ছবি : সংগৃহীত।
সজনে ডাঁটা দিয়ে ভাল রান্না বললে শুক্তোর কথাই মনে পড়ে। বাকি যা যা ডাঁটা দিয়ে খাওয়া হয়, তা ঘরোয়া রান্না। কেউ বানান ডাঁটা-আলু-টম্যাটো দিয়ে বাটি চচ্চরি। কেউ বা ডাঁটা, কুমড়ো, আলুর তরকারি। উচ্ছে-ডাঁটা-সর্ষেবাটার ঝোলও খান কেউ কেউ। কিন্তু এর বাইরে ডাঁটা দিয়ে একটু মুখরোচক ভাল রান্না খেতে হলে খুব বেশি রেসিপি মাথায় আসে না। সেই অভাবপূরণ করতে পারে এই রান্নাটি। নাম ডাঁটার রসা। দক্ষিণী খাবার থেকে অনুপ্রাণিত হলেও এ রান্না বাঙালির রসনাকেও তৃপ্তি দেবে।
উপকরণ:
মশলার জন্য—
২ টেবিল চামচ চিনে বাদাম
২ টেবিল চামচ তিল
৩ টেবিল চামচ কোরানো নারকেল
২ টেবিল চামচ পোস্ত
অল্প জল
রান্নার জন্য—
২০টি মোটা ডাঁটা মাঝারি টুকরোয় কেটে নেওয়া
২টি টম্যাটো কুচি
১টি পেঁয়াজ কুচি
১ চা চামচ আদা-রসুন বাটা
২ টেবিল চামচ ধনেপাতা কুচি
৩টি চেরা কাঁচা লঙ্কা
৮-১০টি কারি পাতা
১টি শুকনো লঙ্কা
১ চা চামচ সর্ষে দানা
১ চা চামচ গোটা জিরে
১ চিমটে হিং
১ চা চামচ লঙ্কাগুঁড়ো
আধ চা চামচ হলুদগুঁড়ো
১ চা চামচ ধনেগুঁড়ো
আধ চা চামচ জিরেগুঁড়ো
১ চা চামচ গরম মশলার গুঁড়ো
২ টেবিল চামচ সর্ষের তেল
স্বাদ মতো নুন
সামান্য চিনি
পরিমাণ মতো জল
প্রণালী:
প্রথমে মশলাটা বানিয়ে নিন। শুকনো খোলায় প্রথমে বাদাম, তার পরে তিল এবং পোস্ত হালকা ভেজে নিয়ে সুগন্ধ বেরোলে তুলে নিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এ বার মিক্সির জারে বাদাম, তিল, পোস্ত দিয়ে গুঁড়িয়ে নিন। তার পরে ওর মধ্যে নারকেল কোরানো এবং আধ কাপ জল দিয়ে আরও এক বার ঘুরিয়ে বেটে নিন। মশলা তৈরি।
এ বার কড়াইয়ে তেল গরম করে, তার মধ্যে গোটা সর্ষে, গোটা জিরে, হিং, শুকনো লঙ্কা এবং কারিপাতা ফোড়ন দিন। সুগন্ধ বেরোলে দিয়ে দিন কুচনো পেঁয়াজ এবং আদা-রসুন বাটা। মাঝারি আঁচে ভাজুন, পেঁয়াজের রং বদলালে এবং আদা-রসুনের কাঁচা গন্ধ চলে গেলে আঁচ কমিয়ে দিন সমস্ত গুঁড়ো মশলা এবং নুন। সামান্য জলের ছিটে দিয়ে মশলা কষাতে থাকুন। সুগন্ধ বেরোলে দিন টম্যাটো। এর পরে মশলা কষিয়ে তেল ছেড়ে এলে দিয়ে দিন আগে থেকে বেটে রাখা মশলা। ঢাকা দিয়ে রান্না হতে দিন।
মশলার তেল ছেড়ে এলে ওর মধ্যে দিয়ে দিন ডাঁটার টুকরোগুলো। মশলায় ডাঁটা ভাল ভাবে কষিয়ে নিয়ে দিয়ে দিন এক কাপ জল। এই সময় নুন দেখে নিন। আর দিয়ে দিন অল্প চিনি। উপরে কয়েকটি কাঁচা লঙ্কা ছড়িয়ে ঢাকা দিয়ে মাঝারি আঁচে রান্না হতে দিন ১৫ মিনিট।
মাঝে মধ্যে হালকা নেড়ে চেড়ে দিন। তেল ছেড়ে এলে এবং ডাঁটা সেদ্ধ হয়ে এলে উপরে ধনেপাতা কুচি ছড়িয়ে আঁচ বন্ধ করুন। এই তরকারি রুটি অথবা ভাতের সঙ্গেও খাওয়া যাবে।