Solar Eclipse

বিস্ময়কর মহাজাগতিক দৃশ্য! সূর্যগ্রহণ কোথায় কেমন দেখা গেল

২১ জুন উত্তর গোলার্ধে আক্ষরিক অর্থেই ‘বড়দিন’। বছরের দীর্ঘতম দিন। আর এই দিনেই এ বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২০ ২০:০৫
Share:
০১ ১৪

চাঁদের ছায়া তার গতিপথে একটু একটু করে ঢেকে দিল সূর্যকে। আর পৃথিবীর বুকে দিনের বেলাতেই ঘনিয়ে এল সন্ধ্যার অন্ধকার। ২১ জুন আক্ষরিক অর্থেই ‘বড়দিন’। বছরের দীর্ঘতম দিন। আর এই দিনেই এ বছরের প্রথম সূর্যগ্রহণ। পৃথিবী জুড়েই এই মহাজাগতিক বিস্ময়ের সাক্ষী হলেন অনেকেই।

০২ ১৪

গ্রহণ তিন ধরনের। খণ্ডগ্রাস, বলয়গ্রাস ও পূর্ণগ্রাস। এ দিন ছিল সূর্যের বলয়গ্রাস গ্রহণ। এর আগে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ হয়েছিল গত বছর ২৬ ডিসেম্বর।

Advertisement
০৩ ১৪

সকাল সওয়া ৯টা থেকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ শুরু হয়। তা চলে দুপুর ৩টে বেজে ৩ মিনিট পর্যন্ত। এই সময়টিকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য টেলিস্কোপে সূর্যের উপর নজর রেখেছিলেন মহাকাশপ্রেমীরা।

০৪ ১৪

ভারত ছাড়াও, এই মহাজাগতিক দৃশ্য ধরা পড়েছে পাকিস্তান, চিন, তিব্বত, তাইওয়ান, সৌদি আরব, ওমান, ইয়েমেন, দক্ষিণ সুদান, ইথিওপিয়া-সহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে।

০৫ ১৪

নেপাল, বাংলাদেশ, কাম্বোডিয়া এবং হংকংয়ের বহু মানুষ এ দিন সূর্যগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করেছেন।

০৬ ১৪

এ বার সূর্যের বলয়গ্রাসের পথ ভারতের উত্তর অংশের উপর দিয়ে গিয়েছিল। তাই উত্তর ভারতের বিভিন্ন এলাকা যেমন কুরুক্ষেত্র, দেহরাদুন, চম্বা, চামেলি, যোশীমঠ, আগরতলা ইত্যাদি জায়গা থেকে এই গ্রহণ দেখা গিয়েছে।

০৭ ১৪

তালিকায় ছিল কলকাতাও। কিন্তু এ দিন সকাল থেকেই কলকাতার আকাশ মেঘলা ছিল। বৃষ্টিও হয়েছে। ফলে গ্রহণ দেখা নিয়ে প্রথম থেকেই সংশয় তৈরি হয়েছিল।

০৮ ১৪

রবিবার বেলা বাড়তেই আশঙ্কা সত্যি প্রমাণিত হয়। বেলা সওয়া ১১টা নাগাদ মেঘ সরলে আংশিক গ্রহণ দেখা যায়। কিন্তু তা স্রেফ কয়েক মুহূর্তের জন্যই। কারণ এর পরেই বৃষ্টি নামে। ফলে আশাহত হন উৎসাহীরা।

০৯ ১৪

কলকাতায় গ্রহণ শিখরে পৌঁছেছিল বেলা ১২টা বেজে ৩৫ মিনিটে। গ্রহণ শেষ হয় দুপুর ২টো বেজে ১৭ মিনিটে।

১০ ১৪

গত বছর ২৬ ডিসেম্বর আংশিক সূর্যগ্রহণ হয়েছিল কলকাতায়। তবে সে বারও বলয়গ্রাস দেখার সুযোগ পায়নি কলকাতা।

১১ ১৪

টেলিস্কোপে গ্রহণ দেখার সুযোগ পাননি অনেকেই। তাই এক্স রে প্লেটের মাধ্যমেই এই দৃশ্য দেখেন অনেকে।

১২ ১৪

কোথাও কোথাও সূর্যগ্রহণ দেখানোর জন্য বড় বড় স্ক্রিনও লাগানো হয়েছিল। সেই পর্দাতেই গ্রহণ উপভোগ করেন বহু মানুষ।

১৩ ১৪

বলয়গ্রাস গ্রহণ মানেই সূর্যের ‘রিং অব ফায়ার’ দর্শন। চাঁদের ছায়া ঢেকে দেয় সূর্য। কেবল দেখা যায় সূর্যের কিছু অংশ যা আগুনের বলয়ের মতো। তাই এর নাম বলয়গ্রাস। গ্রহণের এই দৃশ্যটুকু দেখার জন্যই উৎসাহে ফুটছিলেন মহাকাশপ্রেমীরা। শেষ পর্যন্ত তা দেখতে পেয়ে তৃপ্তির হাসি ফুটেছে তাঁদের মুখে।

১৪ ১৪

শুধু মাত্র সূর্যের বুকে চাঁদের ছায়া নয়। গ্রহণ মানেই যেন মানবসভ্যতার উপর কুসংস্কারের ছায়াপাত। এ দিন অবশ্য সে সব উড়িয়ে দিয়েই সূর্যগ্রহণ দেখেছেন বহু মানুষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement