ দিন সেটা চললে অচিরেই ভেঙে পড়বে রুশ অর্থনীতি।

০৮ ২০

তা ছাড়া আমেরিকার ধারণা ছিল নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত (ইইউ) দেশগুলিতে খনিজ তেল বিক্রি করতে পারবে না রাশিয়া। এই সংগঠনের ২৭টি দেশ অস্বাভাবিক সস্তায় ‘তরল সোনা’ আমদানি করতে চাইলে মস্কোর উপর বাড়বে আর্থিক চাপ। ইয়েলেন বলেন, ‘‘একটা সময়ে ক্রেমলিনের থেকে তেল কেনাই বন্ধ করে দেবে ইইউ। তখন বিকল্প ক্রেতার খোঁজ করতে হবে রাশিয়াকে। কারণ তাদের জ্বালানি ব্যবসা পুরোপুরি পশ্চিম ইউরোপের উপরে নির্ভরশীল।’’

০৯ ২০

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জ্বালানি সম্পদ বিষয়ক প্রাক্তন সহকারী সচিব জিওফ্রে আর পাইট। তিনি বলেন, ‘‘ভারত সফরে গিয়ে রুশ উরাল ক্রুড কেনা নিয়ে নয়াদিল্লির সঙ্গে খোলাখুলি ভাবে কথা বলেছি। আমরা নিশ্চিত যে বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেলের দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ভারত। নইলে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য লাগামছাড়া জায়গায় পৌঁছে যেত ‘তরল সোনা’র দাম।’’

১০ ২০

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রাশিয়ার উপর ১৬ হাজারের বেশি নিষেধাজ্ঞা চাপায় আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়া। এই অবস্থায় অর্থনীতিকে বাঁচাতে ভারতকে সস্তা দরে খনিজ তেল বিক্রির ‘মেগা অফার’ দেয় মস্কো। সঙ্গে সঙ্গে সেই ‘টোপ গিলে’ ক্রেমলিনের উরাল ক্রুড ব্যাপক হারে আমদানি করা শুরু করে নয়াদিল্লি। এই তেল বাণিজ্যে দু’পক্ষই লাভবান হয়েছে, বলছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।

১১ ২০

বর্তমানে অপরিশোধিত তেলের ৮০ শতাংশ বিদেশ থেকে আমদানি করে ভারত। এর জন্য কয়েক হাজার কোটি ডলার খরচ করতে হয় নয়াদিল্লিকে। রাশিয়ার থেকে সস্তা দরে ‘তরল সোনা’ কেনার সুযোগ পাওয়ায় সেখানে কিছুটা সাশ্রয় করার সুযোগ পেয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। অন্য দিকে, নিষেধাজ্ঞার জালে জড়িয়ে পড়া খনিজ তেল বিক্রির নতুন বাজার পেয়ে যাওয়ায় যুদ্ধের মধ্যেও কোষাগার ভর্তি রাখার সুযোগ পেয়েছে মস্কো।

১২ ২০

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে দিনে প্রায় ১৭ লক্ষ ৫০ হাজার ব্যারেল রাশিয়ান খনিজ তেল আমদানি করেছে ভারত। গত বছরের প্রথম ছ’মাসের নিরিখে যেটা এক শতাংশ বেশি। বর্তমানে বিদেশ থেকে আসা ‘তরল সোনা’র ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশই সরবরাহ করছে মস্কো। ক্রেমলিনের থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানির নিরিখে প্রথম স্থানে রয়েছে চিন। ওই তালিকায় নয়াদিল্লির স্থান দ্বিতীয়।

১৩ ২০

রাশিয়ার থেকে সস্তা দরে খনিজ তেল কেনার জন্য মুদ্রাস্ফীতির হারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছে নয়াদিল্লি। কিন্তু, প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়ার পর এই নীতিতে বড় বদল এনেছেন ট্রাম্প। তাঁর দাবি, ভারত বিপুল পরিমাণে উরাল ক্রুড কেনার কারণেই সজীব রয়েছে মস্কোর অর্থনীতি। ফলে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া পর্যন্ত গোলা-বারুদ ও হাতিয়ার কিনতে পারছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

১৪ ২০

গত জানুয়ারি মাসে শপথ নেওয়ার পর থেকেই পূর্ব ইউরোপে যুদ্ধ থামাতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন ট্রাম্প। কিন্তু, শত চেষ্টা করেও সংঘর্ষবিরতির জন্য রু‌শ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে রাজি করাতে পারেননি তিনি। আর তাই মস্কোর ‘বন্ধু’দের উপরে চাপ তৈরি করতে চাইছেন যুক্তরাষ্ট্রের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা। তাঁর দাবি, এতে লড়াই থামাতে বাধ্য হবে ক্রেমলিন। সেই কারণে ঘন ঘন ভারতকে শুল্ক নিয়ে হুমকি দিচ্ছেন ট্রাম্প।

১৫ ২০

বিশেষজ্ঞদের অবশ্য দাবি, নিজের স্বার্থেই একটা সময়ে নয়াদিল্লিকে রুশ তেল কিনতে বলেছিল আমেরিকা। যুক্তরাষ্ট্র খুব ভাল ভাবেই জানত, ‘তরল সোনা’ বাণিজ্য চালু থাকলে মস্কোর অর্থনীতিতে নিষেধাজ্ঞার কোনও প্রভাবই পড়বে না। উল্টে কোষাগার ভর্তি থাকলে ইউক্রেনের উপর আক্রমণের ঝাঁজ বাড়াতে পারে ক্রেমলিন। সে ক্ষেত্রে কিভকে বিপুল পরিমাণে হাতিয়ার বিক্রির রাস্তা খুলে যাবে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে।

১৬ ২০

কিন্তু, ক্ষমতায় এসে ইউক্রেনের বিরল খনিজ পদার্থের বিপুল ভান্ডার দখল করতে চেয়েছেন ট্রাম্প। এর জন্য কিভের সঙ্গে বিশেষ চুক্তিও সেরে ফেলেন তিনি। কিন্তু, রাশিয়া যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ায় ইউক্রেনের খনিগুলিতে পা রাখা যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থাগুলির জন্য কঠিন হচ্ছে। আর তাই পুতিনকে দ্রুত সংঘর্ষবিরতিতে রাজি করাতে চাইছেন ট্রাম্প। ভারতের জন্য সেটা সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন তিনি।

১৭ ২০

অন্য দিকে, মার্কিন শুল্কের আবহে একটি বিষয় স্পষ্ট করে দেয় নয়াদিল্লি। তা হল, জ্বালানির চাহিদা মেটাতে আপাতত বন্ধ করা হচ্ছে না মস্কোর তেল আমদানি। বিদেশ মন্ত্রকের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধের মধ্যে দিব্যি রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে পশ্চিম ইউরোপ। শুধু তা-ই নয়, ক্রেমলিনের থেকে ইউরেনিয়ামের মতো তেজস্ক্রিয় পদার্থ আমদানি করে থাকে খোদ আমেরিকা।

১৮ ২০

নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অপরিশোধিত তেলের রফতানি বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্পের। সেই কারণে ভারতকে রুশ উরাল ক্রুড কেনার থেকে সরিয়ে আনতে চাইছেন তিনি। গত আট মাসে ওয়াশিংটন থেকে ‘তরল সোনা’ আমদানির পরিমাণ ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি করেছে নয়াদিল্লি, যা এ দেশের মোট আমদানি করা তেলের প্রায় আট শতাংশ বলে জানা গিয়েছে।

১৯ ২০

তবে ট্রাম্পের শুল্ক নীতির প্রবল সমালোচনা করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি। এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) করা একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘‘নয়াদিল্লির অবশ্যই রুশ তেল কেনা উচিত নয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে প্রধান প্রতিপক্ষ চিন দিব্যি মস্কো এবং ইরান থেকে খনিজ তেল আমদানি করে চলেছে। তা সত্ত্বেও ৯০ দিনের জন্য শুল্কছাড় পেয়েছে বেজিং। ভারতের মতো ‘ঘনিষ্ঠ সহযোগী’র সঙ্গে সম্পর্ক পুড়িয়ে ড্রাগনকে বাড়াবাড়ির সুযোগ দেওয়ার কোনও মানে নেই।’’

২০ ২০

ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় চিনকে প্রধান প্রতিপক্ষ বলে মনে করে আমেরিকা। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম কৌশলগত সহযোগী হল নয়াদিল্লি। কিন্তু ট্রাম্পের জন্য সেই সম্পর্কে চিড় ধরতে পারে বলে ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছে কেন্দ্র। এ বছরের অগস্টের শেষে চিন সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রী মোদীর। অন্য দিকে, রুশ সফরে গিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বা এনএসএ (ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইসার) অজিত ডোভাল। শুল্ক-যুদ্ধের আবহে যা ওয়াশিংটনের রক্তচাপ বাড়াবে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement